ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরাসরি উপকৃত হবেন কৃষক

ই-কৃষি সম্প্রসারণে আধুনিক তথ্য কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৮ জুন ২০১৬

ই-কৃষি সম্প্রসারণে আধুনিক তথ্য কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ

ফিরোজ মান্না ॥ ই-কৃষি সম্প্রসারণে সরকার গ্রাম এলাকায় ২৫৪টি আধুনিক এআইসিসি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সেন্টারগুলোর মাধ্যমে কৃষক সরাসরি উপকার ভোগ করার সুযোগ পাবেন। প্রকল্পটির কার্যক্রম আগামী জুলাইয়ে চালু হবে। কার্যক্রম চালু করার আগে সারা দেশের কৃষকদের এ সম্পর্কে কয়েকটি ভাগে প্রশিক্ষণ দেবে বিসিসি। ইতোমধ্যে প্রথম দফার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, ই-কৃষি সম্প্রসারণে ও কৃষকদের মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে কৃষি তথ্য সরবরাহের লক্ষ্যে সরকার পল্লী এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ২৫৪টি আধুনিক এগ্রিকালচার ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টার (এআইসিসি) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গবর্মেন্ট ফেজ-২ প্রকল্প (ইনফো-সরকার)। এই ফেইজের আওতায় দেশের ১৪ হাজার ফার্মার্স ক্লাবের মধ্য থেকে বিদ্যুত ও যোগাযোগ সুবিধা সয়বলিত ২৫৪টি উপজেলা ফার্মার্স ক্লাবকে এ আইসিসিতে রূপান্তর করা হচ্ছে। ইনফো-সরকার প্রকল্পে প্রতিটি এআইসিসিকে আর্থিক সহায়তাসহ একটি করে সাউন্ড সিস্টেম, বড় পর্দাসহ মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্পাইরাল মেশিন, ল্যাপটপ, দু’বছরের জন্য ইন্টারনেট সুবিধাসহ মোডেম, কালার প্রিন্টার, স্ক্যানার, স্মার্ট ফোন, জেনারেটর সরবরাহ করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এ ধরনের আধুনিক এআইসিসি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কৃষকের কৃষি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি। এ কারণে আমরা গ্রাম এলাকায় ই-কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষকের কাছে নিরবচ্ছিন্নভাবে কৃষি তথ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য ২৫৪টি উপজেলায় ২৫৪টি এআইসিসি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কৃষির বিষয়টি জ্ঞানভিত্তিক হয়ে উঠছে। সরকার তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষি বিষয়ক তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনীকে উৎসাহিত করছে সরকার। একজন কৃষককে যদি বীজ, উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা যায় তা যেমন উৎপাদন বৃদ্ধিতে তেমনি তা উৎপাদিত পণ্যের ন্যয্য দর পেতে সহায়তা করে। এক একজন ক্লাব সদস্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে কৃষি তথ্য সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে মূলত একজন স্মার্ট কৃষকের ভূমিকা পালন করবে। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, আধুনিক কৃষি তৈরি করতে না পারলে দেশে বিপুল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ হবে না। তাই কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে দেশে নতুন করে কৃষি বিপ্লব ঘটবে। এজন্য গবেষণালব্ধ পর্যাপ্ত তথ্য আধুনিক কৃষিকে বেগবান করবে। দেশের কৃষক সমাজ আজও পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার এখনও চোখে পড়ার মতো তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। কৃষি কাজে আধুনিক ধ্যান-ধারণা, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও জমিতে বীজ, সারসহ অন্যান্য উপদানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সন্নিবেশ ঘটানো হবে এআইসিসি নামের ওয়েবসাইটে। দেশের মানুষের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নের জন্য তাদেরকে জমিভিত্তিক চাষবাসের পাশাপাশি মৎস্য চাষ, গবাদি পশু ও পাখি পালনেও উৎসাহিত করার বিষয়ে নানা তথ্য থাকবে ই-কৃষিতে। শুধু উৎপাদন নয়, উৎপাদিত পণ্য যেন ভাল বাজারদর পায় সে জন্য প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা থেকে একটু ভিন্নরকম কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে প্রচলিত ভার্চ্যুয়াল বাজার ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইনফো-সরকার প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশে ২৪৫টি এআইসিসি রয়েছে। কিন্ত নতুন ২৫৪টি এআইসিসি হবে আধুনিক যা গ্রাম এলাকায় ই-কৃষি সম্প্রসারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতর প্রাণ। প্রথাগত কৃষি সম্প্রশারণ ব্যবস্থাপনায় মাঠ পর্যায়ে কর্মরত একজন সম্প্রসারণ কর্মীর পক্ষে বিশাল জনগোষ্ঠীকে সময়মতো ও চাহিদামাফিক তথ্যসেবা দান করা রীতিমতো অসম্ভব। অথচ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সকল ধরনের তথ্য কৃষকের হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। কৃষি তথ্য সার্ভিসের ই-কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে ই-কৃষির মাধ্যমে। চট্টগ্রামে বিলাসবহুল আরেকটি গাড়ি আটক স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে আরও একটি বিলাসবহুল গাড়ি। প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের এ গাড়িটি ইংল্যান্ড থেকে আনা হয়েছিল কারনেট সুবিধায়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার দুপুরে গাড়িটি জব্দ করে। গত সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের একটি গাড়ি আটকের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ পরিচালক শামীমুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, মঙ্গলবার আটক করা গাড়িটির মালিকের নাম সৈয়দ আজম উদ্দিন বলে আমরা জেনেছি। তবে তিনি ঢাকায় রয়েছেন।
×