ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ অস্বীকার

শ্রীনগরে বিএনপির প্রার্থী ৬০ লাখ টাকায় বিক্রি

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৩ মার্চ ২০১৬

শ্রীনগরে বিএনপির  প্রার্থী ৬০ লাখ টাকায় বিক্রি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে লিয়াজোঁ করার অভিযোগ উঠেছে। ইউপি নির্বাচন নিয়ে উপজেলার ষোলোঘর ইউনিয়নে এখনও পর্যন্ত কোন মামলা-হামলার ঘটনা না ঘটলেও ওই ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইতালি প্রবাসী জুলহাস উদ্দিন ইতোমধ্যে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন। রিটার্নিং অফিসার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এলিজ ফারজানা মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফলে ওই ইউনিয়নে আর কোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজিজুল ইসলামের চেয়ারম্যান হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। ষোলোঘর ইউনিয়ন বিএনপির একাধিক নেতা জানান, এ ঘটনায় সর্বত্র বইছে আলোচনার ঝড়। তারা জানান, শ্রীনগরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই উপজেলা বিএনপির বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিন আলী গ্রুপ সমর্থিত প্রার্থী ইতালি প্রবাসী জুলহাস উদ্দিন ওই ইউনিয়নে বিএনপির টিকেট পান। এ ইউনিয়নে বিএনপির টিকেট পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কাজী শামীম ঈমাম সাচ্চু। মনোনয়ন দৌড়ে জুলহাস উদ্দিন ও সাচ্চুর জন্য বিএনপির দু’গ্রুপের জোর লবিং চলে। মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিনের আগের রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের কার্যালয়ে অনেক বাকবিত-ার পর মমিন আলী গ্রুপের জুলহাস উদ্দিনের টিকেট নিশ্চিত হয়। পরদিন উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নব্যাপী প্রচারে নামেন। নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন ঢাকার বংশালের মোটর পার্টস ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজিজুল ইসলাম। জুলহাস উদ্দিন কিছুদিন প্রচার চালিয়ে হঠাৎ গত ৯ মার্চ চুপিসারে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে ৬০ লাখ টাকায় লিয়াজোঁ করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিন আলী বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘটনায় আমরা বিব্রত। এ বিষয়ে জুলহাস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য অসুস্থতার কারণ দাঁড় করান। কিন্তু অসুস্থ হয়ে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন- এর কোন উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
×