ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তাপস মজুমদার

বছর শেষের সালতামামি

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৫ এপ্রিল ২০১৬

বছর শেষের সালতামামি

এবারের চৈত্রটা যেন অন্যরকম। রুদ্র বৈশাখের আগে নিদাঘ চৈত্রের যে কাঠফাটা প্রচ- দাবদাহের কথা আমরা জানি, তা যেন এবার হারিয়ে গেল বজ্র-বৃষ্টিশোভিত কালবৈশাখীর সজল ঘন কালো মেঘের তা-বে। কম-বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। চৈত্র মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা দেখা যায়নি গত ১০ বছরেও। স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে মার্চে। খরতপ্ত ধূলিধূসরিত রাজধানী এখন সেজেগুজে সবুজে সবুজ, নীলিমায় নীল। অনুরূপ দৃশ্যপট শোভা পাচ্ছে বিশাল বাংলায়। বলা যায়, চিরাচরিত আবহমান বর্ষবরণের অন্যরকম শুভসূচনা। চৈত্রের আকাশে আষাঢ়ের প্রথম মেঘের পূর্বাভাস। আসন্ন বৈশাখে প্রস্ফুটিত প্রায় প্রথম কদম ফুলের সুদূর সুবাস। এ যেন বসন্ত ও বর্ষা একাকার ও অঙ্গাঙ্গী। গ্রামে গ্রামে এক্ষণে পড়ে গেছে সাড়া। তবে শুধু গ্রাম নয়, শহরেও। এমনকি খোদ রাজধানীতে। পাঠক, বুঝতেই পারছেন, আমরা বাংলা নববর্ষ তথা বৈশাখের কথা বলছি, লিখছি। সেই সুদূর রাঙ্গামাটির কাটাছড়ি গ্রাম থেকে ছবি তুলে সচিত্র সংবাদ পাঠিয়েছেন স্থানীয় সংবাদদাতা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাংলা নববর্ষবরণ ও পুরনো বছরকে বিদায় জানানো উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ঘরে ঘরে তৈরি করছে হাদি-পিনন। চলতি ভাষায় যাকে বলে ওড়না ও দোপাট্টা। পাহাড় থেকে সংগৃহীত শিমুল তুলা এবং জুম চাষের তুলা ও আনুষঙ্গিক উপকরণ থেকে প্রস্তুত উপাদান দিয়ে আদিবাসী মেয়েরা এখন এসব পোশাক তৈরিতে শশব্যস্ত। উল্লেখ্য, চৈত্রের শেষ দু’দিন ও পহেলা বৈশাখ বৈসাবি বা বিজু উৎসব মহাধুমধাম সহকারে উদ্যাপন করে থাকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসীরা সেই আবহমান কাল থেকে। এটি তাদের অন্যতম সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসব, যার সঙ্গে জড়িত থাকে কমবেশি ধর্মীয় অনুষঙ্গ। অনুরূপ দেখা যায় রাখাইন, গারো, রাজবংশী, সাঁওতাল, ওঁরাও, মনিপুরি ও অন্যদের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে বাঙালীরাই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? না, পিছিয়ে নেই বাঙালীরা, এমনকি রাজধানীবাসীও। ঢাকাসহ সারাদেশের ফ্যাশন শপ ও হাউসগুলোতে এখন সাজসাজ রব। প্রায় সর্বত্রই চলছে নতুন নতুন পোশাক, বাহারি পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ-ওড়না, সর্বোপরি শাড়ি বুনন ও বিক্রির ব্যাপক প্রস্তুতি। কচিকাঁচা, শিশু-কিশোর এবং তরুণদের রুচি ও চাহিদামাফিক পোশাকেরও খামতি নেই কোন। সেদিন ঝা-চক্কর গুলশানে দেখা গেল, ভর দুপুরে এক রিক্সাওয়ালা ভ্রাম্যমাণ এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে দরদাম করে কিনছেন তার আট বছরের মেয়ের জন্য চোখ ধাঁধানো রঙের এক ডুরে শাড়ি। নববর্ষ বলে কথা! নতুন বছরে চাই নতুন পোশাকÑ ছোট মেয়ের আবদার না রেখে বাবার উপায় কী! বেইলি