ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টে নিষ্পত্তি হওয়া ১৬৮ মামলা পুনঃশুনানিতে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

সুপ্রীমকোর্টে নিষ্পত্তি হওয়া ১৬৮ মামলা পুনঃশুনানিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবসরের পর রায় লেখাকে সংবিধানবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে প্রধান বিচারপতির একটি মন্তব্যের তিন মাস পর নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া ১৬৮টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের কার্যতালিকায় এসেছে। সুপ্রীমকোর্টের অনলাইনে প্রকাশিত আগামী রবিবারের কার্যতালিকায় দেখা যায়, প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ১০৭টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য রাখা হয়েছে। অন্য ৬১টি মামলা রয়েছে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের অন্য বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব (আপীল বিভাগ) মো. আনিসুর রহমান বলেন, “নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া ১৬৮টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে।” এই দুই বেঞ্চে অন্য বিচারকদের সঙ্গে ছিলেন অবসরে যাওয়া দুই বিচারক সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এবং বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। সুপ্রীমকোর্টের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “১৬১টি মামলা যে বেঞ্চে নিষ্পত্তি হয়েছিল, সেই বেঞ্চে বিচারক হিসাবে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীও ছিলেন। আর ৭টি মামলায় বিচারক হিসাবে ছিলেন অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।” বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান। শামসুদ্দিন চৌধুরী অবসরে যান গত অক্টোবরে। অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে অবসরের পর লেখা নিজের রায় ও আদেশগুলো গত ফেব্রুয়ারিতে জমা দিয়েছিলেন প্রধান বিচাপতি এস কে সিনহার সমালোচক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। বিচারপতি এস কে সিনহা তার প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার বছর পূর্তিতে গত মাসে দেওয়া এক বাণীতে বিচারকদের অবসরের পর রায় লেখা ‘সংবিধান পরিপন্থি’ বলার পর তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। বিচারপতি শামসুদ্দিনকে কেন্দ্র করে তার ওই বক্তব্য ছিল ধরে নিয়ে আইনপ্রণেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিচার বিভাগের ‘কোন্দল’ প্রকাশ্যে এনে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য বিচারপতি এস কে সিনহার সমালোচনাও করেন। এরমধ্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী তার অবসরের পর লেখা রায় নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। তা নিয়ে আলোচনার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে তার ওই সব রায় জমা নেওয়া হয়। এই বিতর্কের মধ্যে একটি মামলায় আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে রায়ে দ্রুত সহ করতে বিচারকদের তাগিদ দিয়ে বলা হয়, ব্যতিক্রমী মামলার ক্ষেত্রেও রায় ঘোষণার ছয় মাসের মধ্যে তাতে সই করতে হবে।
×