ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ক্ষুব্ধ শারাপোভা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৬ মার্চ ২০১৬

এবার ক্ষুব্ধ শারাপোভা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিজের ভুলটা নিজেই স্বীকার করেছেন। ২০০৬ সাল থেকেই গ্রহণ করছিলেন মেলডোনিয়াম। মূলত শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাই এটি সেবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাকে। কিন্তু চলতি বছর বিশ্ব ডোপবিরোধী সংস্থার (ডব্লিউএডিএ) নিষিদ্ধ ড্রাগের তালিকায় এটিকেও সংযুক্ত করা হয়। ভুলক্রমে তবু মেলডোনিয়াম নিয়েছিলেন এবং চলতি বছরের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম আসর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন রাশিয়ান টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা। সংবাদ সম্মেলনে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সে বিষয়ে। কিন্তু স্বীকার করার কারণেই সম্ভবত দোষটা তার বেড়ে গেছে অনেকখানি। সমালোচনার ঝড় উঠেছে মাশার বিরুদ্ধে। এমনকি এখন অভিযোগ উঠেছে অন্তত ৫ বার মেলডোনিয়াম গ্রহণ হতে বিরত থাকার সতর্কবাণী দেয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু সেবনে কর্ণপাত করেননি তিনি এমন অভিযোগ। আর এসব শুনে চুপ করে থাকতে পারলেন না ৫ বার গ্র্যান্ডসøাম জয়ী সাবেক এ শীর্ষ তারকা। ক্ষোভের সঙ্গে দাবি জানালেন এমন কিছুই বলা হয়নি তাকে। তবে ডিসেম্বরে তার কাছে ডব্লিউএডিএ থেকে একটি নোটিস দেয়া হয়েছিল টেনিসের ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা উল্লেখ করে। মেলডোনিয়াম মূলত ডায়াবেটিস এবং শরীরে ম্যাগনেসিয়াম ঘাটতি দেখা দিলে ব্যবহার করা হয়। শারাপোভা সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত ডাক্তার মাইলড্রোনেট দিয়েছেন যার অপর নাম মেলডোনিয়াম। ধারাবাহিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে এবং ইকেজি পরীক্ষাটা স্থিতিস্থাপক না থাকায় এটি দেয়া হয়েছিল। এ ওষুধটি বুকের ব্যথা ও হার্ট এ্যাটাকের জন্যও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেক গবেষক এটিকে রক্তে উদ্দীপনা বৃদ্ধি, শক্তিবর্ধক এবং নৈপুণ্য বর্ধক হিসেবে কাজে লাগে বলেও জানিয়েছেন। এ কারণেই এটি নিষিদ্ধ করা হয় এ বছর। তারপর থেকে শারাপোভাসহ মোট ৭ এ্যাথলেট ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি শারাপোভা ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ হন এবং ২ মার্চ তাকে জানানো হয় ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি। সেটা জানার পরই তিনি সংবাদ সম্মেলনে নিজের ভুল স্বীকার করেন শারাপোভা। আর এরপর বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিশ্বের নামী দামী বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো তার সঙ্গে স্পন্সরশিপের চুক্তি বাতিল করতে শুরু করে। আর্থিক এসব ক্ষতির চেয়ে মাশার জন্য বড় আঘাত ছিল নিন্দুকদের সমালোচনা। এমনকি অভিযোগ করা হয়েছে ৫ বার মেলডোনিয়াম নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হলেও সেটা মানেননি শারাপোভা। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় শারাপোভা তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমাকে ডব্লিউএডিএ থেকে এ বিষয়ে একটি নোটিস দেয়া হয়েছিল যে কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমার সেটার দিকে আরও বেশি সতর্ক নজর দেয়া অতীব জরুরী ছিল। কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকে আমাকে জানানো? সেসব শুধু নিউজলেটার, ওয়েবসাইট এবং হ্যান্ডআউট আর্টিকেলেই সীমাবদ্ধ। একটি প্রতিবেদন দাবি করেছে পরবর্তীতে যে ওষুধটি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সেটা মেলডোনিয়াম এবং আমাকে ৫ বার সতর্ক করা হয়েছে সে বিষয়ে। এটা কোনভাবেই সত্য নয় এবং কখনও ঘটেনি। হতে পারে সেসব হয়তো কোন ওয়েব পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এই নিষিদ্ধ ওষুধের বিষয়টি নিয়ে ভালভাবে না জানার জন্য কোন অজুহাত দেখাতে চাই না। আমি আগেই বলেছি গত ২২ ডিসেম্বর আমি ডব্লিউএডিএ থেকে একটি মেইল পেয়েছিলাম। কিন্তু আর কোথাও থেকে জানানো হয়েছে এটা পুরোপুরিই বানোয়াট।’ শারাপোভা জানিয়েছেন তিনি এখন আইটিএফের শুনানির অপেক্ষা করছেন। সেখানেই পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
×