ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বোয়ালমারীতে সংঘর্ষে আহত ৫০ ॥ লুট

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৫ মার্চ ২০১৬

বোয়ালমারীতে সংঘর্ষে আহত ৫০ ॥ লুট

সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর, ১৪ মার্চ ॥ বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নে জয়পাশা বাজারে তুচ্ছ ঘটনায় চার গ্রামবাসী ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় চার পুলিশ সদসদ্যসহ উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ৫০ জন। এ সময় পনেরোটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ত্রিশ লাখ টাকা। ভাংচুর করা হয় পরমেশ্বর্দী ইউনিয়ন আ’লীগের অফিস। জয়পাশা বাজারে রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংঘর্ষ থামাতে ৩৯ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। রবিবার রাতে ফরিদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জানা যায়, পরমেশ্বর্দী গ্রামের আদেলউদ্দিন আকন্দের ছেলে ফারুক আকন্দের সঙ্গে পরমেশ্বর্দী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তমিজ উদ্দিন মোল্যার ভাতিজা কামালের শনিবার জয়পাশায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে কথাকাটি হয়। এর জের ধরে রবিবার বিকেলে জয়পাশা বাজারে ফারুক ও তার সঙ্গে থাকা ৪/৫ জন সহযোগী কামালকে মারধর করে। এ খবর কামালের গ্রাম ধুলজোড়াতে ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষে ওই ইউনিয়নের আ’লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী তামারহাজী গ্রামের মুকুল মিনা, জয়পাশা গ্রামের সৈয়দ আব্দুর রউফ ও ধুলজোড়া গ্রামের ছলেমান মেম্বরের নেতৃত্বে কয়েকশ’ লোক ঢাল সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে জয়পাশা বাজারে জড়ো হয়। এ খবর শুনে ফারুক আকন্দ এলাকায় এসে খবর দিলে পরমেশ্বর্দী ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ময়েনদিয়া গ্রামের ছিদ্দিক মাতুব্বর ও পরমেশ্বর্দী গ্রামের হাফেজ আক্তারের নেতৃত্বে ঢাল সড়কি লাঠিসোটা নিয়ে কয়েকশ’ লোকজন জায়পাশা বাজারে পৌঁছালে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় জয়পাশা বাজারের নান্নু আলী, রুবেল, নান্নু শেখ, শিমুল, রাজকুমার, লুৎফর, ছিদ্দিক ও নজরুলের দোকানসহ ১৫টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে। নবীনগরে আহত অর্ধশতাধিক সংবাদদাতা, নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে নবীনগর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের নবীনগর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জানা যায়, জাহাঙ্গীরের পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাপুনিয়া গ্রামে সোমবার বেলা ১২টার দিকে হোসেন মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়া এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। গত শুক্রবার সকালে দাপুনিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমান, বাচ্চু মিয়া, নুর জামালের বাড়িতে একই গ্রামের হোসেন ও মোখলেস মিয়ার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও নগদ ২০ লাখ টাকা, ১০/১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভৈরবে আহত ১৫ নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব থেকে জানান, সোমবার দুপুরে ভৈরবের কালিকাপ্রাসাদ চকবাজার এলাকায় জমি দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় ১২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও একটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কালিকাপ্রাসাদ এলাকার রাজমিস্ত্রি গিয়াসউদ্দীনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এ ব্যাপারে কয়েক দফা সালিশ বসে। কিন্তু কোন মীমাংসা হয়নি। এর মধ্যে ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন উক্ত জমি ক্রয় করে। সোমবার উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন মোটরসাইকেলযোগে কালিকাপ্রাসাদ চকবাজারে জমি দখল নিতে গেলে রাজমিস্ত্রির লোকজন বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১২ মোটরসাইকেল ভাংচুরসহ একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
×