ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আটকা পড়েছে কয়েক শ’ যান

ইলিশা ফেরিঘাট ফের বিলীন ॥ বিচ্ছিন্ন ভোলা-লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৩ এপ্রিল ২০১৬

ইলিশা ফেরিঘাট ফের বিলীন ॥ বিচ্ছিন্ন ভোলা-লক্ষ্মীপুর

হাসিব রহমান, ভোলা ॥ যথাযথভাবে সংস্কার না করায় মেঘনায় এক মাসের ব্যবধানে সোমবার রাতে দ্বিতীয়বার ইলিশা ফেরিঘাট ভেঙ্গে গেছে। এতে করে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে আটকা পড়েছে ভোলার ইলিশা ও লক্ষ্মীপুরের মৌজু চৌধুরী ঘাটে শত শত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী পরিবহন। বিশেষ করে আটকা পড়া ট্রাকে কয়েক কোটি টাকার তরমুজসহ অন্যান্য কাঁচামাল পচে যাচ্ছে। তরমুজ চাষীরা লোকসানের মুখে পড়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এ ফেরিঘাটটি সংস্কার কতদিনে হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা। স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহজ যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি সার্ভিস। প্রতিদিন এ রুট দিয়ে কয়েক শত পণ্যবাহী পরিবহন ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে থাকে। বিশেষ করে তরমুজের মৌসুমে এ রুট দিয়ে যানবাহন চাপ সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু এ রুটে চলাচলের একমাত্র ফেরিঘাট স্থায়ীভাবে নির্মাণ না করায় বার বার মেঘনার ভাঙ্গনে বিধ্বস্ত হয়। গত ১৩ মার্চ প্রথম ভাঙ্গনের ফলে ঘাটটি বন্ধ হয়। ৬ দিন পর বিআইডব্লিউটিএ ফেরিঘাটটি কোন রকম সংস্কার করা হলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু এক মাস না যেতেই সোমবার রাতে মেঘনা নদীর পানির চাপ বৃদ্ধির ফলে ইলিশা ফেরি ঘাটের পাইলিং ভেঙ্গে র‌্যাম পানিতে পড়ে যায়। এর ফলে ফেরিতে যানবাহন উঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। ফেরিঘাটটি কবে নাগাদ সংস্কার করা হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বিআইডব্লিউটিএর’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকা শিকারের হিড়িক নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১২ এপ্রিল ॥ পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে জাটকা শিকারের মহোৎসব। মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত জাটকা ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য ও মৎস্য কর্মকর্তার দুইটি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকার কারণে অব্যাহতভাবে অভিযান চালানো যাচ্ছে না। তাই অরক্ষিত তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেরা জাটকা ইলিশ শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জাটকা নির্বিঘেœ বড় হওয়ার জন্য সরকার প্রতি এ বছর মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৬ মাস জাটকা ইলিশ শিকার, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে। কিন্তু অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তেঁতুলিয়া নদীতে অবাধে জাটকা ইলিশ শিকার করছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকটি আড়তদারদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ জাটকা শিকার করা হচ্ছে। আর শিকার করা এসব জাটকা আড়তদারদের মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে। আর এ জন্য রয়েছে প্রতি রুটে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাদশা মাঝি নামের এক জেলে বলেন, এ বছর বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম অনেক বেশি। ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি (৪টি) ইলিশের দাম প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা। যা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় জাটকা ইলিশের চাহিদা বেড়েছে।
×