ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১৭ জুন ২০১৬

আজ ভাষাসৈনিক গাজীউল হকের মৃত্যুবার্ষিকী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাষাসৈনিক এ্যাডভোকেট আ. ন. ম গাজীউল হকের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। তিনি ২০০৯ সালের এই দিনে রাজধানীর হাজীপাড়া নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে দেশ ও দেশের বাইরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটিতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, হাজীপাড়ার ‘ঝিলম’ এবং বগুড়ার সুলতানগঞ্জে ‘ভাষা নীড়’ মাজারে পৃথক পৃথক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ১৯২৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার নিচিন্তা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে ভাষাসৈনিক গাজীউল হক। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। ৪ঠা মার্চ সভায় সভাপতিত্ব ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ২১শে ফেব্রুয়ারি আমতলায় অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সভার সভাপতিত্বও করেন। আন্দোলনে নেতৃত্বের অপরাধে তিনি বহুবার কারাভোগ করেন। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন সারা জীবন সইতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহৃত হলেও এম. এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৩ সালে ছাত্র আন্দোলনের জন্য তিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর এম. এ ডিগ্রি কেড়ে নেন। ১৯৫৩ সালের মে মাসে তিনি নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের চাপে কর্তৃপক্ষ তাঁর ডিগ্রী ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এরপরেও তিনি বহুবার কারাভোগ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। উল্লেখ্য, পঞ্চাশের দশকে আইন ব্যবসা শুরু করেন তিনি। হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টেও সফলতার মুখ দেখেন। ইফতারে মালাই কুষ্টিয়ার ছেলে জলিল (৩০)। ঢাকায় এসেছেন বাড়তি কিছু আয়ের জন্য। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কুষ্টিয়ার মালাই আইসক্রিম। কিন্তু রোজার কারণে বর্তমানে তার ব্যবসা কিছুটা মন্দা যাচ্ছে। তবে সাধারণত ইফতারের পূর্বে তার ঠা-া মালাইয়ের ক্রেতা হন পথচারী ও রিক্সাচালকেরা। জলিল আশা করছেন, আগামী ২৬ রোজার মধ্যে পুরো পরিবারের জন্য ঈদ বাজার করে কুষ্টিয়ায় ফিরতে পারবেন। ছবিটি ফার্মগেট থেকে তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী।
×