ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পায়রায় নতুন স্বপ্নের যাত্রা শুরু ॥ পাল্টে যাবে দক্ষিণের চেহারা

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৪ আগস্ট ২০১৬

পায়রায় নতুন স্বপ্নের যাত্রা শুরু ॥ পাল্টে যাবে দক্ষিণের চেহারা

রশিদ মামুন/মেজবাহউদ্দিন মাননু পায়রা থেকে ॥ আন্দারমানিক নদীর মোহনায় বাতি জ্বললো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নতুন স্বপ্ন পায়রা বন্দরের। চট্টগ্রাম ও মংলার পর দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। নিত্য দিন ঝড় জলোচ্ছ্বাসকে জয় করে টিকে থাকা দক্ষিণের এই মানুষের মনের গহীনে উন্নতি সমৃদ্ধির নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। বন্দর এবং বন্দরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকা- এই অঞ্চলের চেহারা বদলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা বন্দরের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পায়রা প্রান্ত থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এসে সরাসরি যুক্ত হন। দেশের আরেক স্বপ্ন পদ্মা সেতুর জন্য ৫৩ হাজার টন পাথর নিয়ে চীন থেকে ‘ফরচুন বার্ড’ নামের একটি জাহাজ গত পহেলা আগস্ট এসেছে পায়রার বহির্নোঙরে। লাইটার্জে এই পাথর খালাস করে পদ্মা সেতুতে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়াও ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার অঙ্গিকার পূরণে দেশের ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, আট লেনের নতুন সড়ক উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় গণভবনে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক এবং সেনাবাহিনী প্রধান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। পায়রাকে ঘিরে এক বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ছয় হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠছে পায়রা সমুদ্র বন্দর। বন্দরে তৈরি হচ্ছে কন্টেনার, বাল্ক, সাধারণ কার্গো, এলএনজি, পেট্রোলিয়াম ও যাত্রী টার্মিনাল। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, সিমেন্ট, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, সার কারখানা, তেল শোধনাগার ও জাহাজ নির্মাণশিল্পসহ অনেক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে বলে প্রত্যাশ্যা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি এখানে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছে। এছাড়া আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এবং বাংলাদেশ রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) আরও দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর বাইরে এক হাজর ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে সেনা ও নৌবাহিনীর কল্যাণ সংস্থা। এখন ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬ মিটার গভীরতার চ্যানেল ড্রেজিং করে পূর্ণাঙ্গ বন্দরের সুবিধা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই ১৬ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সড়ক এবং রেল যোগাযোগের মাধ্যমে পায়রাকে সংযুক্ত করা হবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে। ফ্রান্স, চীন, ভারত বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন আন্দারমানিক নদীর উত্তর প্রান্তে টিয়াখালীতে ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে বন্দর প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ করে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভূমি উন্নয়ন, সংযোগ সেতুসহ তিনটি পন্টুন এবং ৫ টন ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ক্রেন স্থাপন করা হয়েছে। ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ, একটি পুকুর খনন, সোলার লাইট, জেনারেটর, পায়রা বন্দর নিরাপত্তা ভবন, ১০০০ কিলোওয়াটের বৈদ্যুতিক সাব- স্টেশন, তৈরিসহ নদীর তীর রক্ষায় বাঁধের কাজ শেষ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বলেন, মূলত আমাদের দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত। বিভিন্ন সময় দক্ষিণাঞ্চল সফরের সময় এই অঞ্চলের সম্ভাবনার দিকগুলো তার নজরে এসেছে উল্লেখ করে বলেন, তখন থেকেই এই অঞ্চলের উন্নয়নের কথা ভেবেছেন। বন্দরকে ঘিরে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের মানুষকে ঝড় জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে কাটাতে হয়। এখন তারা উন্নত জীবন পাবে। পায়রার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন ছাড়াও সড়ক পথ আরও উন্নত করা হবে বলে জানান তিনি। পায়রা বন্দরের কাছেই একটি ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও নৌঘাঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। পায়রা বন্দরকে ঘিরে নির্মাণ করা হচ্ছে কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্র এবং এলএনজি টার্মিনাল। যা এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে জমির যথাযথ মূল্য দেয়া ও এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেন। পায়রা বন্দরের পাথরবাহী জাহাজ ফরচুন বার্ড আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলে উল্লেখ করেন হাসিনা। বক্তৃতার সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, আমি মনে করি দেশের মানুষের জন্য কিছু করলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পায়। এজন্যই সব সময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করা ছাড়া আমার আর কিছু করারও নাই। ছয় উপজেলায় ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হতো। বেসরকারীখাতে বিদ্যুত উৎপাদনের নীতিমালা করে নতুন নতুন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার ফলে ওই মেয়াদের শেষে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে। এর সাত বছর পর ২০০৯ সালে আবার দায়িত্ব নেয়ার সময় দেখা যায় উৎপাদন ক্ষমতা কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়ে যায়। পরে নতুন নতুন বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করায় এখন দেশের বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। তিনি জ্বালানির বহুমুখী করণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে বিদ্যুত উৎপাদন করছি। যেসব এলাকায় গ্রিড লাইন নেই সেখানে সৌর বিদু্যুত দিয়ে মানুষের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন ছাড়াও শনির আখড়া থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত আটলেনের সড়ক উদ্বোধন করেন। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় এই সড়ক নির্মাণ করেছে। সাত কিলোমিটারের এই সড়কটি রাজধানীর যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পায়রা থেকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ভিডিও কনফারেন্স এ সংযুক্ত হয়ে বলেন, পূর্ণাঙ্গ বন্দর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সবগুলো কাজ ১৯টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার ৬টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি ১৩টির মধ্যে ৭টি জি টু জি এবং ৬টি সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগে করা হচ্ছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ মূল চ্যানেল খনন। ইতোমধ্যে বিশ্বের একটি খ্যাতনামা কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। স্বল্প-মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটবে। তিনি বলেন, প্রায় ছয় হাজার একর জমির ওপর এই বন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। সীমিত আকারে এখন কার্যক্রম শুরু হলেও ২০২৩ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রূপে বন্দরটির কার্যক্রম শুরু হবে। বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সাইদুর রহমান (ট্যাজ) সাংবাদিকদের জানান, আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এজন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। তিনি বলেন, চ্যানেলটি খনন করলে এর ড্রাফট হবে ১৬ মিটার। সাধারণত গভীর সমুদ্র বন্দরে এ ধরনের ড্রাফটই থাকে। এজন্য পায়রাকে গভীর সমুদ্র বন্দর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির, রফতানিকারক ফ্যানিক্স বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ, নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ (ট্যাজ), ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি, নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মাহবুবুর রহমান, বেগম লুৎফুন্নেছা এমপি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী। বন্দর উন্নয়নের পরিকল্পনায় দেখা যায় চলতি বছর বহির্নোঙ্গরে ক্লিংকার, সার ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ আনা ও লাইটার জাহাজের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করার মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা ছিল। ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ মিটার গভীরতার চ্যানেল ড্রেজিং, একটি মাল্টিপারপাস ও একটি বাল্ক টার্মিনালসহ বন্দর অবকাঠামো তৈরি করে বন্দর কার্যক্রম শুরু করা হবে। আর পূর্ণাঙ্গ বন্দরের কাজ শুরু হবে ২০২৩ সালনাগাদ। চট্টগ্রাম এবং মংলার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে গড়ে উঠছে পায়রা। বন্দরের অবস্থান বিবেচনায় বলা হচ্ছে আউটার এ্যাঙ্করেজ থেকে রাবনাবাদ চ্যানেলে ঢোকার পথে পানির সর্বনি¤œ গভীরতা প্রায় ৫ মিটার। চ্যানেলের ভেতর এই গভীরতা ১৬ থেকে ২১ মিটার। চ্যানেলের ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় ড্রেজিং করলে জেয়ারের সময় ১৪ মিটার গভীরতা তৈরি হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২ মিটার। বলা হচ্ছে পায়রাতে ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্যর জাহাজ আসতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসে সর্বোচ্চ ১৮৬ মিটার দৈর্ঘের জাহাজ। দক্ষিণ এশিয়ার ট্রানজিট সুবিধার জন্য বন্দরটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম এবং মংলার চেয়ে বেশি গভীরতা থাকায় এখানে বড় জাহাজ নোঙর করতে পারবে। সরকার আশা করছে বন্দরটি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু হলে ট্রানজিট সুবিধা প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত এবং চীনের সমন্বিত উদ্যোগে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে গড়ে উঠছে ইকোনমিক করিডোর। ভৌগলিক অবস্থানের সুবিধার কারণে সমুদ্রপথে সিল্করুটের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে পায়রার। বন্দর উন্নয়ন পরিকল্পনায় বলা হচ্ছে রজপাড়া থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণের জন্য ৫৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক প্রস্তাবটি ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে। ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলেই সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্প প্রস্তাবে দেখা যায় ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পায়রায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পায়রা বন্দরের ৬০০০ একর জমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং নৌ-রুটের ড্রেজিং, একটি ওয়্যার হাউস নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ, বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনে নৌযান ক্রয়, পন্টুন নির্মাণ ও নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের মধ্যে কন্টেনারবাহী জাহাজ ভেড়ানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজন্য জি টু জি ভিত্তিতে পায়রা বন্দরের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীন, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স ও অন্যান্য দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পায়রা সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে। পায়রা বন্দরের কার্যক্রম আপাতত পরিচালনার লক্ষ্যে ২৬৬ জনবলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংবলিত প্রস্তাব একটি সচিব কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
×