ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

বাংলাদেশে মরিচের চাষ

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৩০ মে ২০১৬

বাংলাদেশে মরিচের চাষ

মরিচের চাষ বাংলাদেশের সব জেলাতেই হয়। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নাটোর ও যশোর জেলায়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মরিচ চাষ ও উৎপাদনের উপর একটি নমুনা জরিপ সম্পন্ন করে। দেশব্যাপী বিস্তৃত এই জরিপে এক শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি জমিতে যেসব কৃষক মরিচ চাষ করেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই অন্তর্ভুক্ত অনুযায়ী এদেশে মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৭ কৃষক বাণিজ্যিকভাবে মরিচ উৎপাদন করে বলে জানা গেছে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের বাইরে কৃষকের আনাচে-কানাচে নিজেদের খাওয়া বা ব্যবহারের জন্যে যে মরিচ উৎপাদিত হয় তা বাণিজ্যিকভাবে মরিচ উৎপাদনে প্রযুক্ত জমির সমান বলে ধরে নেয়া যায়। এই হিসাবে সারাদেশে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৪ একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয় বলে ধারণা করা যায়। জরিপে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে মরিচ উৎপাদনে প্রযুক্ত জমির মধ্যে শতকরা ৭৬ ভাগ চাষীদের নিজস্ব মালিকানাভুক্ত। এর বাইরে ভাগচাষের ভিত্তিতে মরিচ উৎপাদিত হয় শতকরা ৭.৬৫ ভাগ জমিতে; মরিচ উৎপাদনে প্রযুক্ত সব জমির শতকরা ৯ ভাগ ইজারায় নেয়া এবং শতকরা ৫ ভাগ বন্ধককৃত জমি। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে প্রযুক্ত সকল জমির শতকরা প্রায় ২৬ ভাগ ঢাকা বিভাগে, শতকরা ১৯ ভাগ চট্টগ্রাম বিভাগে, শতকরা ১৮ ভাগ রাজশাহী বিভাগে এবং শতকরা ১৮ ভাগ রংপুর বিভাগে অবস্থিত। মরিচ চাষে প্রযুক্ত সকল জমির সবচেয়ে কম- শতকরা প্রায় ২ ভাগ সিলেটে । দেশে মরিচ সাধারণত শীত ও গ্রীষ্মকাল উভয় মৌসুমেই উৎপাদিত হয়। প্লাবন ও অতি বৃষ্টি মরিচ উৎপাদনের প্রতিকূল। মরিচের শীতকালীন উৎপাদন গ্রীষ্মকালীন উৎপাদন থেকে অধিকতর বিস্তৃত। জরিপে প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী সারাদেশে উৎপাদিত মরিচের মধ্যে শতকরা ৭৯ ভাগ স্থানীয় বীজ থেকে এবং শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ অধুনা প্রচলিত হাইব্রিড বীজ থেকে উৎসারিত। লাভজনকতার নিরিখে হাইব্রিড বীজ উৎসারিত মরিচ দ্রুত স্থানীয় বীজের মরিচকে বিকল্পায়িত করবে বলে ধারণা করা যায়। জরিপে দেখা গেছে যে, সারাদেশে মরিচ একক ফসল হিসেবে উৎপাদনে প্রযুক্ত সকল জমির শতকরা ৮১ ভাগে উৎপাদিত হয়। মিশ্র ফসল হিসেবে মৌসুম প্রতি মরিচের উৎপাদনে প্রযুক্ত জমি মরিচ চাষে সকল জমির শতকরা ১৯ ভাগ। মরিচ উৎপাদনের মৌসুম শেষে একই জমিতে অন্যান্য ফসল, বিশেষত ধান, গম উৎপাদিত হয়। অপেক্ষাকৃত উঁচু ও প্লাবনমুক্ত জমিতে মিশ্র চাষ ক্রমাগতভাবে বাড়বে বলে ধারণা করা যায়। জরিপে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মৌসুম প্রতি চারা রোপণে প্রতি একরে ২১ জন-দিবসের প্রয়োজন হয়। একর প্রতি নিড়ানিতে ও আগাছা সাফকরণে