বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত উদয়ন স্কুলের শিক্ষার্থী জামিউল ইসলাম নাদিমকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুলটির অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় জড়িত গণিতের শিক্ষক জাওশেদ আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্কুলটির সামনে জড়ো হন অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ ড. উম্মে সালমা বেগম এ সময় অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেননি।
গত ১৩ এপ্রিল বুধবার অষ্টম শ্রেণীর কাকাতুয়া শাখায় পড়ুয়া জামিউল ইসলাম নাদিমকে ক্লাস থেকে ডেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে স্কুলের শিক্ষক জাওশেদ আলম। এরপর গত রবিবার নাদিমের বাবা বিদ্যালয়টির অধ্যক্ষের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী জামিউলের মা সাংবাদিকদের বলেন, মারতে মারতে তাকে (নাদিমকে) নিচের ফ্লোরে ফেলে দেয়। পড়ে যাওয়ার পর সে বলে স্যার, আল্লাহর কসম আমি আপনার সম্পর্কে কোন কিছু বলিনি। তখন বলেন যে, আমাকে আর মাইরেন না। এরপরও ওই স্যার পা দিয়ে লাথি মারে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান স্কুলটির একাধিক অভিভাবকরা। এক অভিভাবক জানান, এই অধ্যক্ষ শুধু কথায় কথায় টিসি দিয়ে দিব বলে ডায়ালগ দেন। এভাবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।
এ সময় অভিভাবকদের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গণমানুষের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, এটি আদৌ কোন শিক্ষকসুলভ আচরণ হয়নি।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্কুলের অধ্যক্ষ ড. উম্মে সালমা বেগম ওই শিক্ষকের দোষ স্বীকার করেন। তিনি সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন করে অপরাধ করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অতি শীঘ্রই আমরা এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
স্কুলটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থী নির্যাতন একটি অপরাধ। আমরা নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখব, কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং কে এই জায়গায় দোষী।