ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহ ও জামালপুরে

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ॥ নিহত চার

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৮ জুন ২০১৬

তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ॥ নিহত চার

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ফুলবাড়িয়া উপজেলার ‘বড়বিলা’ বিলের শাখা ‘বড়খালে’ মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটেছে। প্রায় ৩০ মিনিটব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর ১৫ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে রাঙামাটিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনুহাদি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হালিম(৩০) ও একই গ্রামের কৃষক আনছার আলী(৪৮)। এই ঘটনায় পুলিশ বড়বিলা বিলের ইজারাদার সাবেক ইউপি মেম্বার রুস্তম আলী, মোজাম্মেল হক ও আব্দুল মতিন নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, স্থানীয়ভাবে বড়বিলা নামে পরিচিত বিলের ইজারা নিয়েছে সাবেক ইউপি মেম্বার রুস্তম আলী। একই সঙ্গে বড়বিলা বিল সংলগ্ন সরকারী বড়খালও জবরদখলে রাখেন রুস্তম। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে গ্রামবাসী বড়খালে মাছ ধরতে গেলে বাধা দেয় রুস্তম মেম্বারের লোকজন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিলের রুস্তম ও তার সমর্থকদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাধে। এই সময় দুই পক্ষ দা, বল্লম, সুরকি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ১৫ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২ টার দিকে মারা যান হালিম ও আনছার। নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর থেকে জানান, বকশীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ম-ল মিয়া (৫০) ও মোশারফ মিয়া (৪৫) নামে দুই জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-পুরুষসহ ১০ জন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের গোয়ালগাঁও এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর শহরের গোয়ালগাঁও এলাকার সাহা আলী ম-লের নাতি শিশু শামীম ও প্রতিবেশী মোশারফের মেয়ে মুঞ্জু রানী বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় শামীম ও মঞ্জু রানীর মধ্যে ঝগড়া বাধে এবং মারামারি করে। এর জের ধরে সন্ধ্যায় মঞ্জু রানীর পিতা মোশারফ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সাহা আলী ম-লের বাড়িতে শামীমকে ধরতে আসে। শামীমকে না পেয়ে মোশারফ মিয়া ও তার লোকজন সাহা আলী ম-লের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শিশু ও নারী পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাহা আলী ম-লের বড় ভাই ম-ল মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ১টার দিকে মারা যায়। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মোশারফ মিয়াকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শুক্রবার সকালে সাহা আলী ম-ল, তার ছেলে নুর আমিন ও মোশারফ গ্রুপের খলিল মিয়া ও জাকির হোসেন নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। সালথায় আহত ৬ ॥ বাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, সালথায় পূর্ববিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছয় ব্যক্তি আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে, রামকান্তপুর গ্রামের ওমর তালুকদারের সাথে রব তালুকদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পক্ষের দুই নারীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার জের ধরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ওমর তালুকদার ও তার পক্ষের দাউদ তালুকদারের দুটি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ঘরের মালামাল লুট করা হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হয়। আহত মামুন তালুকদারকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
×