ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টালমাটাল বিএনপি

পূর্ণাঙ্গ কমিটির পর ক্ষুব্ধ নেতারা নতুন দল গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৮ আগস্ট ২০১৬

পূর্ণাঙ্গ কমিটির পর ক্ষুব্ধ নেতারা নতুন দল গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন

শরীফুল ইসলাম ॥ পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে বেকায়দায় বিএনপি হইকমান্ড। প্রথম দিন ২ জন পদত্যাগের পর যে কোন সময় আরও ক’জন পদত্যাগ করতে পারেন। এ কমিটিতে যাদের মূল্যায়ন হয়নি তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিক্ষুব্ধরা ভেতরে ভেতরে নিজেদের মধ্যে সংগঠিত হচ্ছে। এদিকে নতুন কমিটিতে স্থান না পাওয়া সংস্কারপন্থী নেতারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্রমতে, ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কমিটি ঘোষণার পর পদত্যাগকারী ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু ও সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দুজনই তাদের পদত্যাগের ব্যাপারে অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন। তাদের দেখাদেখি বিএনপির নতুন কমিটির আরও ক’জন নেতা পদত্যাগের চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে। উপযুক্ত পদ না পেয়ে দল থেকে পদত্যাগ করতে পারেন এমন নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১ জন উপদেষ্টা এবং বেশ ক’জন সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য। জানা যায়, বিএনপির আগের কমিটিতে থাকা ক’জন নেতা নতুন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ আশা করেছিলেন। তারা সবাই এক সময় ছাত্রদল ও বিএনপির হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথ কাঁপাতেন। এ কারণেই বিএনপি হাইকমান্ডের কাছে তাদের প্রত্যাশা ছিল বেশি। কিন্তু কমিটি দেখার পর তাদের আশার গুড়ে বালি পড়ে। নিজের ক্ষোভ ও হতাশার কথা ভাগাভাগির জন্য তারা ইতোমধ্যেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন। কেউ কেউ দল থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার কথাও পরস্পরকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও বর্তমানে মহিলা দলের রাজনীতিতে সক্রিয় একজন জনকণ্ঠকে বলেন, দেড় যুগ ধরে দলের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। দলের প্রতিটি কর্মকা-ে অংশ নেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এত বড় কেন্দ্রীয় কমিটি হলো আমার নাম না দেখে অবাক হই। কারণ আমার পেছনে থেকে যারা রাজপথে মিছিল করেছে এমন বেশ ক’জনকে ভাল ভাল পদ পেতে দেখলাম। আরও দেখলাম সিনিয়র নেতারা, নিজের বউ, ছেলে, মেয়েসহ আত্মীয় স্বজনদের কিভাবে কমিটিতে স্থান করে দিলেন। কিন্তু নিজের নামটা এতবড় তালিকায় স্থান করে নিতে পারলাম না। তিনি জানান, এ কমিটি দেখার পর আমরা যারা পদ পাইনি বা যারা অপেক্ষকৃত গুরুত্বহীন পদ পেয়েছেন নিজেদের মধ্যে ক্ষোভের কথা বলাবলি করেছি। কেউ কেউ পদত্যাগের কথাও বলেছেন। তবে দেখা যাক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আমাদের কথা উপলব্দি করেন কি না। তার পর úরিস্থিতি সাপেক্ষে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। প্রথা অনুসারে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর দিন পদ পাওয়া নেতারা শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত: রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। কিন্তু এবার এত বড় কমিটি গঠনের পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নতুন নেতারা জিয়ার মাজারে যাননি। কমিটিতে পদ পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে অনেক নেতা ক্ষুব্ধ থাকায় এ কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে কোন বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় কি না তা ভেবে এ কর্মসূচীটি পরে পালন করতে চায় নতুন কমিটির নেতারা। এদিকে এত বড় একটি কমিটি গঠনের পরও রবিবার দিনভর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল ফাঁকা। সারাদিনে মাত্র ক’জন কেন্দ্রীয় নেতা ও কিছু দলীয় কর্মীকে ওই কার্যালয়ে যাওয়া-আসা করতে দেখা গেছে। সংস্কারপন্থী বিএনপি নেতারা সমমনাদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করে আসছিলেন অনেক দিন ধরেই। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ কেউ তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন জাতীয় কাউন্সিলের পর দলে ফিরিয়ে নেয়ার। এ আশায় তারা বুকবেঁধে ছিলেন। কিন্তু ৬ আগস্ট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার পর নিজেদের নাম দেখে হতাশ হন সংস্কারপন্থী বিএনপি নেতারা। তাই তাদের এখন বাধ্য হয়েই নতুন দল গঠন করতে হবে বলে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক নেতা জানান। তিনি আরও জানান, পদবঞ্চিত সংস্কারপন্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে বিএনপির বর্তমান কমিটি থেকেও কেউ কেউ তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে খুলনার কোন নেতা নতুন করে স্থান পায়নি বরং পুরনো কমিটির কাউকে কাউকে বাদ দেয়ায় ওই এলাকার দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই এলাকার নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন কমিটিতে আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগী ও পরীক্ষিত যোগ্য নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। লংঘন করা হয়েছে জ্যেষ্ঠতা। প্রাধান্য দেয়া হয়েছে পরিবারতন্ত্রকে। যে কারণে বিএনপির নতুন কমিটিতে বাদ পড়েছেন খুলনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম নুরুল ইসলাম। প্রবীণ এই রাজনীবিদ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাছে ‘দাদু ভাই’ নামে পরিচিত। তিনি আগের কমিটিতে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত মোসাদ্দেক আলী ফালু কেন কমিটি ঘোষণার পর পর এভাবে পদত্যাগ করলেন এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দলীয় পরিম-লে চলছে ব্যাপক জল্পনাকল্পনা। তবে কেউ কেউ বলছেন, ফালু এখন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এছাড়া তার নামে মামলা রয়েছে। তাই ঝামেলা এড়াতে তিনি সরাসরি কোন পদে থেকে আপাতত বিএনপির রাজনীতিতে থাকতে চান না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন ফালু। সে সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে মাঠে থেকে একনিষ্ঠতার পরিচয় দেন তিনি। পরে দল ক্ষমতায় গেলে তাকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়। ঢাকা-১০ আসন (তেজগাঁও) থেকে উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এ সুবাদে একে একে ক’টি মিডিয়াসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন তিনি। তাই ব্যবসার স্বার্থেই তিনি আগেই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে দলের কমিটিতে না রাখার অনুরোধ করেছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এদিকে বিএনপির কমিটি নিয়ে ক্ষোভের বিচ্ছুরণ দেশের গ-ি পেরিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। নতুন নির্বাহী কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে দলের নেতাদের অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। এ ক্ষোভের কারণে নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সমর্থনে বিএনপির পক্ষ থেকে যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া ১৩ অগাস্ট নিউইয়র্ক রাজ্য বিএনপির কমিটি গঠনের জন্যে যে কাউন্সিল অধিবেশন হওয়ার কথা সেটিও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাদের দাবি বছরের পর বছর ধরে দেশের বাইরে দলীয় কর্মকা-ে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি যারা ওয়ান-ইলেভেনের পর করাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের মুক্তির দাবিতে বিশ্বজুড়ে প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন দলের নেতৃত্ব বাছাইয়ে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। সমাবেশের অন্যতম আয়োজক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা পারভেজ সাজ্জাদ শনিবার রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঘোষিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাউকেই অন্তর্ভুক্ত না করায় সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ায় সমাবেশটি স্থগিত করতে বাধ্য হলাম। কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এক যুগেরও অধিক সময় যাবত মাঠে সোচ্চার রয়েছি শতশত নেতাকর্মী নিয়ে। কিন্তু মূল্যায়ন করা হলো কই? এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক। আমরা সকলেই মর্মাহত। কেউই এমন আচরণকে মেনে নিতে পারছি না। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে সোচ্চার তারেক রহমান পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বাদল বলেন, আমরা জিয়ার আদর্শে কাজ করছি। কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে মার্কিন কংগ্রেস, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও জাতিসংঘে লবিং চালাচ্ছি বিএনপির পক্ষে। আমরা তো এমপি-মন্ত্রী হতে পারব না। কিংবা লাইসেন্স-পারমিটের জন্য ধরনাও দেব না। এতদসত্ত্বেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমাদের কোন ঠাঁই কেন হলো না? ত্যাগী নেতাকর্মীরা এজন্য হতাশ হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে ৬ জন, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ২ জন করে নেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সে হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা বিবেচনা করলে কমপক্ষে ১০ জনের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র থেকে একজনকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেয়া হয়নি। এর চেয়ে বেদনা আর কষ্টের কী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাদের দাবি ২০০৭ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জন কেরি, সিনেটর হিলারি ক্লিনটনসহ ১৫ জন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন, যার জন্যে তদবির করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া ওই সময় তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও তারেক রহমান পরিষদের সমন্বয়ে বহির্বিশ্বে লাগাতার কর্মসূচী পালন করা হয়। এত কিছুর পরও এখানকার কোন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন না। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কেমন হলো, কারা পদোন্নতি পেল, কাদের পদায়ন হলো এবং কারা নতুন এলা এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা। কেউ বলছে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ভাল কমিটিই হয়েছে। কেউ বলছেন সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে জুনিয়রদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, কমিটিতে যুদ্ধাপরাধীর সন্তান স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের স্থান দিয়ে এবং পরিবারতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়ে এ কমিটিকে বিতর্কিত করে ফেলা হয়েছে। তাই এ কমিটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া খালেদা জিয়ার পক্ষে অসম্ভব হবে। উল্লেখ্য, জাতীয় কাউন্সিলের সাড়ে ৪ মাস পর শনিবার নয়া ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দিনে দলের ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটি ও ৭৩ সদস্যের বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়। এই স্থায়ী কমিটি ও উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যরাও পদাধিকার বলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য। সে হিসেবে বিএনপির নির্বাহী কমিটি কার্যত ৫৯১ সদস্যের। কারণ খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম স্থায়ী কমিটি ও ৫০২ সদস্যের নির্বাহী কমিটি এ ২ জায়গায়ই আছে। নতুন কমিটিতে নেতাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আর কমিটি ঘোষণার পর অসুস্থতার কথা বলে ভাইস চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক আলী ফালু এবং পদাবনত করায় সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম পদত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমন জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি যেভাবে ভাল মনে করেছেন সেভাবেই কমিটি করেছেন। তবে এত বড় একটি রাজনৈতিক দলে অনেকেই কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তবে কাউকে কাউকে উপযুক্ত পদ দেয়া সম্ভব হয়েছে। আবার কাউকে কাউকে পদ দেয়া সম্ভব হয়নি। কেউ কেউ আশানুরূপ পদ পাননি। তারপরও বৃহত্তর স্বার্থে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এ কমিটি মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তবে যারা একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে তাদের মূল্যায়ন এক দিন না এক দিন হবেই।
×