ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মানববন্ধনে আহ্বান

গুপ্তহত্যা, সংখ্যালঘু হত্যার বিরুদ্ধে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৯ জুন ২০১৬

গুপ্তহত্যা, সংখ্যালঘু হত্যার বিরুদ্ধে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেছেন, ‘ঘাতক চক্র, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চক্র যদি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে; তাহলে আমরা প্রগতিবাদীরা কেন ঐক্যবদ্ধ হব না? দেশকে রক্ষার জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক দলের ঐক্য হলে হবে না। আমরা যেমন বিভিন্ন জাতীয় সঙ্কটে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম; আসুন বাংলাদেশে এ ধরনের গুপ্তহত্যা-সংখ্যালঘু হত্যা প্রতিরোধ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।’ শনিবার বেলা ১১টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘গুপ্তহত্যাসহ সকল হত্যাকা-ের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পথনাট্য পরিষদ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, দেশে সংখ্যালঘুদের বেছে বেছে হত্যার পেছনে দুটি কারণ আছে। প্রথমটি হলোÑ বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির যে বিধান করা হয়েছে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একটি গোষ্ঠী এ হত্যাকা- ঘটাচ্ছে। আর দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়Ñ তারা ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, এদের মূল উদ্দেশ্য যেনতেনভাবে ক্ষমতা দখল করা। গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ জেগে ওঠেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই জেগে ওঠাটা একটু বিলম্বিত হয়েছে। বিলম্ব করার আর সময় নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যেখানে হত্যাকা- ঘটবে সেখানে প্রতিরোধ হবে। এ সময় হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ১৪ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচী দেয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচী প্রত্যাশা করি। আলাদা আলাদা কর্মসূচী দিলে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সংস্কৃতিকর্মীরা সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের মৌল উদ্দেশ্যও এটি। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, দেশে আজ আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাদারীপুরে একজন আক্রমণকারীকে জনতা ধরে ফেলেছে। এটা হলো একটা আদর্শ। অন্যায় হলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি দেখি অন্যায় হচ্ছে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসাকে স্বাগত জানান। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদে সক্রিয় না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনও পরাজিত হয়নি, আমরা এ যুদ্ধেও পরাজিত হব না। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহম্মদ সামাদ বলেন, আমাদের (সংস্কৃতি কর্মীদের) শক্তি সীমিত। হত্যাকা- প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয়তা প্রয়োজন। এ সময় তিনি হত্যাকা- প্রতিরোধে জনসচেতনতা এবং সরকারের ভূমিকা বড় বিষয় বলে মন্তব্য করে বলেন, সরকারের মধ্যে বেসামরিক লোকদের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি না পেলে দৃর্বৃত্তরোধ করা সম্ভব হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পথনাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ দিয়াজ, নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি রেখা চৌধুরী, গবেষক মফিদুল হক প্রমুখ। সংশোধনী শনিবার দৈনিক জনকণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘নেত্রকোনায় পূর্ণাঙ্গ পাবলিক ভার্সিটি হচ্ছে ॥ জেলায় আনন্দের বন্যা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিএস-১ (একান্ত সচিব-১) এর নাম ও পদবি ভুল ছাপা হয়েছে। তার প্রকৃত নাম সাজ্জাদুল হাসান এবং পদবি পিএস-১ (একান্ত সচিব-১)। কিন্তু প্রকাশিত সংবাদে ভুলবশত সাজ্জাদুল হাসান খান এবং এপিএস-১ লেখা হয়। অনবধানবশত এ ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।- বার্তা সম্পাদক
×