ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেতু কর্তৃপক্ষ আইনসহ সংসদে দুটি বিল পাস

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ২৫ জুলাই ২০১৬

সেতু কর্তৃপক্ষ আইনসহ  সংসদে দুটি  বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিধি ভঙ্গের দায়ে জেল-জরিমানা ও বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৬’ নামের একটি বিলসহ মোট দুটি বিল পাস করা হয়েছে। পাসকৃত অপর বিলটি হচ্ছে রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) বিল ২০১৬। সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বিল দুটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেতু কর্তৃপক্ষ বিলের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে জাপার ফখরুল ইমামের একটি সংশোধনী গ্রহণ করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ২৫ এপ্রিল জাতীয় সংসদে এই বিলটি আনা হয়। আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসন আমলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো বিলুপ্ত হওয়ায় নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে আনা এই বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এবং ২০০৯ সালে নাম যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ২০০৯-এর কার্যকারিতা লোপ পায়। আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সেতু, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও বিধান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলো। এই বিলের ধারা ২৮-এ বলা হয়, কোন সেতু, টানেল টোল সড়ক বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, প্রাচীর, বেড়া, চিহ্ন, প্রতীক বা সংকেত ধ্বংস বা ক্ষতি করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এই ধারার অধীনে অপরাধের জন্য বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যাবে। অপরাধের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও কারাদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। রেলের সম্পত্তি দখল করলেও দ- ॥ রেলওয়ের সম্পত্তি চুরি, অবৈধ দখলে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারসহ সর্বোচ্চ সাত বছরের দ- এবং দখলে সহায়তার জন্য পাঁচ বছরের দ-ের বিধান রেখে ‘রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) বিল-২০১৬’ সংসদে পাস হয়েছে। রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বিল পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর আনীত বাছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ কণ্ঠভোটে সংসদে নাকচ হয়ে যায়। সংসদের চলতি অধিবেশনে গত ৯ জুন বিলটি উত্থাপিত হয়।
×