ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

‘আমাদের কি এদেশে বাঁচার অধিকার নেই?’

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২৪ এপ্রিল ২০১৬

‘আমাদের কি এদেশে বাঁচার অধিকার নেই?’

শিরোনামে উল্লিখিত প্রশ্নটি আমার নয়। প্রশ্নটি করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বিরূপ সমালোচনার প্রতিউত্তরে রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি শিরোনামে উল্লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন (কালেরকণ্ঠ-১৯ এপ্রিল)। একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে শফিক রেহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। অভিযোগ কতটুকু সত্য-মিথ্যা তা আদালত ফয়সালা দেয়ার আগ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ চূড়ান্ত কথা বলতে পারেন না। তবে জনস্বার্থে যা বলার তা কেবল তদন্তকারী কর্তৃপক্ষই বলতে পারেন। শফিক রেহমান অফিসিয়ালি বিএনপির কোন দলীয় পদে আছেন তা সঠিকভাবে আমার জানা নেই। তবে পত্র-পত্রিকা বা অন্যভাবে যতটুকু জানি ও দেখি তাতে অনেক স্থায়ী কমিটির সদস্যের চাইতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক ও উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন শফিক রেহমান। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপার্সনই নন তারেক রহমানেরও খুবই ঘনিষ্ঠ বলে শোনা যায়। সুতরাং গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিএনপির পক্ষ থেকে কি বলা হচ্ছে সেটি আর মানুষ ধর্তব্যের মধ্যে নিচ্ছে না। কারণ, যুদ্ধাপরাধী, নরহত্যাকারী, ধর্ষণকারী সাকা চৌধুরী, নিজামী, মুজাহিদ গংকে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ সম্পূর্ণ সাদা মনের নিরপরাধ মানুষ হিসেবে বহুবার মুক্তির দাবি করেছেন। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরেও তারা বলেছে, সবই নাকি রাজনৈতিক হত্যাকা-, একই কথা বলেছে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। এবার কিছু নিরপেক্ষধারী গুরুত্বপূর্ণ লোকজন শফিক রেহমানের গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠলেন আচ্ছা হচ্ছেটা কি, শফিক রেহমানের মতো ভাল মানুষ এ কাজ করতে পারে না, তাকে রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করা হচ্ছে ইত্যাদি। কেউ কেউ বললেন, শফিক রেহমানের গ্রেফতারে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণœ হচ্ছে। কেউ আবার লিখলেন-ভিন্ন মত প্রকাশ করা দোষের নয়। এ যেন আগ বাড়িয়ে মানুষকে উস্্কে দেয়া যে, ভিন্ন মত পোষণ করার জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে অপহরণ, হত্যা করার ষড়যন্ত্র ও প্রচেষ্টা তো অজামিনযোগ্য অপরাধ। কোন মত প্রকাশ অথবা কোন কথা বলার অভিযোগে তো তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। সুতরাং তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই যারা এটাকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলে প্রচার করছেন, তাদের উদ্দেশ্যকে তো সন্দেহের উর্ধে রাখা যায় না। সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে সেটা তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। সেখানে বিএনপির এক নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার যে জড়িত তা প্রমাণ হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তাকে শাস্তিও দিয়েছে। সুতরাং তদন্ত শেষ হওয়ার পূর্বে যারা বলছেন শফিক রেহমান জড়িত নয়, তারা কি তাহলে ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তার সব কিছুই জানেন, না হলে তারা এতো নিশ্চিত হয়ে কি করে বলছেন শফিক রেহমানের সংশ্লিষ্টতা নেই। ভাল মানুষ, মন্দ মানুষ বিশিষ্ট অবিশিষ্ট, এগুলো তো আপেক্ষিক ব্যাপার এবং সময় সাপেক্ষের কথা। একই ব্যক্তি এক পক্ষের কাছে বিশিষ্ট হলে অপর পক্ষের কাছে তিনি অবিশিষ্ট। সাকা চৌধুরী, নিজামী, সাঈদী গং বিএনপি-জামায়াতের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি এবং বিশিষ্ট ধর্মীয় আলেম। কিন্তু বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে এরা ঘৃণ্য পাপী, নরপশু, গণহত্যাকারী ও ধর্ষণকারী, যা দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৭২-৭৩ সালে আমরা যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তাদের অনেকের কাছে তাহের উদ্দিন ঠাকুর এবং কেএম ওবায়দুর রহমান খুবই জনপ্রিয় নেতা ও ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তখন এ দুই