ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোহামেডানকে হারিয়ে ঊষার কাছে মেরিনার্স

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৫ জুন ২০১৬

মোহামেডানকে হারিয়ে ঊষার কাছে মেরিনার্স

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছিল তারা আগেই। তবে লীগে হারের বদলা নেয়ার সুযোগ ছিল সুপার সিক্স পর্বে। কিন্তু সেই সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারলো না ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। ‘গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন’ হকিতে প্রতিশোধের ম্যাচে ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেল তারা। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শুক্রবারের একমাত্র ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচে বিজয়ী দল ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে সুসংহত অবস্থানেই রইলো মেরিনার্স। ১৪ খেলায় ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় ঊষার সমান পয়েন্ট অর্জন করলো মেরিনার্স। এক ম্যাচ কম খেলায় এখনও এক নম্বরেই আছে ঊষা। সমান খেলায় ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা থেকে পুরোপুরি ছিটকে পড়লো মোহামেডান। তারা আছে আগের চতুর্থ অবস্থানেই। পাকিস্তানী মিডফিল্ডার মোঃ তৌফিককে প্লে-মেকার হিসেবে রেখে দুইপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণ করার কৌশলে ম্যাচ শুরু করে মেরিনার্স। কাউন্টার এ্যাটাকনির্ভর খেলা খেলে মোহামেডান। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ১০ মিনিটে এগিয়ে যায় মেরিনার্স। দ্রুতগতির একটি কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ডানপ্রান্ত থেকে তীব্র হিট নেন মিডফিল্ডার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ওভারল্যাপ করে বক্সের মাঝামাঝি চলে আসেন ডিফেন্ডার ইশতিয়াক। স্টিক আড়াআড়ি পেতে গতিপথ পরিবর্তন করে দেন তিনি। সেই বল আছড়ে পড়ে বোর্ডে (১-০)। মোহামেডানের মাঝে দেখা যায়নি ম্যাচ জয়ের স্পৃহা। সেই স্পৃহা ছিল মেরিনার্সের মাঝে। আর এটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় জয়-পরাজয়ের ব্যবধান। দ্বিতীয়ার্ধেও মেরিনার্স ক্রমাগত আক্রমণ শানায়। ৪৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে দেন ইশতিয়াক (২-০)। ৫০ মিনিটে ড্র্যাগ স্পেশালিস্ট আশরাফুল ইসলাম নিশ্চিত করে দেন এ ম্যাচ মেরিনার্সের হাতছাড়া হচ্ছে না। রাব্বির পুশের পর শিশিরের স্টপে পেনাল্টি কর্নারে তৃতীয় গোলটি করেন আশরাফুল আর ৫৯ মিনিটে ওয়াকাস শরীফের একক নৈপুণ্যের গোলে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় মেরিনার্স। ৬৪ মিনিটে মোহামেডানের পাকিস্তানী ফরোয়ার্ড তাসওয়ার আব্বাস ব্যবধান কমান। একইভাবে ৬৯ মিনিটে পাকিস্তানী আরেক ফরোয়ার্ড মোঃ ইমরান পেনাল্টি কর্নার থেকে মোহামেডানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেছে তাদের! শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান। এই লীগে প্রতিটি দল (১২টি) পরস্পরের বিরুদ্ধে একবার করে লীগ পদ্ধতিতে খেলেছে। প্রথমপর্ব শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ৬ দল খেলছে সুপার সিক্স লীগে। লীগের প্রতিটি খেলায় বিজয়ী দল ৩, ড্র হলে ১ ও হারলে শূন্য পয়েন্ট পায়। প্রথমপর্বে অর্জিত পয়েন্ট যোগ করে প্রিমিয়ার বিভাগে সুপার সিক্স লীগের স্থান নির্ধারিত হবে। প্রথমপর্বের গোলসংখ্যা সুপার সিক্সে যোগ হবে না। শুধু সুপার সিক্সে পক্ষে এবং বিপক্ষে গোল স্থান নির্ধারণের জন্য ধরা হবে। তবে এই নিয়ম চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। প্রথমপর্ব ও সুপার সিক্স খেলা শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলকে লীগ চ্যাম্পিয়ন ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলকে রানার্সআপ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তবে পয়েন্ট সমান হলে গোল পার্থক্য ধরা হবে না। সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলের সংখ্যা বেশি হলে প্লে অব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচ ড্র হলে পেনাল্টি শূট আউটের মাধ্যমে খেলার ফল নিষ্পত্তি করা হবে।
×