ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে ইনিংস হার এড়াল লঙ্কানরা

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৩১ মে ২০১৬

চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে ইনিংস হার এড়াল লঙ্কানরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডারহাম টেস্টে ব্যাট হাতে একাই শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচালেন দীনেশ চান্দিমাল। খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ১২৬ রানের ইনিংস। ৯ উইকেটে ৪৯৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। জবাবে ১০১ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে লঙ্কানরা। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে কুশল সিলভা যখন আউট হন লঙ্কানদের রান তখন ১৮২, ইনিংস হার এড়াতে চাই আরও ২০৩ রান। ক্রিস ওকস, জেমস এ্যান্ডারসনের বোলিং তোপের সামনে সেটি মনে হচ্ছিল দুরূহ। দুরূহ সেই কাজটাই করলেন চান্দিমাল। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তাকে ভাল সঙ্গ দিয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ (৬১)। চান্দিমাল-হেরাথ বীরত্বে শেষ পর্যন্ত ৪৭৫ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। সোমবার চতুর্থ দিন রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় ৭৯ রানের সহজ জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশদের হয়ে ব্যাট করছিলেন দুই ওপেনার এ্যালিস্টার কুক ও এ্যালেক্স হেলস। ২০৭ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ১২৬ রান করে স্টয়ার্ট ব্রডের বলে বোল্ড হন চান্দিমাল। ২৭তম টেস্টে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি এবং ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। শ্রীবর্ধনে-চান্দিমাল ৯২ রানের জুটি গড়েন। যেখানে মিলিন্দা শ্রীবর্ধনের ব্যাট থেকে আসে ৩৫। বড় চমকটা এরও পরে। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৮ ওভারে ১১৬ রান তুলে নেন রঙ্গনা হেরাথ ও চান্দিমাল! যেখানে ‘বোলার’ চান্দিমালের অবদান ৬১। ৯৯ বলে ৮ চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। ফলোঅনে পড়েও সপ্তম উইকেট জুটিতে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে নাম লেখান চান্দিমাল-হেরাথ। ১৫৪ রান নিয়ে এ তালিকায় সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন গোডার্ড-কলিন স্মিথ জুটি। নটিংহামে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই রেকর্ড গড়েন তারা। ইংল্যান্ডের হয়ে এ্যান্ডারসন ৫ ও ওকস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের ষষ্ঠ বোলার হিসেবে সাড়ে ৪’শ উইকেট (১১৫* টেস্টে ৪৫১) নেন এ্যান্ডারসন। কম ম্যাচ খেলার হিসাবে যা তৃতীয় দ্রুততম। ৩৯৭ রানে পিছিয়ে থাকায় আরেকটি ইনিংস পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল অতিথিদের। সফরে আগের তিন ইনিংসেই শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ১০ রানে। এবার সেটাকে ৩৮ পর্যন্ত নিয়ে যান কুশল সিলভা ও দিমুথ করুনারতেœ। ওকস উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ৪১ রানের আরেকটি জুটি গড়েন সিলভা। করুনারতেœ ও মেন্ডিস ফেরেন ২৬ রানে। মাটি কামড়ে পড়েছিলেন ৫৫ বল খেলা করুনারতেœ। পাল্টা আক্রমণে যাওয়া মেন্ডিসের ইনিংস শেষ হয় ২২ বলে। আগের ইনিংস প্রতিরোধ গড়া থিরিমান্নেকে এবার চার নম্বরে নামায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। মঈন আলির বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় তার ১৩ রানের ইনিংস। ১০০ রানে তিন উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখান অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। এক প্রান্তে সতর্ক ব্যাটিং করেন সিলভা, অন্য প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখেন ম্যাথুস। চা-বিরতির পর সিলভাকে বিদায় করে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ ভাঙ্গেন স্টিভেন ফিন। জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসবন্দী হলে শেষ হয় সিলভার ১৪৫ বল স্থায়ী ৬০ রানের ইনিংস। এ্যান্ডারসনের চমৎকার এক ডেলিভারিতে শেষ হয় ম্যাথুসের অধিনায়কোচিত ইনিংস। শ্রীলঙ্কার স্কোর তখন ৫ উইকেটে ২২২ রান। ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ১০৫ বলে ৮০ রান করেন ম্যাথুস। এরপরই শুরু চান্দিমালের প্রতিরোধ-গল্প।
×