নেতার বাসায় দল বেঁধে বহুবার গিয়েছি। তখন যে পরিচয় পেয়েছি তাতে এদেরকে ভাল মানুষ না বলে কোন উপায় ছিল না। কখনও ভাবতে পারেনি এরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে যা দেখলাম আর শুনলাম তা বড় কঠিন ও হৃদয়বিদারক। তদন্ত ও আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তারা দু’জনেই বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যাকা-ের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই হয়ত কবি বলেছেন, ভবের এই নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়। বিএনপির সব কর্তৃত্বের মালিক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খুবই বিশ্বস্ত উপদেষ্টা ও ঘনিষ্ঠ মানুষ বলে জানা যায় এবং বিএনপিকে পুনরায় ক্ষমতায় নেয়ার জন্য শফিক রেহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে সেটাও শোনা যায়। দেশের সাংবিধানিক পন্থায়, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ও কৌশলে বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়ার চেষ্টা কোনভাবেই দোষের কিছু নয়। কিন্তু বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস তো ষড়যন্ত্রে ভরপুর। দু’একটি উদাহরণ দিই। এক. ২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল যে দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাইপথে ভারতের অসমের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দেয়ার জন্য পাচার হচ্ছিল সেটা কি একটা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র নয়? এটা তো আন্তঃদেশীয় ষড়যন্ত্র। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ এর আদ্যোপান্ত সব কিছু এখন জানে। এটা তো এখন আদালতে প্রমাণিত হয়েছে ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তৎকালীন ক্ষমতাসীন জোট জামায়াত-বিএনপির শীর্ষ নেতা-নেত্রী ও মন্ত্রীরা জড়িত। দুই. ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সব সিনিয়র নেতার ওপর গ্রেনেড হামলা হলো। এরও বিস্তারিত সব কিছু মানুষ এখন জানে এবং এটা যে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য করা হয়েছিল তাও এখন পরিষ্কার। তিনি বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হন। এত বড় হত্যাকা- ও সন্ত্রাসকে কেন্দ্র করে বিএনপি সরকার যে জজ মিয়া নাটক সাজাল এবং তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই ঘটনাস্থল থেকে সব আলামত মুছে ফেলা হলো, এসব কি ষড়যন্ত্র নয়? যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কথা বলার সময় এখনও আসেনি। কারণ, এ সংক্রান্ত মামলা এখনও বিচারাধীন। তবে তারেক রহমানসহ বিএনপির তৎকালীন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী মামলার আসামি। পত্রপত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে যা বেরিয়েছে তাতে মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা এই আক্রমণের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে তখনকার হাওয়া ভবনে বসে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে। তিন. ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা সম্মেলনের নামে আরেকটি তাহরির স্কয়ার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। এই খবর গোয়েন্দারা আগে ভাগে পেয়ে যাওয়ার কারণে সেটি তারা আর বাস্তবায়িত করতে পারে না; যদিও ওইদিন সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে যাত্রাবাড়ী, মিরপুরে কিছু ভাংচুর চালায়। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য টেলিফোনে বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাদের যেসব নির্দেশ দিয়েছিলেন ও কথোপকথন হয়েছিল পরে তা কিভাবে যেন ইউটিউবে চলে আসে। পরে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তিন তারিখে একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে বেগম খালেদা জিয়ার কথাবার্তা ও নির্দেশনামার সব কিছু ছাপা হয়। চার. ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের মঞ্চে উঠে বিএনপির বড় বড় নেতা হাত উঁচু করে হেফাজতের ১৩ দফাকে সমর্থন দিলেন। তারপর ওইদিন সন্ধ্যায় হেফাজত-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনী যখন পুরো মতিঝিল-গুলিস্তান এলাকায় জ্বালাও পোড়াও তা-ব শুরু করল তখন বেগম খালেদা জিয়া নিজে বিএনপির নেতাকর্মীদের হুকুম দিলেন হেফাজতের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য। এটা কি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পর্যায়ে পড়ে, না কি ষড়যন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে। আরও উদাহরণ দেয়া যাবে, কলামের স্পেসে কুলাবে না। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও উল্লিখিত অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এনাকে তো ষড়যন্ত্রের উস্তাদ মানতে হয়। ২০০৬ সালে ২৪ নবেম্বর মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে সরকারী কর্মকর্তাদের এক গোপন বৈঠক হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল তখনকার আসন্ন নির্বাচনে ফল কারচুপির কাজে তাদেরকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। পরে টেলিভিশন ও পত্রিকার খবরে তা প্রকাশ হয়ে পড়ে। আর আমার দেশ পত্রিকার ভুয়া ও মিথ্যা খবরের ইতিহাস তো এখন সবাই জানেন। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। প্রধানমন্ত্রী না হয়ে বা রাজনীতি না করলেও তিনি দেশে-বিদেশের সর্বত্র অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন কাটাতে পারতেন। দুই সন্তান উচ্চশিক্ষিত, বিশ্ব অঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত। সুতরাং বাংলাদেশে রাজনীতি না করলেও ব্যক্তিগতভাবে শেখ হাসিনা ও তার সন্তানদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু পিতার দায়িত্ব তিনি মাথায় নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ইচ্ছা করলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, গবর্নর হয়ে পরিবার পরিজনসহ অন্যদের চাইতেও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য তিনি সব প্রলোভন পায়ে ঠেলেছেন। ২৩ বছরে একটি বারের জন্যও তিনি পাকিস্তানী শাসকদের সঙ্গে আপন করেননি, যা বিরল ঘটনা। ভাসানী, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী কারো বেলায় এ কথাটি প্রযোজ্য নয়। বাংলাদেশের স্বার্থে কোন আপোস করতে চাননি বিধায় সদ্য স্বাধীন দেশে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও একাত্তরের পরাজিতদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন। ব্যক্তি মুজিবকে নয়, শত্রুরা হত্যা করে একটা দর্শন ও আদর্শকে। যে আদর্শের নাম মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এবং দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ, যে আদর্শের নাম পরাশক্তির জোয়ালমুক্ত গণতান্ত্রিক, উন্নত, প্রগতিশীল ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা আজ বহু দূর এগিয়েছেন। সারাবিশ্ব তা আজ স্বীকার করেছেন, কেউবা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। সুতরাং দেশী-বিদেশী সেই একই পুরনো শত্রুরা সেই একই কারণে শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর মতো হত্যা করতে চায়, যার বহু প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে পুরো বংশসমেত শত্রুরা হত্যা করার চেষ্টা করেছে। অনেকটা সফল হয়েছে। ভাগ্যক্রমে দুই বোন বিদেশে থাকার কারণে বেঁচে যান। এখন আবার তারা শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার চেষ্টা করছে এবং আগামীতেও করবে, এটা কোন নতুন ঘটনা ও বিস্ময়কর কিছু না। হতে পারে মহান সৃষ্টিকর্তা হয়ত শেখ হাসিনার দ্বারা তাঁর বাবার মহান দায়িত্ব সম্পন্ন করতে চান বিধায় ২১ বার হত্যা চেষ্টা থেকে তিনি বেঁচে যান, তা না হলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা থেকে তাঁর বাঁচার কথা নয়। শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত কিনা তা আদালতে প্রমাণ হবে। তবে বিএনপির যে অতীত রেকর্ড এবং সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের যে রকম জিঘাংসামূলক বক্তব্য তাতে কাউকে তো সন্দেহের উর্ধে রাখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতীক শেখ হাসিনাকে পুরনো শত্রুরা হত্যা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে এটাই ধরে নিতে হবে। সজীব ওয়াজেদ জয়ও তার বাইরে নয়। তবে সব কথার শেষ কথা হলো রাখে আল্লা মারে কে। কিন্তু সতর্কতার জায়গায় শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। দুঃখজনক হলো, বাঙালী জাতিরাষ্ট্রের জনকের মেয়ে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েও আবেগতাড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনাকে বলতে হয়- আমাদের কি এদেশে বাঁচার অধিকার নেই। এটা আমাদের ছদ্মবেশী নিরপেক্ষধারী সুশীল সমাজের অবদান। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
×