প্রয়োগ হয় ২৭ জন-দিবস আর ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে প্রয়োজন হয় প্রায় ৭৩ জন-দিবস। দৃশ্যত মরিচ তোলার কাজ শ্রম নিবিড় এবং এর যান্ত্রিক বিকল্পায়ন সহসা হবে বলে মনে হয় না। সর্বমোট মৌসুম প্রতি মরিচ লাগানো থেকে উঠানো পর্যন্ত প্রয়োজন হয় ১২১ জন-দিবস। দৃশ্যত মরিচ উৎপাদনে এখন পর্যন্ত জমি চাষের বাইরে উন্নতর প্রযুক্তি বা যন্ত্রের ব্যবহার হয় না। চাষে ব্যবহৃত হয় ট্রাকটর ও টিলার। জরিপে পাওয়া গেছে, বাণিজ্যিকভাবে মরিচ উৎপাদনে জমি ইজারা নেয়ার মূল্য একর প্রতি বাৎসরিক ৮ হাজার ৮৭৯ টাকা। মনে হচ্ছে যেসব জমিতে মরিচ উৎপাদন প্রাকৃতিকভাবে সহজতর ও লাভজনক সেখানে একর প্রতি ইজারা মূল্য বেশ বেশি। ধারণা করা যায় যে, প্লাবিত কিংবা অন্যভাবে মরিচ চাষের জন্য লাগসই নয় এমন জমির ইজারা মূল্য খুব বেশি নয়। মরিচ গাছ রোপণের সময় থেকে ৩ মাসের মাথায় গাছ থেকে মরিচ পাওয়া যায়। পাঁচ মাসের মাথায় কাঁচামরিচ পাকা হয়। পরের ১৫ দিন থেকে ১ মাসে পাকামরিচ রোদে দিয়ে শুকানো হয়। মরিচ উৎপাদনের এই সময় ধান বা গম উৎপাদনের সময়ের প্রায় দেড়গুণেরও বেশি। এর অর্থ মরিচের একর প্রতি উৎপাদন মূল্য ধান বা গমের একর প্রতি উৎপাদন মূল্যের দেড়গুণের বেশি না হলে মরিচ উৎপাদনে অধিকতর জমি প্রযুক্ত হবে না। শুকনো মরিচের হিসেবে খরিফ মৌসুমে প্রায় ১৯০০০ টন, আর রবি মৌসুমে ১২৪০০০ টন। কৃষি পরিসংখ্যানের বার্ষিক গ্রন্থ অনুযায়ী খরিফ মৌসুমে সারাদেশে ৫৮০০ একরে এবং রবি মৌসুমে ৩৭৫০০০ একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয়। তবে মোট উৎপাদনের প্রায় ৮৭% রবি মৌসুমে হয়। জেলাওয়ারি হিসেবে সবচেয়ে বেশি মরিচ হয় বৃহত্তর বরিশাল জেলায়, রবি মৌসুমের মোট উৎপাদনের প্রায় ১৪%। মোট রবি মৌসুমের উৎপাদনের ১০% হয় বৃহত্তর কুমিল্লায়। ৯% হয় বৃহত্তর নোয়াখালীতে আর ৭% হয় বৃহত্তর রংপুরে। এককালে সবচেয়ে বেশি মরিচ উৎপাদিত হতো বৃহত্তর রংপুরে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি হয় বরিশাল ও কুমিল্লায়। শুকনো মরিচের উৎপাদনের পরিমাণের ২০% কাঁচামরিচ হিসেবে বাজারে আসে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। এই হিসেবে বার্ষিক ২৮৬০০ টন শুকনো মরিচের ওজনের হিসাবে কাঁচামরিচ প্রতিবছর বিক্রি হয়। কাঁচামরিচ শুকনো মরিচ থেকে ৩ গুণ বেশি ওজনবিশিষ্ট বলে ধরে নিলে প্রতিবছর বাজারে আসা কাঁচামরিচের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৫৮০০ টন। শুকনো মরিচ কোন কোন বছরে আমদানি হলেও কাঁচামরিচ বাংলাদেশ কখনও আমদানি করেনি। পচনশীল পণ্য এবং সাময়িক উচ্চতর চাহিদার নিরিখে কাঁচামরিচ এই দেশে আমদানির পরিধি নেই বললেই চলে। ২০০০ সালে সংগৃহীত তথ্য থেকে ২০১৪ সালে সমাপ্ত জরিপে মরিচ উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্যাদিতে বেশ পার্থক্য ব্যাখ্যাকরণের জন্য কোন চেষ্টা পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে হয়নি। ২০১৪ সালের জরিপে প্রতিভাত হয়েছে যে, মরিচের একর ও মৌসুম প্রতি উৎপাদন খরচ গড়ে ৪৫২৪২ টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় বা দেশী