ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ২২ এপ্রিল ২০১৬

কবিতা

মেঘ বালিকা জাফরুল আহসান হয়তো হবি অষ্টাদশী নয়তো কিছু বড় আমি যে তোর বন্ধু হব নয়তো অন্য কারও খেলার সাথী না হয় নিলি ঝড় বাদলে ওরে ময়ূরপঙ্খী জলের ভেলায় পদ্ম পাতায় চড়ে। এই গায়েতে ভীষণ খরা পায়নি খাবার চিলে আমরা দুজন ডুববো না হয় বউ টুবানির বিলে ভিন গায়েতে হর-হামেশা মেঘ বৃষ্টি খেলা মেঘের পালক খোঁপায় গুঁজে তবুও তোর হেলা! একটু দাঁড়া কচুপাতার একচালা ঘর ধরে বজ্রমাখা কালবোশেখি জ্বাললে আলো পরে ঝড়ো হাওয়া ধুইয়ে দেবে নষ্ট কষ্ট যতো মেঘ বালিকা, মেঘ বালিকা; তাড়া কিসের এতো! মেঘ বালিকা, আসার কথা খানিক রাখিস মনে তোর কপালে টিপ পরাবো রোদের কণা এনে ঢাকবো শরীর তরুলতায় শাপলা শালুক জলে রংধনুকে বানিয়ে দেবো চুলের ফিতা বলে। মেঘ বালিকা, অষ্টাদশী বন্ধু হবি তুই? সাগর সেচে মুক্তা দেবো একটু যদি ছুঁই। নিঃশ্বাস পতনের শব্দ মাসুদ মুস্তাফিজ বিষণœ অন্ধকার কাটিয়ে আর কতদূর যাবো আমি মাঝরাতের বিশ্বাসগুলো বাতাসে উড়ে গ্যাছে-নিয়তির আকাশে শুধু ঘাতকের ছায়া দাঁড়িয়ে আছে এইখানে যেনো সকল অপেক্ষার পালা শেষÑ আজো নিঃশ্বাস পতনের শব্দ শুনি নয় মাসের কড়কড়ে প্রহরবাতি আমাদের জাগিয়ে রেখেছে প্রতিটি রাত্রে- যে রাত্রের নগ্নবাতাস মাড়িয়ে কেউ ঘুমোয় না এখনো শুধু জীবন পাতার প্রতি খাতায় ইতিহাস রচিত হচ্ছে আর শত বছরের যুদ্ধ শেষে অপেক্ষার বত্রিশ নম্বর বাড়ি পাহারা দি্েচ্ছ জনতা। ট্রেনের নির্জন কামরায় চঞ্চল শাহরিয়ার ফেলে আসা চৈত্রের দুপুর। বিষাদ নগরী থেকে হেঁটে আসা অবুঝ বালিকা। বিজনদার চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে কাটানো মোহগ্রস্থ ভোর। সব একাকার হয় ট্রেনের নির্জন কামরায়। তারপর কোকিলের ডাক শুনে ঘুম ভাঙে কারো। বসন্ত বাতাসে ওড়ে সিমিদের মায়াময় সুখ। জড় খালেদ রাহী মাঝে মাঝে জড় হতে ভালো লাগে আশার জাহাজ সমুদ্রে ডুবে যায়; দেখার সময় নেই স্বপ্নের শিশু হুট করে মরে যায়; দেখার সময় নেই কেবলি জড় হতে ভালো লাগে। ভালো লাগে আগুনের উনুন হতে; প্রিয় বালিকার পড়ার টেবিল হতে। মাঝে মাঝে জড় হতে ভালো লাগে মানুষের শরীরে ঘা দিলে রক্ত-পুঁজ সম্পর্কচ্যুত হলে হৃদয়ও ভাঙ্গে মাটির ব্যাংকের মতো ফলে ভালো লাগে অনুভূতিহীন হতে; থামিয়ে দিতে ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা। মাঝে মাঝে জড় হতে ভালো লাগে ভালো লাগে আগুনের উনুন হতে; প্রিয় বালিকার পড়ার টেবিল হতে।
×