ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সুজানগরে নির্বাচনী সমাবেশে হামলা ॥ নিহত এক

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১ মে ২০১৬

সুজানগরে নির্বাচনী সমাবেশে হামলা ॥ নিহত এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৩০ এপ্রিল ॥ শুক্রবার রাতে সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর দক্ষিণচর গ্রামে বিএনপি সমর্থিত মেম্বার প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জিন্নাহর নির্বাচনী সমাবেশে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়ার ক্যাডারদের হামলায় জামেনা খাতুন (৫০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। গুরুতর আহত ওয়াজেদ আলী, খালেক সর্দার, জালাল, শিলা, গোপাল, মহিদুল, সাইদুল মণ্ডল, আলাল সর্দার, আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জিন্নাহ তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শোডাউন শেষ করে আহাম্মদপুর দক্ষিণচর গ্রামে তার বাড়িতে নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ চলাকালীন রাত ৮টার দিকে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়ার ছেলে রাজিবের নেতৃত্বে ১৫-২০ ক্যাডার ৮-১০টি হোন্ডাযোগে এসে সমাবেশের লোকজনের ওপর লাঠিসোটাসহ হামলা চালায়। এতে সমাবেশে আসা জামেনা খাতুন (৫০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলাকারীরা আমিনপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলসহ অন্তত ৮টি গাড়ি ভাংচুর করে। তারা একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়েও দেয়। মেম্বার প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জিন্নাহ জানান, তিনি ওই চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করায় তার সমাবেশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, মেম্বার প্রার্থীর লোকজনরাই হামলা চালিয়ে তার কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আহত করেছে। পাংশায় গুলিবিদ্ধ কলেজছাত্র নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী থেকে জানান, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ও সরিষা ইউনিয়নের দুটি পৃথক স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে কলেজছাত্র গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনাদুটি ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাবাসপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল আলিমের সমর্থকরা কাচারীপাড়া বাজারে গণসংযোগ করছিল। এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আল মামুনের সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় পাংশা বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ছাত্র আনিসুর রহমান রহমান গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শাহিদা বেগম ও শহীদুল ইসলামের নাম জানা গেছে। অন্যদের নাম জানা যায়নি। গুলিবিদ্ধ কলেজছাত্র আনিসুর রহমানকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা সকলেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল আলিমের সমর্থক। অপরদিকে সরিষা ইউনিয়নের খামারডাঙ্গী গ্রামে অপর এক হামলায় ছররা গুলিতে আহত হয়েছে ছয় জন। এরা হলো তোফাজ্জেল হোসেন, মুন্না, আজিজুর রহমান, নুরুজ্জামান, সুমন ও আহাদ। আহতদের সবাইকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সকলেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজমল আল বাহারের সমর্থক। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমল আল বাহার জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার সমর্থক আসির ম-লের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সোবহানের সমর্থকরা। শ্রীপুরে ৮৬ জনকে আসামি করে মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা থেকে জানান, শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাকবাড়িয়া গ্রামে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বাবলু শেখ নিহত হওয়ার ঘটনায় ৮৬ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই নুর ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এদিকে এই হত্যাকা-ের পর মানুষ ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ দলীয় সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী আব্দুল হালিম ও অপর পক্ষ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ হোসেনের পক্ষে অবস্থান নেয়। এই ঘটনার জের ধরে ২৫ এপ্রিল বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের সমর্থক বাবলুর বাড়িতে হামলা চালায় ইউসুফের সমর্থকরা। ধারালো অস্ত্র ও সড়কির আঘাতে ঘটনাস্থলেই বাবলুর মৃত্যু হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘন ॥ দ- স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, বাগমারায় নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগকর্মীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদ-াদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তের নাম মাহাবুবুর রহমান। শনিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন সুলতানা এ রায় দেন। মাহাবুবুর সাজুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালামের কর্মী। নৌকার সমাবেশ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের মিনাবাজারে নৌকার সমাবেশে অর্ধশতাধিক নৌকা নিয়ে কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিদ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন গাজী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মামুন, এ্যাডভোকেট শাহীন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, এ্যাডভোকেট এসআর রহমান মিলন প্রমুখ। কালকিনিতে হামলা আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা কালকিনি (মাদারীপুর) থেকে জানান, ইউপি নির্বাচনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নূও মোহাম্মদ হাওলাদের নির্বাচনী ক্যাম্পসহ পাঁচটি মুদির দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে আওয়মী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা। হামলাকারীরা চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তাদের বাধা দিলে কমপক্ষে ১০ স্থানীয় ব্যবসায়ী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ডাসার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাজীবাকাই এলাকার দেলোরবাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নূও মোহাম্মদ হাওলাদার নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করেন। এতে প্রতিহিংসাবশত আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম হাওলাদারের সমর্থকরা ওই ক্যাম্পে হামলা ও ভাংচুর করে। বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিষ্ঠানে হামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ থেকে জানান, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষীর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। আসাদুজ্জামান মিনা অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ হারুন গোয়ালগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভা করেন। বিএনপির নির্বাচন স্থগিত দাবি নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফর নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় আগামী ৭ মে জেলার মধুখালী উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপি নেতা। শাহ জাফর বলেন, মধুখালী উপজেলার বাগাট, কামারখালী, রায়পুর ও জাহাপুর ইউনিয়নে বর্তমানে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই।
×