ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিধসে ভাঙছে নদীর দু’পাড়

বালু সন্ত্রাসীর গ্রাস ॥ ব্রিজ স্কুল ও বাড়ি

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৫ এপ্রিল ২০১৬

বালু সন্ত্রাসীর গ্রাস ॥ ব্রিজ স্কুল ও বাড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৪ এপ্রিল ॥ শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কর্ণঝোড়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালুখেকোরা। বালুখেকোর দল পাগলা নদীর বুকে চালাচ্ছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে সৃষ্টি হচ্ছে ভূমিধস, ভাঙছে নদীর দু’পাড়। ইতোমধ্যে বাবেলাকোনা হতে হারিয়াকোনা সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার বিলীন হয়েছে নদীতে। যে কোন সময় বিলীন হতে পারে বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়সহ এলাকার কয়েকশ বসতবাড়ি। ভেঙে পড়তে পারে ক’বছর আগে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাবেলাকোনা ব্রিজ। প্রভাবশালী একটি মহল ১০/১২টি ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করছে বালু। এদের নেই কোন বৈধতা। এরপরও চলছে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন। প্রতিদিন বালু উত্তোলনে বন্ধ হয়ে পড়ছে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাবেলাকোনা, হারিয়াকোনা, দিঘলাকোনা ও চান্দাপাড়াবাসীসহ সীমান্তে চলাচলকারীরা। অন্যদিকে বালুখেকোদের প্রকাশ্য দাপটেও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে একেবারেই নীরব। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাগলা নদী থেকে মেঘাদল ও বাবেলাকোনা এলাকায় বিদায়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বাবুল, ইউপি সদস্য সিদ্দিক মিয়া, মাসুদ ও আল আমিনসহ ৭/৮ জন ১০/১২ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এতে প্রতিদিন ভেঙ্গে পড়ছে নদীর দু’পাড়। ইতোমধ্যে মেঘাদল হতে হারিয়াকোনা সড়কের বাবেলাকোনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার সড়কটির প্রায় এক কিলোমিটার ভেঙ্গে গেছে নদীগর্ভে। হুমকির মুখে পড়েছে বাবেলাকোনা উচ্চ বিদ্যালয়, মেঘাদল, চান্দাপাড়া ও হারিয়াকোনাসহ সীমান্তের চলাচলকারীরা। ক’মাস থেকে হারিয়াকোনা, দিঘলাকোনা ও বাবেলাকোনা গ্রামের লোকজনসহ দৈনন্দিন চলাচলে শতশত মানুষ মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত নন বলে উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান আবু রায়হান বাবুল বলেন, যারা জড়িত তারা প্রকাশ্যেই কাজ করছেন। এখন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিন বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধের জন্যে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। এখন বালু উত্তোলনের সংবাদ পেলে আবার অভিযান চালানো হবে।
×