মরিচ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় হিসাবকৃত হয়েছে ৪৩৭১৪ টাকা, হাইব্রিড মরিচের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫১৯৬৩ টাকা। ধারণা করা যায়, হাইব্রিড মরিচের ক্ষেত্রে অধিকতর সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। দেশী ও হাইব্রিড মরিচের বাইরে অন্যান্য মরিচের ক্ষেত্রে একর প্রতি উৎপাদন খরচ হিসাব করা হয়েছে ৪৬৭৬৮ টাকা। এর থেকে ধারণা করা যায় যে, বিশেষ জাতের মরিচ, উদাহরণত বোম্বাই, কামরাঙ্গা ও ধনে মরিচের উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যয় সাধারণত দেশী বা হাইব্রিড মরিচ উৎপাদনের তুলনায় অধিক। জরিপে বিভাগওয়ারি একর প্রতি মরিচের উৎপাদন ব্যয় জানা গেছে। জানা তথ্য অনুযায়ী খুলনা বিভাগে একর প্রতি মরিচের উৎপাদন ব্যয় সবচেয়ে বেশি- ৪৯৪৪৯ টাকা। সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগেÑ৩১৫৫৩ টাকা। চট্টগ্রাম বিভাগে একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় ৪৭৮৭৮ টাকা। ঢাকা বিভাগে একর প্রতি উৎপাদন ব্যয় ৪৫৪২৪ টাকা, রাজশাহীতে ৪৯২০৫ টাকা, রংপুরে ৪১৮১১ টাকা এবং সিলেটে ৪১৬৭ টাকা। একর প্রতি উৎপাদন ব্যয়ের এই তারতম্যের কারণ জরিপে প্রতিভাত হয়নি। বরিশাল বিভাগের একর প্রতি মরিচের উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে প্রায় শতকরা ৫৭ ভাগ বেশি একর প্রতি মরিচ উৎপাদনে খুলনায় কেন প্রয়োজন হবে তা বোঝা মুশকিল। জরিপে অবশ্য দেখা গেছে যে, একর প্রতি মরিচের উৎপাদন বরিশালের তুলনায় খুলনাতে প্রায় দ্বিগুণ। এই তারতম্যের বিষয়টি বোঝা মুশকিল। গড়ে সারাদেশে মরিচ উৎপাদনে একর প্রতি ব্যয় হয় ৩৫২৪২ টাকা। এর মধ্যে শতকরা ৯ ভাগ প্রয়োজন হয় জমি চাষ ও তৈরিতে, শতকরা প্রায় ১৫.৫ ভাগ লাগে চারা ক্রয় এবং রোপণে, প্রায় শতকরা ১১ ভাগ প্রয়োজন হয় নিড়ানিতে, প্রায় শতকরা ৮ ভাগ লাগে সেচে, শতকরা ৭.৫ ভাগ লাগে কীটনাশক প্রয়োগে, প্রায় শতকরা ২০ ভাগ লাগে সারে। ২১ ভাগ প্রয়োজন হয় ফসল তোলায়। ধারণা করা যায়, রোপণ, নিড়ানি এবং ফসল তোলার প্রক্রিয়ায় এখনও আধুনিক প্রযুক্তির প্রচলন হয়নি। অধুনা জমি চাষ ও তৈরিকরণে ট্রাকটর, টিলার বহুলাংশে প্রযুক্ত হতে দেখা গেছে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে একর প্রতি মরিচের উৎপাদন ৮৯১ কি.গ্রা.। একর প্রতি সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে খুলনায়- প্রায় ১১১৫ কি.গ্রা., রাজশাহীতে একর প্রতি উৎপাদনের পরিমাণ ১০৫৮ কি.গ্রা., রংপুরে ৯২১ কি.গ্রা., ঢাকাতে ৮১২ কি.গ্রা. এবং চট্টগ্রামে ৮৪০ কি.গ্রা.। খুলনা বিভাগে মরিচের একর প্রতি উৎপাদন বরিশাল বিভাগের একর প্রতি উৎপাদনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ তা জরিপে প্রাপ্ত তথ্যাদির আলোকে বোঝা যায় না। জরিপ অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগে একর প্রতি উৎপাদিত মরিচের মূল্য বা দাম সবচেয়ে বেশি-১,০৬,৪৭৯ টাকা। আবার একর প্রতি উৎপাদনের মূল্য বা দাম বরিশালে সবচেয়ে কম- ৬৮,৩৪০ টাকা। চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে একর প্রতি উৎপাদনের মূল্য