ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাপল আইফোন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৬ আগস্ট ২০১৬

এ্যাপল আইফোন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে

এ্যাপলের আইফোন ব্যবসা নিয়ে সংশয় ছিল। তারপরও কোম্পানিটি বাজিমাত করেছে। পর্যবেক্ষকরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করেছেন যে, এই স্মার্টফোনের চাহিদার কোন কমতি নেই। এ্যাপল জানিয়েছে যে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের আয় হয়েছে ৪২৪০ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৬ শতাংশ কম। এ নিয়ে টানা দুই প্রান্তিকে এ্যাপলের আয় হ্রাস পায়। তা থেকে পর্যবেক্ষকরা ধারণা করেছিলেন যে, তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় দাঁড়াবে ৪২০৯ কোটি ডলার। কিন্তু তা হয়নি বরং বেড়েছে। কোম্পানির ত্রৈমাসিক মুনাফা হয়েছে ৭৮০ কোটি ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম। রাজস্ব আয়ের রিপোর্ট বেরোনোর আগে পর্যবেক্ষকরা এ্যাপলের এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনের বিক্রি পড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন বলে এমন উৎকণ্ঠা কোম্পানিকেও গ্রাস করে রেখেছিল। কিন্তু সেই উৎকণ্ঠা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ্যাপল জানায় যে, আইাফোন বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি ৪ লাখ পিস। অথচ বাজার পর্যবেক্ষকদের প্রত্যাশা ছিল ৪ কোটি পিস। মানে প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য বেশি হয়েছে। কিন্তু সেটাই বা কম কিসের। তবে আইফোন ব্যবসায় মুনাফাও হ্রাস পেয়েছে। কারণটা সম্ভবত এই যে, কোম্পানির সর্বশেষ মডেল আইফোন এসই স্মার্টফোন বাজারের অতি শীর্ষ ভাগকেও লক্ষ্য করে ছাড়া হয়নি। অবশ্য এ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন যে, তৃতীয় প্রান্তিকে যত বিক্রি হয়েছে তা থেকে বুঝা যায় যে, শুরুর দিকে যেমন ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে এই ফোনের ক্রেতার চাহিদা বেশি আছে এবং ব্যবসাও হয়েছে ভাল। এ্যাপলের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি যে খাতটিতে হয়েছে সেটা হলো এর সার্ভিস খাত। আগের বছরের চেয়ে এটা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। কুক বলেন, এ খাতের উপার্জন থেকে এ্যাপল আশা করে যে, ফরচুনের আগামী বছরের একশ’ কোম্পানির অন্যতম হিসাবে এ্যাপলের শুরু এই খাতের ব্যবসা একই পরিমাণ থেকে যাবে। এ্যাপল কেন তার ব্যবসার সার্ভিস ও কনটেন্ট অংশের ওপর এত প্রবল জোর দিচ্ছে তার ব্যাখ্যা সম্ভবত এ থেকেই পাওয়া যাবে। এ্যাপলের শক্তি হচ্ছে তার ইকোসিস্টেম এবং এর সার্ভিস খাতে আয় বৃদ্ধি হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় নির্দেশক। এ্যাপল জানিয়েছে যে, আগামী প্রান্তিকে তারা ৪৫৫০ কোটি থেকে ৪৭৫০ কোটি ডলার আয় আশা করে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। পর্যবেক্ষকরা বলেন, চলতি শরতে এ্যাপলের নতুন আইফোনের উত্তরোত্তর কিছু পরিবর্তন আসবে এবং ২০১৭ সালের আগে তার স্মার্টফোনের বড় ধরনের উন্নত সংস্করণ বের হবে না। তথাপি কোম্পানির ব্যবসায় বিস্ময়কর রকমের ভাল ফল হওয়ার কারণেই এর শেয়ারের দর ভাল রয়ে গেছে এবং কিছুটা বেড়েছেও। এ্যাপলের জন্য এটা নিঃসন্দেহে একটা সুসংবাদ। বিশেষ করে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং-এর একটি ঘোষণার পর এটাকে সুখবর না বলে উপায় নেই। স্যামসাং জানিয়েছে যে এর সর্বশেষ স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস ৭, এত ভাল বিক্রি হচ্ছে যে, কোম্পানির আয়-ব্যয় রিপোর্ট বের হলে দেখা যাবে এর মুনাফা দু’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অঙ্কে পৌঁছেছে। স্মার্টফোনের বাজারের প্রবৃদ্ধি বেশ কয়েক প্রান্তিক ধরে মন্থর যাচ্ছে। এ অবস্থায় ২০১৭ সাল হতে পারে প্রথম বছর যখন প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় পাঁচটি শ্রেণী স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টেলিভিশন ও ল্যাপটপ এই শিল্পেরও মোট আয়ের অর্ধেকেরও কম হয়ে দাঁড়াবে। এ্যাপলও এ থেকে ব্যতিক্রম কিছু হবে না। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট অনুবাদ : এনামুল হক
×