ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চল্লিশেও অলিম্পিকে দৌড়াবেন কলিন্স

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২২ জুলাই ২০১৬

চল্লিশেও অলিম্পিকে দৌড়াবেন কলিন্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়সে চল্লিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন কিম কলিন্স। কিন্তু বয়সের ফ্রেমে নিজেকে বেঁধে রাখতে নারাজ সেন্ট কিটস এ্যান্ড নেভিসের কিম কলিন্স। দেশের অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে আবারও অলিম্পিক দলে জায়গা করে নিয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন তিনি। এর ফলে ষষ্ঠবারের মতো ক্রীড়া জগতের মহাযজ্ঞ অলিম্পিকে খেলতে যাচ্ছেন তিনি। রিও অলিম্পিকে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই রোমাঞ্চিত এই স্প্রিন্টার। আগামী মাসেই শুরু হতে যাওয়া রিও অলিম্পিকে যাওয়ার আনন্দে টুইটারে তিনি লিখেন, ‘বন্ধুরা, অফিসিয়ালি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আমি রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।’ গত এপ্রিলে পূর্ণ করেছেন ৪০ বছর। তবে এখনও যে ফুরিয়ে যাননি অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়ে আবারও তা প্রমাণ করলেন কিম কলিন্স। ২০০৩ সালের বিশ্ব এ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা জিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন কলিন্স। এই কীর্তি খ্যাতি এনে দিয়েছিল তার দেশ সেন্ট কিটস ও নেভিসেরও। প্যারিসের সেই অর্জন অলিম্পিকে তার প্রথম কোন পদক জয়। সেই সঙ্গে দেশের হয়েও প্রথম কোন এ্যাথলেট হিসেবেও সেন্ট কিটস ও নেভিসকে স্বর্ণপদক উপহার দেন তিনি। কিন্তু এরপর এ্যাথলেটিক ট্র্যাকে তেমন বড় কোন সাফল্য পাননি। ২০০৪ সালে এথেন্স অলিম্পিকে ১০০ মিটারে হয়েছিলেন ষষ্ঠ। চার বছর পরের বেজিং অলিম্পিকে ২০০ মিটারেও ষষ্ঠ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাকে। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে হতাশ কলিন্স ২০০৯ সালে দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানার ঘোষণা দেন। তবে ট্র্যাকের মায়া কাটাতে পারেননি তিনি। দুই বছর পরই অবসর ভেঙ্গে ফিরে আসেন এ্যাথলেটিকসে। কিন্তু ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকেই কলঙ্কজনক অধ্যায়ের জন্ম দেন তিনি। ট্রেনিং সেশনে না থেকে স্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে সময় কাটান কলিন্স। এর ফল হিসেবেই অলিম্পিক থেকে তার নাম কেটে দেয় সেন্ট কিটস এ্যান্ড নেভিস। তবে দেশের অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে সবধরনের ঝামেলা মিটে গেছে তার। সেই ঝামেলা মিটিয়ে আবারও অলিম্পিকে জায়গা পেয়ে দারুণ আনন্দিত কলিন্স। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ঝামেলার অবসান ঘটেছে। তাতে আমি খুবই আনন্দিত। এর ফলে আমি আবারও দেশের হয়ে অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলাম।’ রিও অলিম্পিকে খেলার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কিম কলিন্স। দেশের অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে তাই দীর্ঘদিন ধরেই সমঝোতার চেষ্টা করেন তিনি। অবশেষে গত শনিবার কলিন্স, তার স্ত্রী, কোচ এবং সেন্ট কিটস ও নেভিসের অলিম্পিক কমিটির কর্মকর্তারা আলোচনায় বসেন। শেষ পর্যন্ত সেই সভাতেই কলিন্সের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। কলিন্সের এখন মূল লক্ষ্য রিও অলিম্পিকের আগে নিজেকে প্রস্তুত করা।
×