ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্পেও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে ;###;একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান ছাড়া কারোরই ছাড়পত্র নেই এসব পণ্যের

বিপদ কেমিক্যালে

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১ মে ২০১৬

বিপদ কেমিক্যালে

গাফফার খান চৌধুরী ॥ অনুমোদনহীন ও নিম্নমানের কেমিক্যালে তৈরি বহুতল স্থাপনায় ঝুঁকির মুখে নাগরিক জীবন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তৈরি ও বাজারজাত হচ্ছে এইসব কেমিক্যাল। এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বহুতল ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণে। নিম্নমানের অননুমোদিত কেমিক্যালে গড়ে উঠছে দুর্বল স্থাপনা। বাড়ছে নাগরিক জীবনের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কেমিক্যালে নির্মিত স্থাপনা স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্পেই ধসে পড়ে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রাণহানি ঘটতে পারে লাখ লাখ মানুষের। সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অদূর ভবিষ্যতে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাকা অবকাঠামো নির্মাণে নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সারা পৃথিবীতেই অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহার করা হয় এসব কেমিক্যাল। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। বিগত দিনগুলোতে এগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। প্রায় পনেরো বছর ধরে নির্মাণ শিল্পে বিশেষ করে বহুতল ভবন নির্মাণে দেশে উৎপাদিত অনেক কেমিক্যালই ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় ভবনের মাটির নিচের অংশে থাকা স্থাপনার ড্যাম্প ও লিকেজ প্রতিরোধ, ভবন বা স্থাপনার মাটির নিচে বা বাইরের অংশে থাকা দেয়ালের নোনা প্রতিরোধ, ভবনের ভেতরে থাকা রডের মরিচা প্রতিরোধ, ইট, সিমেন্ট ও পাথরের মিক্সার মজবুত করার জন্য। এছাড়া ভবনে ব্যবহৃত ইট বালু সিমেন্ট জমাটবেঁধে অতি শক্তিশালী করার জন্যও নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। হালের প্রায় সব স্থাপনা তৈরি করতেই এসব কেমিক্যাল ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখন দেশেই তৈরি করছে এইসব কেমিক্যাল। জানা গেছে, একটি ছাড়া কোনটিরই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেই। অননুমোদিত এইসব প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের কেমিক্যাল। সম্প্রতি এমন একটি ফেক্টরিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর পরও থেমে নেই এদের উৎপাদন প্রক্রিয়া। বিষয়টি দেশে একেবারে নতুন হওয়ায় সাধারণ মানুষও সচেতন নয়। এই সুযোগে অসাধু চক্র দেশের কোটি কোটি মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে তাদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এইসব কেমিক্যাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার আগে ব্যবসায়িক লাইসেন্স ছাড়াও শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক। পরিবেশ অধিদফতর, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে যারা এগুলো উৎপাদন ও বাজারজাত করছে তাদের মধ্যে একটিমাত্র প্রতিষ্ঠান ছাড়া কারোই এই ছাড়পত্র এবং সার্টিফিকেট নেই। অথচ বাজারে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কেমিক্যাল পণ্য। এইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘বিল্ডিং কেয়ার টেকনোলজি লিমিটেড’ একটি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস আবাসিক এলাকার ৩২ নম্বর সড়কের ৪৮৬ নম্বর বাড়িতে এর অফিস। কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার পংকজ মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠের কাছে স্বীকার করেন, তারা এখনও কেমিক্যাল উৎপাদন করার জন্য পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পায়নি। ছাড়পত্রের জন্য দরখাস্ত করা আছে। চলতি বছরের মধ্যেই এই ছাড়পত্র পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া সকল নিয়ম কানুন মেনেই ২০০৭ সাল থেকে কেমিক্যাল উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন বলে তিনি দাবি করেন। