সংসদ রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরেই বজ্রপাতে ১৪২ জন মারা গেছে। হবিগঞ্জ জেলায় সর্বোচ্চ ১৫ জন বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে। ‘বজ্রপাত’কে ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক ‘জাতীয় দুর্যোগ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বজ্রপাত থেকে জানমাল রক্ষার্থে সরকার থেকে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। তিনি জানান, গ্রীষ্মকালে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেঘের ভিতরে জলীয়বাষ্প ঢুকে উপরে পজেটিভ মেঘ এবং নীচে নেগেটিভ মেঘ একত্র হয়ে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। বিগত বছরগুলোতে বজ্রপাতে নিহত ব্যক্তিদের তথ্য জেলা প্রশাসনে সংরক্ষণের কোন তথ্য অধিদফতরের জানা নেই। তবে চলতি বছর থেকে নিহতদের সংখ্যা সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে জেলাওয়ারী বিশেষ টি আর খাতে ১১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৭৪ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, বিশেষ কাবিখা খাতে ৭ হাজার ২৭ মেট্রিক টন খাদ্য এবং কাবিটা খাতে ২১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বরাবরে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
৬৮ দেশে বাংলাদেশের নারী কর্মী ॥ প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি জানান, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৬৮টি দেশে নারীকর্মী যায়। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯১ জন নারীকর্মী বিদেশে গিয়েছেন।