রোড, আজিজ সুপার মার্কেট, গুলশান, উত্তরা-বনানীসহ প্রায় সব মার্কেট ও শপিংমলে উপচে পড়ছে ভিড়। বিশেষ করে তরুণী ও মহিলাদের। চলছে দরদাম ও কেনাকাটা। ধুম বেচাকেনা বলা যায়। পহেলা বৈশাখের আগমন উপলক্ষে এটি রাজধানীর প্রায় প্রতিবছরের চিত্র, তা সে হরতাল-অবরোধ-যানজট-জলজট যাই থাকুক না কেন! অন্যদিকে পুরনো ঢাকায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র ও প্রেক্ষাপট। সেখানে জুয়েলারি হাউস, সোনার দোকান, কারখানা সর্বোপরি মিষ্টির দোকান তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রায় সব স্থানেই সব দোকানেই চলছে ঝারামোছার পালা। সাফসুতরো করা হচ্ছে। পুরনোকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে নতুনকে বরণ তথা আবাহনের প্রচেষ্টা। এর জন্য চাই হালখাতা। নতুন জোবেদা খেরোখাতা। বাংলাবাজার ও সংলগ্ন বাঁধাইয়ের কারখানাগুলোয় হরদম চলছে ধুমধাম আওয়াজ, তুমুল কাটিং-পেস্টিং-বাই-িং। কুলির মাথায় মাথায় উঁচু করে টাল দেয়া লালসালু কাপড়ে মোড়ানো ছোট-বড়-মাঝারি-ভারি হালখাতাগুলো চলে যাচ্ছে শহরের বিভিন্ন স্টেশনারি দোকানে, গ্রাম-গঞ্জে। সেই সঙ্গে চাই নতুন পঞ্জিকাÑলোকনাথ-সিদ্ধান্তবাগীশ-নবযুগ, হাফ-ফুল-পকেটসাইজÑ যার যেমন চাই ও চাহিদা। এসব পঞ্জিকায় আছে নর-নারীর ব্যক্তিগত রাশিফল, বর্ষফল এমনকি দেশচক্র, দশচক্র, আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খবরাখবর, ঝড়-বৃষ্টি-খরার হিসাব-নিকাশ, খনার বচন, তিলতত্ত্ব ইত্যাদি। এ সময় পুরনো পঞ্জিকা ফেলে মানুষ নতুন পঞ্জিকা কেনে বিপুল উৎসাহ-আগ্রহ-উদ্দীপনায়। কেননা, বিশ্বাস করুক আর নাই করুক, নিছক কৌতূহলবশত হলেও সে এসব জানতে চায়। পুরনো বছরটি ভাল যায়নি বলে নতুন বছরে সে অবচেতন মনে হলেও কোন শুভক্ষণ ও শুভফল প্রত্যাশা করে থাকে। জনান্তিকে বলি, পঞ্জিকার পাঁজি লেখকরাও নিরাশ করেন না বিপুলসংখ্যক পাঠক-পাঠিকাকে। শনি, রবি, বুধ, বৃহস্পতি, মঙ্গল, রাহু-কেতুসহ লাখ লাখ গ্রহ-উপগ্রহ ও নক্ষত্রের আকর্ষণ-বিকর্ষণ, শুভ-অশুভ মিলিয়ে অবলীলায় তারা কিছু একটা লিখে দেন ঠিকই, যাতে আশা-নিরাশার পেন্ডুলামে দোদুল্যমান ভাগ্যের আকাশে অকস্মাত দেখা বিদ্যুত চমক! হতাশাগ্রস্ত মানুষ বুক বেঁধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে নতুন বছরে! কে আর মন খারাপ করতে চায় বলুন? সে ক্ষেত্রে মিষ্টিমুখের পাশাপাশি চাই যতকিঞ্চিত সুসংবাদ, আশা-ভরসার কথা। আর সেজন্যই রয়েছে পঞ্জিকা, ভাগ্যাকাশের শুভাশুভর খবরাখবর নিয়ে। ফরিদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর পালপাড়া থেকে সংগৃহীত ছবিতে দেখা যায়, কুমার সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে অসম্ভব ব্যস্ত মাটির হাঁড়ি-পাতিল, কলস, খেলনাসহ বিভিন্ন রকম তৈজসপত্র তৈরিতে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গ্রাম-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে এমনকি রাজধানীতেও বসে বহুমুখী মেলা। সেসব মেলার চাহিদা মেটাতে চাই বিপুলসংখ্যক মাটির পাত্র ও খেলনা। পুরনো বছরের রান্না ঘরে ব্যবহৃত প্রায় সব মাটির পাত্রই বাতিল অর্থাৎ পরিত্যক্ত অথবা ভেঙ্গে ফেলা হয়। সেক্ষেত্রে চাই নতুন কলস, হাঁড়ি-পাতিল, সানকি, মটকি ইত্যাদি। সত্য বটে, বাজার এখন মেলামাইনে সয়লাব। তারপরও বলতেই হয়, মাটির পাত্রে রয়েছে হারানো স্মৃতি ও সৌরভ। শহরে অর্থাৎ নাগরিক জীবনে এসব অবশ্য নিতান্তই শৌখিন সামগ্রী। নানা বিকল্প সত্বেও এখনও এসবের চাহিদা রয়েছে বিস্তর। এর প্রমাণ মেলে পহেলা বৈশাখে। আজকাল অনেক শৌখিন ও বিলাসী মানুষের বাড়িতেও রকমারি মাটির তৈজসপত্র শোভা পায়। