ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশানে আহত দুই কনস্টেবল চিকিৎসা শেষে পুলিশ লাইন্সে

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৩ জুলাই ২০১৬

গুলশানে আহত দুই কনস্টেবল চিকিৎসা শেষে পুলিশ লাইন্সে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গীদের হামলায় আহত দুই পুলিশ কনস্টেবল মোঃ আলমগীর ও প্রদীপ চন্দ্র দাসের চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরে তাদের রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগ ব্লক-১-এর কনসালট্যান্ট ডাঃ আশরাফ উদ্দিন খান জানান, দুই কনস্টেবলের শরীরের ক্ষতস্থানে সেলাই দেয়া হয়েছিল। তা খুলে দেয়া হয়েছে। তারা ভাল আছেন। এরপর তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি উপ-পরির্দশক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর দেড়টায় দুই কনস্টেবলকে এ্যাম্বুলেন্সে করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ১ জুলাই রাতের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গীদের বোমা হামলায় ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মোঃ রবিউল করিম (৩৮) ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন খান (৫০) নিহত হন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল মোঃ আলমগীর ও প্রদীপ চন্দ্র দাসসহ ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেদিন জিম্মি নাটকে জঙ্গীরা বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশীসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশী নাগরিক। পরদিন সকালে অপারেশন থান্ডারবোল্ট চালানো হয়। এতে পাঁচ জঙ্গী নিহত হয়। অভিযানে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিহত পাঁচ জঙ্গী হলো মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও সফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল। জঙ্গীদের বোমা হামলায় পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আহাদুজ্জামান ও গুলশানের ওসি সিরাজুল ইসলামসহ বর্তমানে পুলিশের মোট ২২ জন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ৪ জুলাই গুলশান থানায় হত্যা মামলা করে পুলিশ। খালেদার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার শুনানির সময় বৃদ্ধি কোর্ট রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সময় বৃদ্ধির একটি আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। মঙ্গলবার খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সময় বৃদ্ধির আবেদন করে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আগামী ধার্য তারিখে এ সংক্রান্তে একটি আবেদন আদালতে পেশ করা হবে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাদী এ্যাডভোকেট ড. মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী। ওইদিন আদালত খালেদা জিয়াকে হাজির হতে সমন জারি করে। গত ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া এই মামলাটিসহ ৫ মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহণ করেন। মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আসামি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘আজকে বলা হয়, এত (৩০ লাখ) শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও তো অনেক বিতর্ক আছে।’
×