ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাতকানিয়ায় বন্যহাতির তা-বে ১৬ বসতঘর তছনছ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৭ জুলাই ২০১৬

সাতকানিয়ায় বন্যহাতির তা-বে ১৬ বসতঘর তছনছ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস/সাতকানিয়া সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ক্ষিপ্ত বন্যহাতির পাল ১৬ বসতঘর তছনছ করে দিয়েছে। এতে ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। সোমবার রাত ১টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বায়তুল ইজ্জত সত্যপীরের মাজারটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন বিভাগ ও এলাকাবাসী জানান, রাতে ১৬টি বন্যহাতির একটি পাল পাহাড় ছেড়ে উপজেলার ছদাহা এলাকার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। পরে হাতির পালটি মাহালিয়া বিল হয়ে কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক পার হয়ে কেঁওচিয়ার বায়তুল ইজ্জত সত্যপীরের মাজারটিলা এলাকায় অবস্থান নেয়। বেপরোয়া বন্যহাতির পাল মাজারটিলার আশপাশে থাকা ১৬ বসতঘর ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাজারটিলা এলাকার ফাতেমা বেগম, নুর জাহান বেগম, আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ সোলাইমান, নওশা মিয়া, মোহাম্মদ আইয়ুব, আবদুস ছালাম, খতিজা বেগম, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ হাসান, আবদুর মোতালেব, জাহেদা বেগম, মোহাম্মদ শাহজাহান, শাহেদা বেগম, রাশেদা বেগম ও মনোয়ারা বেগমের বসতঘর। হাতির দল এসব ঘরবাড়ি ল-ভ- করে দেয়। মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ ও কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। চেয়ারম্যান মনির আহমদ ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। তিস্তার স্রোতে ভেসে গেছে অর্ধশত বাড়ি স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ৮৮, ৯৬ ও ২০০৭ সালের চেয়েও সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করছে ডিমলা ও জলঢাকার দুই উপজেলার লাখো মানুষ। উজানের লাগামহীন ঢলের পানি অব্যাহতভাবে ধেয়ে আসায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে অবনতি হয়ে চলেছে। স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাকা ও কাঁচা সড়ক ডুবে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অনেক পরিবার যুদ্ধ করে চরের ভেতর টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে বাধ্য হয়ে বসতঘর ভেঙ্গে নৌকাযোগে চলে আসছে তিস্তার বাঁধে। মঙ্গলবার নতুন করে তিস্তার বাঁধে আরও ৬৫ পরিবার এসে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে তিস্তার বাঁধে এক হাজার পরিবার আশ্রয় নিল। ডিমলা উপজেলার একতারচর গ্রামে তিস্তা নদীর উথাল পাথাল ঢেউয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল স্রোতের টানে বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। রাস্তা, গুচ্ছগ্রাম ও বাঁধে আশ্রিতদের সংখ্যা বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে মঙ্গলবার বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা তীরের ১৬ গ্রামের ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ওই সব গ্রামের রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, হাটবাজার বলতে কিছুই নেই। ইটনায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ৩ ট্রলার যাত্রীর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৬ জুলাই ॥ হাওড় অধ্যুষিত ইটনা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে ট্রলারের মাঝিসহ তিন যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৭ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রাম সংলগ্ন হাওড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, ইটনা বাজারঘাট থেকে মঙ্গলবার দুপুরে ৪৫-৫০ যাত্রী ও মালামাল নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার হাওড়ে পল্লী বিদ্যুতের ঝুলন্ত তারের নিচ নিয়ে অতিক্রম করার চেষ্টা করলে ওপরে থাকা মাঝিসহ অন্তত ১০ যাত্রী বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। নিহতরা হলো-ট্রলারের মাঝি আবদুল আলীর ছেলে আফাজ উদ্দিন, শান্তিপুর গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আবদুর রহিম ও আতপাশা চকেশ্বর গ্রামের সজিব মিয়া।
×