ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোহেল-খসরু বাহিনীর অত্যাচার

মোড়েলগঞ্জের ১৫ গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৮ মার্চ ২০১৬

মোড়েলগঞ্জের ১৫ গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী এলাকায় সোহেল ও খসরু বাহিনীর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এখানে বড়জামুয়া, চরনীপরতাশী, ঘোপেরবাজার, বাগোলেরহাট, আমতলা, ঢেপুয়ারপাড়, পাথুরিয়া, ছোটজামুয়া, সিংজোড়, চন্ডিপুর, কুয়ারদাও, ধরাতলা, নারকেলবাড়িয়া-সহ বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্ত্তী ১৫টি গ্রমে এই বাহিনী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, বেপরোয়া হুমকী, ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ থাকার পরেও এরা প্রকাশ্যে চলা ফেরা করছে। আগে বিএনপি করলেও এখন ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে চলে। অস্ত্রবাজ এদের বিরুদ্ধে নিরীহ কেউ টু-শদ্ব করতে সাহস পায় না। বুধবার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে কাজল বিবি নামে বড়জামুয়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ এক নারী এ অভিযোগ করেন। মাদক ব্যবসায়ে রাজী না হওয়ায় এ সন্ত্রাসী বাহিনী তার ছেলে রুবেলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তার হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে গেছে। স্থানীয় মাসুদ হাওলাদার সন্ত্রসীদের বেপরোয়া মারপিটে এখন হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। ৪০ হাজার টাকা দেবার পর বাকী টাকার দাবীতে তাকে নির্যাতন করা হয়। অনুরুপ আতাহার হাওলাদার নামে অপর এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এমন অপরাধের নানাচিত্র তিনি তুলে ধরে বলেন, সোহেল ও খসরুর বিরুদ্ধে বহু মামলা থাকলেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বেপরোয়া সন্ত্রসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। নিরীহ মানুষের জানমাল রক্ষায় আশু সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন। এব্যাপারে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো: নিজামুল হক মোল্যা জনকন্ঠকে জানান, সোহেল-খসরুকে আটকের জন্য ইতিমধ্যে মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তাদের আটকের চেষ্ট করছে।
×