মশিউর রহমান খান ॥ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের সামনে কারারক্ষীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসানের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদফতর। ওই কমিটিকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার কারা অধিদফতর থেকে এ নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আট নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ সিলেট বিভাগের কারা মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এর জেলার তরিকুল ইসলাম।
ছাত্রলীগের বহিষ্কৃতরা হলেনÑ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমদ চৌধুরী, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মওদুদ আহমদ আকাশ, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাইয়াজ আহমদ জামিল, সহ-সম্পাদক মাসুম আহমদ মাহি, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রুহেল আহমদ, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দেলওয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ছয়েফ আহমদ (বালুচর) ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ দাস।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণ জানতে চাইলে সিলেট বিভাগের উপ-কারা মহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বৃহস্পতিবার কারারক্ষীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আমি হাজির হই। তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারি, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তার নামে ভাংচুরের মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। জামিনের কাগজ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বের করে দিতে এবং অন্য কোন মামলায় তাকে আটক না করতে সমর্থক নেতাকর্মীরা জেলের তালা ভাঙব, হিরণ ভাইকে আনবসহ নানা সেøাগান দিতে থাকে।