ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে মতবিনিময় সভা জামায়াত নিষিদ্ধে টালবাহানা চলবে না ॥ শাহরিয়ার কবির

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ জুন ২০১৬

যশোরে মতবিনিময় সভা জামায়াত নিষিদ্ধে টালবাহানা  চলবে না ॥ শাহরিয়ার কবির

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। রবিবার বিকেলে যশোর সার্কিট হাউসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধ না করে আপনারা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। জামায়াতকে যারা নিষিদ্ধ করেছিলেন, তাদের মধ্যে আপনার (সৈয়দ আশরাফুল) বাবাও (সৈয়দ নজরুল ইসলাম) ছিলেন। তাহলে আপনাকে স্বীকার করতে হবে আপনার বাবা ভুল করেছিলেন। তাই আপনি আপনার বাবার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। যদি তা না হয়, তাহলে পরিষ্কার করে বলুন জামায়াত নিষিদ্ধ করতে সমস্যা কোথায়। সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন ও গুপ্তহত্যা প্রতিরোধে নাগরিক সমাজের ভূমিকা বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা শাখা এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। যশোর জেলা গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক কাজী আবদুস শহীদ লালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা যাবে না, এই টালবাহানা শুনতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অনেক দেশ জামায়াত নিষিদ্ধ চায় না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তো অনেকে চায় না। অনেক চাপ উপেক্ষা করে এই বিচার চলছে। জামায়াত সন্ত্রাসী দল। জামায়াত নিষিদ্ধ করতে আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। জেএমবি, আনসারুল্লা বাংলা টিমের মতো সন্ত্রাসী দলগুলোকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেভাবেই জামায়াত নিষিদ্ধ করা যাবে। শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ হয়ে যাবে, তেমনটি আমরা চাই না। পাকিস্তানের সমমানের বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, যে জুতো আমরা ছুঁড়ে দিয়েছি, সেটিতে কেন তোমরা পা গলাতে চাইছ। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গী দমনে জিরো টলারেন্স। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু তার চারপাশে যারা আছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিরো টলারেন্স মানছে না। সারাদেশে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। তিন হাজারের বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু একজনও হেফাজত কর্মী আটক করা হয়নি। যারা দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মানিক বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল। আর বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দল। আওয়ামী লীগও যদি সাম্প্রদায়িক দলে পরিণত হয়। তবে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য থাকবে না। আওয়ামী লীগের অসাম্প্রদায়িক চেতনার পবিত্রতা নষ্ট হলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার রায়, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দৌলা, ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস রতন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দত্ত, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য, সহকারী অধ্যাপক গোপী কান্ত সরকার, অখিল চক্রবর্তী, জেলা জাতীয় যুব জোটের সভাপতি স্বপন ভদ্র।
×