ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রেকর্ড অষ্টম অলিম্পিকে ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে ছেলে মাচাভারিয়ানির সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন নিনো

প্রথমবারের মতো একইসঙ্গে প্রতিযোগী মা ও ছেলে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৭ আগস্ট ২০১৬

প্রথমবারের মতো একইসঙ্গে প্রতিযোগী মা ও ছেলে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথমবার যখন মর্যাদার অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন সেটার পর ২৮ বছর পেরিয়ে গেছে। তখন সোভিয়েত রাশিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। নিজের অষ্টম অলিম্পিকে অংশ নিতে যাচ্ছেন ৪৭ বছর বয়সী নারী শূটার নিনো সালুকভাদজে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর এখন তিনি জর্জিয়ার পতাকাতলে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তবে কোন এ্যাথলেটের সর্বাধিক অলিম্পিকে অংশ নেয়ার রেকর্ড স্পর্শ করছেন এর মাধ্যমে। এছাড়াও আরেকটি চমকপ্রদ ঘটনার জন্ম দিতে যাচ্ছেন তিনি। ১৮ বছর বয়সী ছেলে সোতনে মাচাভারিয়ানিও অংশ নেবেন একই ইভেন্টে। জর্জিয়ার শূটিং দলে মা ও ছেলে সতীর্থ হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে একইসঙ্গে মা ও ছেলে অংশ নেয়ার ঘটনা এটাই হবে প্রথম। দু’জনই ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে অংশ নেবেন। প্রথমে জার্মানি, পরে ইতালির হয়ে এর আগে ক্যানুয়িস্ট হিসেবে ৮ অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন জোসেফা ইডেম গুয়েরিনি। সেটাই কোন এ্যাথলেটের সর্বাথিক অলিম্পিকে অংশ নেয়ার রেকর্ড। সেই রেকর্ড স্পর্শ করছেন জর্জিয়ার হয়ে তিনটি অলিম্পিক পদক জেতা নিনো। ইতোমধ্যেই অলিম্পিকের কিংবদন্তিদের কাতারে চলে গেছেন এ মা। এবার আরেকটি বিস্ময়কর রেকর্ডের জন্ম দেয়ার পাশাপাশি অভূতপূর্ব ঘটনার জন্মও দিতে চলেছেন। ছেলেও থাকছেন তার সতীর্থ হিসেবে একই ইভেন্টে। এ বিষয়ে নিনো বলেন, ‘আমি প্রথম ১৯৮৮ অলিম্পিকে অংশ নিয়ে একটি করে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জিতেছিলাম। দীর্ঘ সময় ধরে আমি অংশ নিচ্ছি। প্রতিযোগিতা করাটা কঠিন। কিন্তু আমি কঠোর পরিশ্রম করছি এবং ছেলেকে পেয়েছি আমার অন্যতম অনুপ্রেরণা হিসেবে।’ ১৯৬৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসিতে জন্ম নিলেও সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল দেশটি। সিউলে ১৯৮৮ অলিম্পিকে তাই অংশ নিয়েছিলেন সোভিয়েতের হয়ে। সেবার অলিম্পিক রেকর্ড ৬৯০ পয়েন্ট স্কোর করে স্বর্ণ জয় করেন নিনো। আর ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে তিনি ৩৯০ পয়েন্ট স্কোর করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। তবে ফাইনালে হেরে রৌপ্য জিতেছিলেন। এরপর টানা ৪ অলিম্পিকে তেমন ভাল করতে পারেননি। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অলিম্পিক পদক জয় করেন, ১০ মিটার এয়ারে জয় করেন ব্রোঞ্জ। ১৯৯৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মাচাভারিয়ানিকে জন্ম দেন। পরবর্তীতে একইসঙ্গে তিনি মাচার কোচ, পরামর্শক এবং মা হয়ে গেছেন। আর এই তিন দায়িত্বেই যে দারণ সফল নিনো সেটা এবার ছেলেও অলিম্পিক দলে ঠাঁই করে নেয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে গেছে। ছেলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার সবেমাত্র শুরু। আমি তার জন্য বেশ চিন্তিত এবং স্নায়ুচাপে আছি। আমি তার মা এবং অনেক বয়সী সে কারণে অলিম্পিক ভিলেজে সে সমবয়সী এ্যাথলেটদের সঙ্গেই থাকে।
×