ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দাম কম হওয়ায় সার যাচ্ছে ভারতে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৯ আগস্ট ২০১৬

দাম কম হওয়ায় সার যাচ্ছে ভারতে

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সীমান্তের ৩১টি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন সার পাচার হচ্ছে। ইউরিয়া, টিএসপি ও পটাশ সার প্রতিদিন পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে। এই সার পাচারে সিন্ডিকেট সৃষ্টি হয়েছে। এরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দেবার জন্য ব্যবহার করছে ল্যান্ড বর্ডার। একই সঙ্গে পদ্মা মহানন্দায় নৌকার মাধ্যমে সারের বস্তা নিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থল সীমান্ত পথে পাচারকারীরা প্রত্যেকে ছোট ছোট বস্তায় পুরে অপর পারের অপেক্ষমাণ ভারতীয় কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বিজিবি শিবগঞ্জের শিয়ালমারী সীমান্তে ২৫৫ কেজি সার আটক করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ফাঁস হয়ে পড়ে সার পাচারের ঘটনা। বিজিবি নড়ে চড়ে বসায় বেকায়দায় পড়েছে সার পাচারকারীরা। তার পরেও অভিনব পন্থা বের করে সার পাচার অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে উভয় দেশের চাষীরা আমন আবাদ করছে। তাই বাংলাদেশের চোরাকারবারীরা সার পাচারের সময় ধরা পড়লেও বলছে তারা নিজ জমিতে সার দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু শিয়ালমারী সীমান্তের ১৮৭ পিলার কাছাকাছি ৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে কয়েকজনকে বিজিবি চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা সারের বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পাওয়া যায় ৫০ কেজি ইউরিয়া, ৯৬ কেজি পটাশ ও ১০০ কেজি টিএসপি। মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার সিংহভাগ আমনের জমি সীমান্তে হবার কারণে তারা চোরাকারবারীদের মাধ্যমে জমিতে বাংলাদেশের সার ব্যবহার করে থাকে। ভারতীয় বাজার দরের অর্ধেকেরও কম দামে বাংলাদেশের সার পাওয়ার কারণে তারা এখানকার সার ব্যবহার করছে। পাশাপাশি বেচে যাচ্ছে পরিবহন খরচ ও সময়। তাছাড়া বাংলাদেশ সারের গুণগত মানও ভাল ও উন্নত হবার কারণে ভারতীয়রা এখানকার সার ব্যবহারে উদগ্রীব হয়ে থাকে। আর এ কারণে ব্যাপকহারে সার পাচার হয়ে যাচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁর সার ডিলারদের অনেকেই ভারতীয় আমন মৌসুম ধরার জন্য বেশি পরিমাণে সার উঠিয়ে থাকে। তারা বেশি মুনাফার বিনিময়ে এই সার চোরাকারবারীদের হাতে তুলে দেয়।
×