ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ অভাবে গুলশানের উচ্ছেদ অভিযান সম্ভব হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৫ জুলাই ২০১৬

পুলিশ অভাবে গুলশানের উচ্ছেদ  অভিযান সম্ভব হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাহিদামতো নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশ না পেয়ে রাজধানীর আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার থেকে একটানা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ অভিযান চলবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। আজ রাজধানীর উত্তরা থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, পুলিশ না পাওয়ায় পূর্ব ঘোষিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার থেকে একটানা এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশ পাওয়া গেছে, যারা উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য সঙ্গে থাকবেন। রাজউক সূত্র জানায়, একটানা ২১ কার্যদিবস চলা এ উচ্ছেদ অভিযানে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় খন্দকার অলিউর রহমান, উত্তরা আবাসিক এলাকায় খন্দকার জাকির হোসেন এবং ধানম-ি এলাকায় মোঃ নাসির উদ্দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন। তবে পুলিশ না পেলেও উচ্ছেদ চালানোর জন্য ধানম-ি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাসির উদ্দিন প্রস্তুত ছিলেন। তিনি জানান, আমি ছাড়াও অথরাইজড অফিসার, শ্রমিক এবং উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ সকাল থেকে সারাদিন এখানে অপেক্ষা করেছি। তবে পুলিশ না আসায় অভিযান শুরু করা যায়নি। এদিকে গুলশান ও বনানী এলাকার বিপণিবিতানে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সেখানে আজ থেকে অভিযান শুরু হবে বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন রাজউকের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার অলিউর রহমান। রাজউক সূত্র জানায়, উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বরাবর ১৮ জুলাই চিঠি পাঠায় রাজউক কর্তৃপক্ষ। রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) যুগ্মসচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২৪ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ২১ কার্যদিবস প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক প্লাটুন সশস্ত্র পুলিশ এবং কিছুসংখ্যক নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েনের অনুরোধ জানানো হয়। গত ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গী হামলার পর ঢাকার অভিজাত এ এলাকার অননুমোদিত স্কুল, কলেজ ও হোটেল-রেস্তরাঁসহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরই মধ্যে ২০ জুলাই সারাদেশের শহর এলাকার আবাসিক প্লট ও ভবনে থাকা ১২ হাজার ৯শ’ ৫৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে নোটিস দেয় সরকার। এছাড়া রাজউক রাজধানীর সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে আবাসিক এলাকা থেকে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে নোটিস প্রদানসহ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এদিকে এ অভিযানে কোন অবৈধ প্রতিষ্ঠানকেই কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলে অবৈধ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান মালিকদের হুঁশিয়ার করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি আবাসিক এলাকাকে আবাসিকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার ঘোষণাও দেন।
×