ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানকে ছাড়াই টি২০ বিশ্বকাপ?

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৯ মার্চ ২০১৬

পাকিস্তানকে ছাড়াই টি২০ বিশ্বকাপ?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। টি২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আকাশ ঘিরে বইছে একরাশ কালো মেঘ। পরিস্থিতি যা, তাতে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ বয়কট করতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান! সন্দেহ নেই তাতে আকর্ষণ হারাবে ছোট্ট ফরমেটের শ্রেষ্ঠত্বের এ আয়োজন। অথচ আজই শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বে পাকিস্তান দলের ভারতের উদ্দেশে বিমানে চড়ার কথা! নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে পাকিস্তানী প্রতিনিধি দল এখন ধর্মশালায়। দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা উসমান আনোয়ার ও পাক বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকর্তা আজম খান। দিল্লী থেকে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্তাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তাদের রিপোর্টের ওপরই সব কিছু নির্ভর করছে, অথচ হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ আগের মতোই জানিয়ে দিয়েছেন, তারা পাকিস্তানকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না! অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নেছার আলি খান আবার বলেছেন, ভারত তাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে পাকিস্তান বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে না। ধর্মশালা ঘুরে পাকিস্তানী প্রতিনিধি দলের মঙ্গলবারই দিল্লীতে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের সঙ্গে বসার কথা। নেছার আলি বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে এবং আমরা কোনভাবেই নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান দলকে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে পাঠাতে পারি না। ক্রিকেটারদের জীবন নিয়ে কোনরকম ঝুঁকি নেয়ার সুযোগ নেই। এর আগে আমাদের দেশের শিল্পীদের সেখানে হুমকি দেয়া হয়েছে।’ পাকিস্তান বোর্ড (পিসিবি) প্রধান শাহরিয়ার খান বলেন, ‘হিমাচল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। তাহলে বুঝুন, সেটি আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য কত বড় ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে? সরকারের প্রতিনিধি দল কি রিপোর্ট দেন, তার ওপরই সব নির্ভর করছে।’ এমনিতে ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্ক ভাল নয়। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে সন্ত্রাসী হামালর জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। বন্ধ রয়েছে দু-দেশের পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী এবার ১৯ মার্চ ধর্মশালায় টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দু’দেশ। যেটি হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত। আর হিমাচল রাজ্য সরকার পাকিস্তানকে নিরাপত্তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় নতুন করে জট তৈরি হয়। তবে ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) ও দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পাক ক্রিকেট ভক্তদের ধর্মশালা ম্যাচের জন্য ২৫০টির বেশি ভিসা দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার, তাও তাদের হোটেল ব্যবস্থার প্রমাণ দেখাতে পারলে! সিডিউল অনুযায়ী আফ্রিদির নেতৃত্বে পাকিস্তান দলের আজ কলকাতায় অবতণের কথা। মূল লড়াইয়ের আগে এখানেই তাদের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ। স্থানীয় কলকাতা ক্রিকেট কর্তারও চিন্তিত, কারণ বিসিসিআই মঙ্গলবার পর্যন্ত পাকিস্তান দলের দেরিতে আসা, বা না আসার বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারেনি। এমন কি কলকাতা পুলিশের কাছেও তেমন কোন খবর নেই। তবে বিসিসিআই সচিব অনুরাগ ঠাকুর এবং আইসিসি প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের আশাবাদ, সমস্যা কেটে যাবে এবং প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ধর্মশালাতেই অনুষ্ঠিত হবে।
×