ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আপীল বিভাগে দুই মন্ত্রীর হাজিরা ২০ মার্চ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ মার্চ ২০১৬

আপীল বিভাগে দুই মন্ত্রীর হাজিরা ২০ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মীর কাশেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপীল রায় নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে ২০ মার্চ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে হাজির হতে হবে সরকারের দুই মন্ত্রীকে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের তলবে হাজির হয়ে ক্ষমা চাইলেও বিদেশ সফরে থাকা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। এরপর বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন নয় বিচারকের পূর্ণাঙ্গ আপীল বিভাগ দুই মন্ত্রীর হাজিরার জন্য নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়। বেঞ্চের অপর আট সদস্য হলেন- বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ বজলুর রহমান। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল গত রবিবারই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তার আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবের মাধ্যমে আপীল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। সেখানেই তিনি সময়ের আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আপীল বিভাগে উপস্থিত হন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। দুই মন্ত্রীর পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও এ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদেশের পর বাসেত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আ ক ম মোজাম্মেল হকও ক্ষমা চেয়েছেন। কামরুল সাহেব না থাকায় আমরা সময় চেয়েছি। আদালত ২০ মার্চ সময় রেখেছেন। সেদিন তাদের আসতে হবে।’ কামরুলের আইনজীবী মামুন মাহবুব আগের দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত, প্রধান বিচারপতি ও সব বিচারকের প্রতি তার (কামরুল) শ্রদ্ধা রয়েছে। ওই বক্তব্যের জন্য তিনি আদালতের মার্সি চেয়েছেন। সে সময় তিনি জানান, একটি সম্মেলনের কারণে বিদেশে থাকায় খাদ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার আদালতে হাজির হতে পারছেন না। ১৬ তারিখের পর সময় দিলে তিনি ‘অবশ্যই’ আদালতে হাজির হবেন। গত ৫ মার্চ ঢাকায় এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাশেমের আপীলের পুনঃশুনানির দাবি তোলেন কামরুল ইসলাম। এরপর ৮ মার্চ মীর কাশেমের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আপীল বিভাগের সব বিচারককে নিয়ে বসে দুই মন্ত্রীকে তলবের আদেশ দেন। দুই মন্ত্রীর দেয়া যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা বিচার প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ এবং সুপ্রীমকোর্টের সম্মান ও মর্যাদাকে হেয় করার শামিল বিবেচনা করে কারণ দর্শাও নোটিস দেয়া হয় তাদের। ওই বক্তব্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম কেন শুরু করা হবে না- তা ১৪ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয় নোটিসে। সেই সঙ্গে দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
×