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না পেয়েই কেমিক্যাল উৎপাদন করে সেই কেমিক্যাল বহুতল ভবন বা স্থাপনায় ব্যবহার করা কতটুকু আইনসিদ্ধ জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনি আরেকটি কোম্পানি আরএমসি। যাত্রাবাড়ী থানাধীন দয়াগঞ্জের ৩৪ নম্বর আবাসিক বাড়িতে এর অফিস। কোম্পানির মালিকদের একজন পার্থ সারথী ম-ল জনকণ্ঠকে বলেন, ২০১১ সাল থেকে তাদের কোম্পানি ব্যবসা করছে। তার কোম্পানি পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পায়নি। তিনিও আশা প্রকাশ করেন, স্বল্প সময়ের মধ্যেই ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। তিনিও নিয়মকানুন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে দাবি করেন। ‘সিমেক্স কেমিক্যাল লিমিটেড’ ঢাকার আফতাবনগরের সি ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়িতে অফিস খুলে ব্যবসা করছে। কোম্পানির মূল মালিক পিরোজপুরের নাছিরাবাদ এলাকার সঞ্জয় বৈরাগী। ‘এবিসি কেমিক্যাল’ এর অফিস ১৯৯ নম্বর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণিতে ছিল। বর্তমানে ১৫ ও ১৬ নয়াপল্টনে অফিস। মালিকপক্ষের একজন বিল্লাল হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, তাদের কোম্পানি পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পায়নি তবে সাইন্স ল্যাবরেটরি থেকে তাদের কেমিক্যাল পরীক্ষিত। পরীক্ষা শেষে সাইন্স ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাদের কোম্পানির কেমিক্যাল পরিবেশবান্ধব বলে রেজাল্ট দিয়েছে। ‘আরএমসি বিল্ডিং কেয়ার’ রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর ৭২/৮/এ নম্বর আবাসিক এলাকায় অফিস খুলে ব্যবসা করছে। কোম্পানির মালিক প্রেমানন্দ ম-ল প্রশান্ত। তিনি আরএমসি কেমিক্যাল কোম্পানির মালিক পার্থ সারথী ম-লের বৈমাত্রেয় ভাই। তিনি একাধারে কেমিক্যাল ও চিপস কোম্পানির মালিক। একবার ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রেমানন্দ ম-লকে ভেজাল চিপস তৈরির দায়ে জরিমানা করেছিল। কোম্পানী সিলগালা করে দেয়। এরপর থেকে তিনি কেমিক্যাল উৎপাদনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রেমানন্দ ম-ল জনকণ্ঠকে বলেন, চিপস কারাখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে। তার তৈরি কেমিক্যাল বুয়েট কর্তৃক পরীক্ষিত ও সনদপ্রাপ্ত। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পেতে আবেদন করা হয়েছে। ‘ডি বিংসান কেমিক্যাল কোম্পানি’ খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার একে মজিদ সরণিতে অফিস করেছে। কোম্পানিটিকে বেআইনীভাবে কেমিক্যাল বাজারজাত করার দায়ে একবার ৫ লাখ এবং পরের বার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের কারাদ-ে দ-িত করা হয়। সিলগালা করে দেয়া হয় কারখানা। কোম্পানির মালিক জাহিদ হোসেন ফোনে জনকণ্ঠের কাছে দাবি করেন, তিনি পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়েই ব্যবসা করছেন। সাভারের হেমায়েতপুরে ‘মাস্টার অটো মিক্সার কোম্পানি লিমিটেডে’ এর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত আমির হোসেন নামে একজন ফোনে জনকণ্ঠের কাছে দাবি করেন, বুয়েট কর্তৃক তাদের কেমিক্যাল পরীক্ষিত। ‘খাদিজা কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড’ রাজধানীর ভাটারা থানাধীন কুড়িলের ক/৩৮/৬ নম্বরে অফিস করেছে। আব্দুল বারেক নামে একজন এটি পরিচালনা করছেন। কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে হুমায়ুন কবির নামের একজন ফোনে দাবি করেন, তাদের উৎপাদিত কেমিক্যাল বুয়েট ও সরকারের বিজ্ঞান গবেষণাগার থেকে পরীক্ষিত। তারা সবাই দাবি করেন, তাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরি ও কারখানায় কেমিক্যাল তৈরি হয়। ভেজাল বা নিম্নমানের কেমিক্যাল তৈরির প্রশ্নই আসে না। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ধরনের কেমিক্যাল উৎপাদনে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। এইসব কেমিক্যাল স্থাপনায় ব্যবহার করলে তা পরিবেশের উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। উৎপাদিত কেমিক্যাল মাটি, বাতাস বা অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর সঙ্গে মিশে প্রাণিকুল বা পরিবেশের জন্য কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। যদিও উৎপাদিত কেমিক্যাল প্রণী বা পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ না হয় তবেই ছাড়পত্র দেয়া হয়। পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আব্দুস সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, শুধু নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত কেমিক্যাল নয়, যে কোন ধরনের কেমিক্যাল উৎপাদনের ক্ষেত্রেই পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া কোন কেমিক্যাল উৎপাদন ও বাজারজাত করা বেআইনী। অধিদফতর মানহীন কোন কেমিক্যালের অনুমোদন দেয় না। পরিবেশ অধিদফতরের উচিত নিম্নমানের কোন কেমিক্যাল যাতে বাজারজাত করা না হয় তা নিয়মিত মনিটরিং করা। এছাড়া যারা স্থাপনা গড়ে তোলার সঙ্গে জড়িত, তাদের উচিত পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদনহীন কোন কেমিক্যাল ব্যবহার না করা। ভেজাল বা নিম্নমানের কেমিক্যাল ব্যবহার করলে যেকোন সময় তা পরিবেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কেমিক্যাল উৎপাদন করতে হলে উৎপাদনকারীকে সরকার থেকে প্রোডাক্ট উৎপাদনের যোগ্যতা ও প্রোডাক্ট আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি থাকতে হবে। এছাড়া কনস্ট্রাকশনের কেমিক্যাল বিল্ডিংয়ে ব্যবহার করলে কোন প্রকার ক্ষতি হবে নাÑসরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ সংক্রান্ত অনুমোদন পেতে হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ও সিভিল এবং পরিবেশ বিভাগের কথা বলা হয়েছে। এসব কেমিক্যালের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. এমএএ শওকত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, একমাত্র বড়াল কেমিক্যাল ছাড়া আর কোন কেমিক্যাল কোম্পানির কেমিক্যাল বুয়েটের কেমিক্যাল বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা করার বিষয়টি তার জানা নেই। যদি কোন কোম্পানি এ ধরনের কোন সনদ বা অন্যকোন কাগজপত্র দেখিয়ে থাকে, নিঃসন্দেহে তা ভুয়া। বড়াল কেমিক্যালের কয়েকটি কেমিক্যাল বুয়েটের কেমিক্যাল বিভাগ থেকে পরীক্ষিত। নিম্নমানের কেমিক্যাল বহুতল ভবনে ব্যবহার করলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞ মমিনুর রহমান মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনেক প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের বা ভেজাল কেমিক্যালের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তৈরি কেমিক্যাল ব্যবহার করে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন ও নানা স্থাপনা। এসব স্থাপনা বসবাসের জন্য পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, সারা পৃথিবীতেই বহুতল ভবন বা যেকোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে দেয়াল, ভবনের ভেতরের রড ও ছাদসহ ভবনে ব্যবহৃত অন্যান্য মালামাল বৃষ্টির পানির হাত থেকে ড্যাম বা আর্দ্র হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাল এবং মানসম্পন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয়। অন্যথায় বড় ধরনের ঝুঁকি থাকে। ভেজাল বা নিম্নমানের কেমিক্যাল ব্যবহার করলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেয়াল, ভবনের ইট, চুন, সুরকি ড্যাম্প হয়ে যায়। ফলে ভবন দুর্বল হয়ে পড়ে। তিনি আরও বলছেন, সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হয় রডের ক্ষেত্রে। কারণ রডে যাতে মরিচা না ধরে এজন্য কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। সেই কেমিক্যাল ভেজাল বা নিম্নমানের হলে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের আর্দ্রতা ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে রডে মরিচা ধরে। একটি মরিচাবিহীন রড এক সেন্টিমিটার মোটা হলে মরিচাসহ একটি রড ২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত মোটা হয়ে যেতে পারে। রড মোটা হওয়ার কারণে তা ভবনের ভেতরে চাপের সৃষ্টি করে। আর তাতে পুরো ভবনে আস্তে আস্তে খুব সূক্ষ্ম ফাঁটল সৃষ্টি করে, যা বাইর থেকে টের পাওয়া যাবে না। ফাঁটলের কারণে পুরো ভবন দুর্বল হয়ে যায়। কোন প্রকার ভূমিকম্প ছাড়াই ওই ভবন যেকোন সময় ধসে পড়ার সম্ভবনা বেশি। আর ভূমিকম্প হলে তো কথাই নেই। সামান্য ভূমিকম্পেই পুরো ভবন একেবারে ধসে পড়বে। এজন্য ভেজাল বা নিম্নমানের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি বহুতল ভবন বা ইমারতে বসবাস করা অধিকমাত্রারয় ঝুঁকিপূর্ণ।
×