ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বনাঞ্চলের পাশেই ড্রাম চিমনির ইটভাঁটি ॥ পুড়ছে কাঠ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১২ মার্চ ২০১৬

বনাঞ্চলের পাশেই ড্রাম  চিমনির ইটভাঁটি ॥  পুড়ছে কাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১১ মার্চ ॥ কলাপাড়ায় এবার বেড়িবাঁধের বাইরের বনাঞ্চল কেটে সেখানে ড্রাম চিমনির ইটভাঁটি করা হয়েছে। চম্পাপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গার খাল সংলগ্ন এলাকায় এ দৃশ্য দেখা গেছে। তিন বছর ধরে এ ইটভাঁটি অবৈধভাবে চলে আসছে। পরিবেশ অধিদফতরসহ স্থানীয় ও জেলা প্রশাসন কেউ এটি বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আশপাশের সংরক্ষিত বনের কাঠ দিয়েই ইট পোড়ানো হয় এ ভাঁটিতে। প্রতিনিয়ত ইটভাঁটির পাশের বনাঞ্চল কেটে বিরাণভূমি করা হচ্ছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় রিন্টু হাওলাদার চিমনির চুলায় ইট পোড়ানোর ভাটা করে আসছে বলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানালেন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর কিংবা বন বিভাগ কেউ মাথা ঘামায় না। ফলে ওই এলাকার পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি বন বিভাগ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর চিমনির সাহায্যে ইটভাটা চলে আসছে। ফি বছর অন্তত পাঁচ-ছয় লাখ ইট পোড়ানো হয় বলে শ্রমিকরা জানান। এ বছর কয়েক দফা ইট পোড়া হয়েছে। এখন আরেক দফা কাঁচা ইট সাজানো হচ্ছে পোড়ানোর জন্য। সম্পূর্ণ কাঠ দিয়ে, তাও আবার বনাঞ্চল উজাড় করে আনা কাঠ। ইতোমধ্যে অন্তত ৫০ একর বনাঞ্চলের গাছ এ ইটভাঁটিতে পোড়ানো হয়েছে। জনবহুল এলাকায় এমনিতেই কোন ধরনের ইটভাঁটি করার নিয়ম নেই। সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ইটভাঁটিতে সংলগ্ন এলাকার বনাঞ্চল কেটে পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাঁটির মালিক রিন্টু হাওলাদার জানান, আমরা গরিব মানুষ এত কিছু বুঝি না। কোন কাগজপত্র নেই। স্থানীয় লোকজন, মুরব্বিদের সঙ্গে আলাপ করে ইটভাঁটি স্থাপন করছেন। তিনি জানান, এ বছর দেড় লাখ ইট কেটেছেন। বরিশাল পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস জানান, শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী জানান, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
×