ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে গার্মেন্টস শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, ভাংচুর ॥ সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৫ এপ্রিল ২০১৬

রূপগঞ্জে গার্মেন্টস শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, ভাংচুর ॥ সড়ক অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৪ এপ্রিল ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায় আবারও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় বিক্ষোভ করে উত্তেজিত শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করেছে। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে শ্রমিকরা দাবি করেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীসাধারণ। সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার আউখাব এলাকার হারবেস্ট রিচ (বেনেটেক্স) পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মাঝে এ অসন্তোষ দেখা দেয়। তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে আবারও শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়কের চলাচলরত ট্রাক, বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উপস্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশও পাল্টা শ্রমিকদের লাঠিপেটা করে এবং বেশ কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মনির, আলম, হাসনা, শিল্পী, সাদিয়া, আরমান, আলী হোসেন, আকবরসহ অন্তত ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে শ্রমিকরা দাবি করেছেন। শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ইন্সপেক্টর জাকির হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে শ্রমিকরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক শ্রমিকদের দখলে চলে যায়। খবর পেয়ে অসংখ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সান্ত¡না দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে অবরুদ্ধ হওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ইন্সপেক্টর জাকির হোসেনকে উদ্ধার করা হয়। বেলা পৌনে ৩টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) ঘটনাস্থল এসে প্রথমে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি পোশাক কারখানার মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর চলতি মাসের ১০ তারিখে বকেয়া তিন মাসের বেতন-ভাতার মধ্যে দুই মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন। পরে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেন এবং তা মেনে কারখানা ত্যাগ করে বাসায় চলে যান।
×