ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২০ হাজার মানুষের ভরসা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সাঁকো

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১১ জুন ২০১৬

২০ হাজার মানুষের ভরসা স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত সাঁকো

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ চাড়ালকাটা নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত গাংবেরে অবস্থিত বাঁশের সাঁকোটি প্রায় ২০ হাজার লোকের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে। সেখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ আট বছরেও পূরণ হয়নি। শুষ্ক মৌসুমে মানুষজন হেঁটে নদী পারাপার করে থাকে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেড়ে গেলে সেটি আর হয় না। ফলে এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে নিজ খরচে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিবছর বাঁশের সাঁকো মেরামত করে যাতায়াত করে। সরেজমিনে জানা যায়, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সাথে জেলা সদরের যাতায়াতে কম সময়ে মাত্র ১৫ কিলোমিটার সহজ পথ হলো নিতাই ইউনিয়নের সাথে চকেয়াপাড়া, কোরানীপাড়া, আদিয়ার পাড়া, নিতাই হাটের নীলফামারী সদরের চাপড়া সরনজামী গ্রামের রাস্তা। কিন্তু মাঝে রয়েছে চাড়ালকাটা নদী। ওই সব এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ সহজপথে চলাচল করতে চাঁদা তুলে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে নদীর ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে ২০০ মিটারের বেশি একটির সাঁকো নির্মাণ করে। দীর্ঘ আট বছর ধরে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়। এরপর প্রতিবছর তা সংস্কার করে চলছে তারা। এই অবস্থায় গ্রামবাসী পুনরায় চাঁদা তুলে ২০১৪ সালে আরসিসি পিলার দিয়ে চার লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি নতুনভাবে নির্মাণ করতে বাধ্য হয়। এই সাঁকোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষজন চলাচল ছাড়াও গ্রামগুলোতে থাকা গাংবের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ুয়া হাফিজিয়া মাদরাসা, নিতাই উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করে থাকে। তাছাড়া এই নদীপাড়ের মানুষগুলোকে ভারি কোন মাল নিয়ে এক কিলোমিটারের পথ যেতে হয় ছয় কিলোমিটার ঘুরে।
×