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম আর্ট কলেজ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও অন্যত্র অবস্থিত চারুকলাবিষয়ক শিক্ষাঙ্গনগুলোতে অবিরত চলছে নানা রঙের নানা আকৃতির রংবেরঙের মুখোশ, পশু-পাখি, প্রজাপতি. হরিণ, ফড়িং সর্বোপরি সরা ও পট নির্মাণ ও আঁকিবুঁকি। দিনরাত, ক্লান্তিহীন. নিরবচ্ছিন্ন। পহেলা বৈশাখ ও বর্ষবরণ উপলক্ষে বাজারে পাওয়া যায় রকমারি মুখোশ এবং বাহারি রং ও নক্সা করা শখের হাঁড়ি, কলস, খেলনাসহ আরও কত কী! ভর দুপুরে দোয়েল চত্বরে এসে দাঁড়ালে একেবারে ঝলসে যায় চোখ রঙের বাহার ও জেল্লায়। অনুরূপ দেখা গেল, এক ফেরিওয়ালার কাছে সুউচ্চ বাঁশের চারপাশে জড়ানো নানা রঙের চরকিÑ কাগজের, শেষ চৈত্রের ফুরফুরে দমকা বাতাসে একসঙ্গে যেন পাখা মেলে উড়ে যেতে চাইছে শ্বেতশুভ্র নীল আকাশে। এবারে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের নববর্ষ উৎসব সম্পর্কে যতকিঞ্চিত আলোকপাত করতে চাই। এসব কথা ও কাহিনী কমবেশী সবাই জানেন। নিয়মনীতি ও রীতি মোতাবেক এসব নিয়ে লেখালেখি করবেও অনেকেই। বাতচিতও কিছু কম হবে না টিভি আলাপচারিতায়। সবাই জানেন, ঋতুধর্মী উৎসব-অনুষ্ঠান হিসেবে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়ে আসছে সেই আবহমানকাল থেকে। তবে কৃষি কাজ, ফসলাদি উৎপাদন সর্বোপরি রাজস্ব আহরণের সুবিধার্থে মোগল সম্রাট আকবর তাঁর অন্যতম সভাসদ আবুল ফজলের সহযোগিতায় এর আমূল সংস্কার করেন। হিজরী চান্দ্র সন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০-১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় ১৫৫৬ সালের ৫ নবেম্বর, তাঁর সিংহাসনের আরোহণের সময় থেকে। তারও আগে সেই অনাদিকাল থেকেই বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির সর্বোপরি এদেশীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি অন্যতম সর্বজনীন লোক উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ। তবে বর্তমানে নগর জীবনেও নগর সংস্কৃতির একটি অন্যতম উৎসব-অনুষ্ঠান হিসেবে পালিত হয়ে থাকে এটি। এর পেছনে ছায়ানটের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৬৫ সালে রমনা বটমূলে প্রথম এই অনুষ্ঠান শুরু করে ছায়ানট, পাকিস্তানী প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠী ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে। বর্তমানে এটি রূপ নিয়েছে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে। পর্যায়ক্রমে সরকারী-বেসরকারী আরও নানা সংস্থা ও সংগঠন সংযুক্ত হয় নববর্ষের অনুষঙ্গের সঙ্গে, যে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি সারাবাংলায়ও কমবেশি অনুষ্ঠিত হয় নববর্ষ অনুষ্ঠান, শুভ হালখাতা, চড়ক পূজা, গ্রাম্যমেলা, ঘোড় দৌড়, গরু দৌড়, লাঠি খেলা, যাত্রা, সার্কাস ইত্যাদি। ফাইভ স্টারসহ শহরের হোটেল-রেস্তরাঁয় চলে বাহারি খানাপিনা, পানভোজন ইত্যাদি। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িÑ তিন পার্বত্য জেলায় পালিত হয় বৈসাবি। চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও টিপরাদের বৈসুকÑ এই তিন মিলে বৈসাবি। আরও একটি কথা। অন্য অনেক কিছুর মতো রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন তথা পশ্চিমবঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রিয় করে তোলেন বাংলা নববর্ষ উৎসব ও বর্ষবরণকে। এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য, কোন নববর্ষ বা বর্ষবরণের উৎসব-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ ও সম্পন্ন হয় না রবীন্দ্ররচনা ব্যতিরেকে। তবে পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ উৎসব পালিত হয় একদিন পর পঞ্জিকার কারণে। শেষ পর্যায়ে এসে সর্বস্তরের পাঠকের জন্য একটি মৌল প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাই। এই যে আমরা প্রতিবছর মহাসমারোহে বাঙালী সংস্কৃতি ও উৎসবের অন্যতম অপরিহার্য অঙ্গ ও অংশ হিসেবে বাংলা নববর্ষ পালন করছি এবং যার কলেবর ও পরিধি দিন দিনই বাড়ছে, প্রকৃতই কি সেই চেতনা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হচ্ছে? অন্যরা কি বলবেন, জানি না। আমাদের বিবেচনায় এর উত্তর না-সূচক হতে বাধ্য। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদÑ যে চারটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা এবং যেগুলো আমাদের সংবিধানের মূলভিত্তিÑ তা যেন কোন অজ্ঞেয় ও দুর্জ্ঞেয় কারণে ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে। হতে পারে, এটি আমাদের শাসকগোষ্ঠী ও শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম দুর্বলতা। এর পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিব্যাপ্ত ধর্মীয় উন্মাদনাও কোন অংশে কম দায়ী নয়। ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্মান্ধতার কারণে দেশে দেশে মৌলবাদী অপতৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে, যা প্রকারান্তরে আঘাত করছে আবহমানকাল ধরে প্রচলিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক চেতনার মর্মমূলেও। রমনা বটমূলে ছায়ানটের নববর্ষ অনুষ্ঠানে অথবা যশোরে উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপর্যুপরি বোমা তথা গেনেড হামলা এরই প্রমাণ বহন করে বৈকি! তবুও আমরা আশা করব যে, চেতনা যদি সুদৃঢ় হয় এবং বিশ্বাস হয় প্রগাঢ়, তা হলে তাকে বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না কখনও। প্রতিবছর সাড়ম্বরে পালিত বাংলা নববর্ষের যাবতীয় উৎসব-অনুষ্ঠান আমাদের সেই জাগরিত চেতনা ও বিশ্বাসের কথা বলে সর্বদাই। অতঃপর আসুন, সেই অমোঘ বলে বলীয়ান হয়ে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই, সবাইকে বলি, শুভ নববর্ষ। আগত বছরটি সকলের জন্য শুভ হোক।
×