ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়ান

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ২ জুন ২০১৬

দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়ান

লোকমান হেকিম ঋতু বৈচিত্র্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হরেক রকম ফলের সমারোহ দেখা যায় আমাদের দেশে। বাংলা বছরের প্রথম চার মাস অর্থাৎ বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাসে মোট ফলের ৫৪ শতাংশ এবং বাকি ৮ মাসে অর্থাৎ ভাদ্র থেকে চৈত্র মোট ফলের ৪৬ শতাংশ উৎপাদিত হয়। এতে সারা বছর প্রয়োজনীয় পরিমাণ ফল পেতে অসুবিধা হয়। তাই বিদেশ থেকে ফল আমদানি করতে হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে প্রতিদিন ১০০-১২০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। কিন্তু বাস্তবে গড়ে আমরা খেতে পাচ্ছি মাত্র ৩০-৪০ গ্রাম। এ অবস্থায় ফলের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সারা বছর ফল প্রাপ্তির বিষয়টি বিবেচনা করে ফল উৎপাদন কর্মসূচী হাতে নেয়া জরুরি। সেই সঙ্গে ফল প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যমেও সারা বছর ফলের অভাব পূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফলের দেশ-বাংলাদেশ। আমাদের দেশে প্রায় ৭০ রকমের ফল জন্মে। দেশী ফলগুলো রঙে, রসে, স্বাদে অনন্য। ফল আমাদের শারীরিক পুষ্টি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাজধানী ঢাকাসহ সমগ্র দেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ফল চাষী বুঝে কিংবা না বুঝে ফল পাকানোর জন্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করেন। এতে ক্যান্সার, কিডনি, পাকস্থলীর পীড়া, মূত্রনালীসহ নানা রকম মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ, নষ্ট হয় প্রাকৃতিক ভারসাম্য। খাদ্যে ভেজাল ও ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। ক’দিন পরই রমজান মাস। তাই ফলে ফরমালিন ও বিষাক্ত রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ইমাম, খতিব, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, মোড়ল-মাতব্বর, পরিবারের কর্তা সবারই বিশেষ দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ভোক্তা আইন আরও কঠিনভাবে প্রয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন সংবাদপত্র, রেডিও, টিভিতে ব্যাপক প্রচার করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মোবাইল টিমের মাধ্যমে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ফল, শাকসবজি ও খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ রোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। আম্বরখানা, সিলেট থেকে
×