প্রায় সমমাত্রার। সারাদেশে গড়ে একর প্রতি মরিচের উৎপাদন মূল্য ৯৯,০৫৯ টাকা। বরিশালের একর প্রতি মরিচের উৎপাদন মূল্য অন্যান্য বিভাগ থেকে কেন এত কম তা বোঝা যায় না। অধুনা দেশব্যাপী সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ার ফলে সকল কৃষি পণ্যের বাজারদর সমপর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য দেখা গেছে যে, অন্যান্য বিভাগের তুলনায় বরিশালে একর প্রতি মরিচের উৎপাদন সবচেয়ে কম। জরিপে দেখা গেছে যে, একর প্রতি মরিচের উৎপাদন দেশী মরিচের বেলায় ৮৪১ কি.গ্রা., হাইব্রিড মরিচের উৎপাদনের পরিমাণ একর প্রতি ১১৩২ কি.গ্রা.। অন্যান্য মরিচের ক্ষেত্রে ৮৭৪ কি.গ্রা.। এতে বোঝা যায় যে, জমির গঠনে তাৎপর্যমূলক পার্থক্য না থাকলে হাইব্রিড জাতের মরিচ অন্যান্য জাতের মরিচের উৎপাদনকে প্রায় বিকল্পায়িত করে ফেলবে। দেশী ও অন্যান্য মরিচের ক্ষেত্রে উফশী বীজের উদ্ভাবন তাড়াতাড়ি ঘটানো প্রয়োজন। এদিকে কৃষি গবেষণাবিদদের নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে হয়। জরিপ অনুযায়ী একর প্রতি উৎপাদনের মূল্য বা দাম হাইব্রিড মরিচের ক্ষেত্রে ১,২০,৪৩০ টাকা, দেশী মরিচের বেলায় ৯৪,৫৬২ টাকা এবং অন্যান্য মরিচের বেলায় ৯৮,৩৫৪ টাকা। সারাদেশে গড়ে একর প্রতি উৎপাদনের মূল্য এই জরিপে এভাবে হিসাবকৃত হয়েছে ৯৯,০৫৯ টাকা। জরিপে প্রাপ্ত উপাত্তাদির আলোকে মরিচ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই দেশে মরিচের উৎপাদন বা সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বীজের অনুপস্থিতি বা অভাব। ধান ও গমের ক্ষেত্রে উফশী বীজের উদ্ভাবন ও প্রয়োগ একর প্রতি উৎপাদন গত তিন দশকে তাৎপর্যমূলক মাত্রায় বাড়িয়েছে। সেজন্য খরিফ ও রবি দুই মৌসুমেই যেসব জমিতে ধান বা গম উৎপাদন সম্ভব সেসব জমিতে মরিচ কিংবা পেঁয়াজ উৎপাদন লাভজনক নয়। এই বিবেচনায় মরিচ উৎপাদনে অধিকতর জমির প্রয়োগ বা ব্যবহার আশা করা যায় না। তাই মরিচ প্রান্তিক জমিতে, দুই মৌসুমের দানাদার ফসল উৎপাদনের ফাঁকে এখনও উৎপাদনীয়। তরকারি হিসেবে উৎপাদনযোগ্য বেল মরিচ, পট বেলানেন, কাইয়িন ও মিষ্টি মরিচ, পাপড়িকা ও ওই জাতীয় মরিচের চাষ করা উৎপাদনশীলতার নিরিখে সম্ভবত গ্রহণযোগ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মরিচ রফতানি হয় না বললেই চলে। প্রবাসী বাঙালীদের ভোগের জন্য কিছু পরিমাণ মরিচগুঁড়ো বিদেশে মসলা হিসেবে রফতানি হয়। বিদেশে মেক্সিকান খাবারে মরিচ বেশ ব্যবহার করা হয়। এই বিবেচনায় বিভিন্ন দেশে মেক্সিকান রেস্টুরেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মরিচের উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানো যায়। ভারতের শুকনো রাজ্যগুলোতে, উদাহরণত রাজস্থানে আবহাওয়া উপযোগী উফশী মরিচের বীজের উদ্ভাবন ও প্রয়োগ হয়েছে। বাংলাদেশে জলবায়ুর বিবেচনায় সেসব বীজ প্রয়োগ করা যায় না। বাংলাদেশে যেহেতু অধিকতর জমি মরিচ চাষে প্রয়োগ করা লাভজনক নয়, সেহেতু লাগসই উফশী বীজ উৎপাদন কিংবা আহরণ না হলে মরিচ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হবে না। লেখক : সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য
×