ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একনেক বৈঠক

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৯ মার্চ ২০১৬

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সরঞ্জামসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে জরুরী সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও স্থাপনসহ ১৬ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ১৪ হাজার ৪১ কোটি টাকা দেয়া হবে। অবশিষ্ট অর্থ বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিয়মিত এ বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর আওতায় এক্সপ্লোসিব ডিটেকশন ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের স্ক্যানিং মেশিন, লিকুইড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন ব্যবস্থা, ব্যারিয়ার গেটসহ নানা ধরনের যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। প্রকল্পটির অনুমোদনের কারণ হিসেবে মুস্তফা কামাল জানান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের আধুনিক স্ক্রিনিং টেকনোলজির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং রুটে ফ্লাইট অপারেশন চালু রাখা। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও কার্গো সুবিধাদির উন্নয়ন, স্ক্রিনিং চেক পয়েন্ট এ যাত্রী, ব্যাগেজ ও কার্গো স্ক্রিনিং এবং চেকিং কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ। এতে বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৯ কোটি টাকা। ৭৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণ ও সুরক্ষা এবং ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেস এ হস্তান্তরকরণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৬৬৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। ইজিসিবি লিমিটেডের আওতায় কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন, ইআইএ এবং সম্ভাব্যতা যাছাই প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১৬ কোটি টাকা। খুলনা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৬ কোটি টাকা। ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় বেতার ভবনে আধুনিক ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৩৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। ২৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৯টি পুলিশ সুপার অফিস ভবন নির্মাণ (সিআইডি ও পিবিআই অফিসসহ) প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। সিলেট বিভাগ গ্রামীণ এ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে ২৮৭ কোটি টাকা। ৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান-তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। হাইটেক পার্ক, সিলেট (সিলেট ইলক্ট্রনিকস সিটি)-এর প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে ১৮৭ কোটি টাকা। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
×