ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জলাভূমি সংরক্ষণ করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৬ মে ২০১৬

জলাভূমি সংরক্ষণ  করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলাভূমিগুলোকে নদীমাতৃক বাংলাদেশের লাইফলাইন হিসেবে উল্লেখ করে পরিবেশের সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক কল্যাণের লক্ষ্যে এগুলোর ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এবং হাওড়-বাঁওড় ও জলাভূমি হচ্ছে দেশের সম্পদ ও লাইফলাইন। এসব সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী পানি সম্পদের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আগে নদী ও অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রবণতা ছিল না। বর্তমানে অনেক দেশ অবাধ পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাওড় অঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে ১৯৭৪ সালে হাওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাঁর নৃশংস হত্যাকা-ের পর এ খাতে আর কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি দেশের সর্বত্র সব সময় নদী খননের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে দেশে নিয়মিত নদী খনন হতো। বর্তমানে আমাদের সরকারও এ ধরনের খনন চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, জলাভূমিতে এখন মাছ চাষের পাশাপাশি কুমির ও শামুকের চাষ হচ্ছে। তিনি এসব সম্পদ প্রক্রিয়াকরণ ও রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে হাওড়-বাঁওড় ও জলাভূমি সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ২০১২ সালের ৩ মে হাওড় মাস্টার প্ল্যানের নীতিগত অনুমোদন দেন। এ পরিকল্পনার আওতায় ১৭টির মধ্যে ৯টি খাতে ২৬টি প্রকল্প নেয়া হয়। এর মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টির কাজ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এবং ১১টির ডিপিপি প্রণয়ন ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ভূমিমন্ত্রী শামসুল ইসলাম শরীফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুহাম্মদ সাইয়েদুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বিদ্যুত-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী নসরুল হামিদ এতে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
×