ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

২৪ আগস্ট শেষদিন

মাতারবাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্রের দরপত্র জমার সময় বাড়ল

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৩১ জুলাই ২০১৬

মাতারবাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্রের দরপত্র জমার সময় বাড়ল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাতারবাড়ি বিদ্যুত কেন্দ্রর দরপত্র জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। একমাস বাড়িয়ে আগামী ২৪ আগস্ট দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান হামলার পর এই সময় বৃদ্ধিকে বিশেষ গুরুত্ববহ বলে মনে করা হচ্ছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোয়াপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সরকারের মাতারবাড়ি প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম শনিবার দুপুরে জনকণ্ঠকে বলেন, এক মাস সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাপানী কোম্পানি বিদ্যুত কেন্দ্রটির দরপত্র কিনেছে তাদের অনুরোধে সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। গুলশান ট্র্যাজেডির জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটিও একটি কারণ। ঈদের আগে হলি আর্টিজানে হামলায় ৭ জন জাপানী নাগরিক নিহত হন। এদের সকলে মেট্রোরেলের কর্মকর্তা। জাইকা এই প্রকল্পেও সরকারকে ঋণ দিচ্ছে। এ ঘটনার পর আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ বিবৃতিতে জাইকা জানিয়েছিল তারা বাংলাদেশ সরকারের পাশেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে বলেও তিনি শেখ হাসিনাকে জানান। শুক্রবার জাপান টাইমসের একটি প্রতিবেদনকে ঘিরে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। পত্রিকার দিল্লী অফিস থেকে পাঠানো প্রতিবেদনের শিরনামে বলা হয় বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে দেরি হবে। কিন্তু খবরের শুরুতে বলা হয় বাংলাদেশ প্রকল্পটি স্থগিত করেছে। তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। জাপানের তোশিবা করপোরেশন ও মিতসুবিসি হিতাচি পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুটি কোম্পানিই দরপত্র ডকুমেন্ট কিনেছে। গত বছরের আগস্টে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ‘অত্যাধুনিক’ ক্ষমতার এ বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। পরে অবশ্য প্রকল্প ব্যয় কিছুটা কমানো হয়। কয়লা ওঠানামার জন্য বিদ্যুত কেন্দ্রের সঙ্গেই একটি বন্দর নির্মাণের প্রকল্প রয়েছে। যে বন্দরে গভীর সমুদ্র বন্দরের সকল সুবিধা থাকবে। এছাড়া মহেশখালীকে আধুনিক একটি নগরীতে পরিণত করতে চায় সরকার।
×