ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইউপি নির্বাচন

সিরাজগঞ্জে ১০ বাড়ি ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৮ মার্চ ২০১৬

সিরাজগঞ্জে ১০ বাড়ি ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ হাইকোর্টের আদেশে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে খবর ছড়িয়ে পড়ায় সদর উপজেলার ১০নং সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিঠুর সমর্থক এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নবীদুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১০ বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩১ মার্চ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হয়। মনোনীত প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে মাঠেও নেমেছেন। এরই মধ্যে সীমানা জটিলতায় হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট থেকে জারি করা নির্বাচন স্থগিতাদেশ স্থানীয় নির্বাচন অফিস এলাকায় টাঙিয়ে দেয়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নবীদুল ইসলামের সমর্থকরা বর্তমান চেয়ারম্যান সপ্তিক আহমদ মিঠুর কড্ডার মোড়ের বাড়িতে হামলা করে। পরে বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকরাও লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। ১০টি বাড়ি কমবেশি ভাংচুর করা হয়েছে বলে বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠু অভিযোগ করেছেন। বরিশালে আহত ৩৫ স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নে হামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির কমপক্ষে ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উজিরপুরের হারতা ইউনিয়নের আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হরেন রায়ের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা বুধবার রাতে ও বিকেলে দু’দফা হামলা চালিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী বিমল করাতীর সমর্থক ১০ নারীসহ কমপক্ষে ৩৫ জনকে আহত করেছে। রাতের হামলার সময় হারতা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা দীপংকর সাহা দীপু জানান, ইউনিয়নের কুচিয়ারপাড় এলাকায় হাতুড়ি মার্কার সমর্থকদের গণসংযোগের সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী হরেন রায়ের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমে হামলা চালায়। পরবর্তীতে ওই দিন সন্ধ্যায় হারতা বাজারের উত্তরপাড়ে বিক্ষোভ মিছিলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। দু’দফা হামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী বিমল করাতীর বোন রাশমনি বালা, কর্মী সুভাষ রায়, অসীম হালদার, ভক্ত বিশ্বাস, লিটন হালদারসহ কমপক্ষে ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত চার নারীসহ নয়জনকে রাতে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় জেলার ৩৬ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আ’লীগের দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
×