ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেরা খেলা উপহার দিতে প্রস্তুত ভারত

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৬ মার্চ ২০১৬

সেরা খেলা উপহার দিতে প্রস্তুত ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশকে হারিয়ে। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ ফাইনালে স্বাগতিক দলকে হারানোর চ্যালেঞ্জে ভারতের বিপক্ষে থাকবে বিপুল পরিমাণ দর্শকও। কিন্তু দর্শকরা স্বাগতিক দলকে যতই সমর্থন দিক সেটা নিয়ে কোন ভ্রƒক্ষেপ করছে না ভারতীয় দল। ভারতের টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী শনিবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করলেন। তবে এশিয়া কাপের ফাইনাল হলেও এটিকে অন্য আরেকটি ম্যাচের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই দেখছেন তিনি। আসরে আগে খেলা ম্যাচগুলোর মতোই আজও খেলবে ভারতীয় দল এমনটাই প্রত্যাশা তার। তিনি মনে করেন শুধু আজকের ম্যাচই নয়, যে কোন টুর্নামেন্টে সবগুলো ম্যাচই নকআউট। সে জন্য আগের ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছে দল সেভাবেই খেলবে নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে এমনটাই দাবি করলেন ভারতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেট তারকা। কঠিনতম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ এবং তারা এখন ফাইনালে? সেটা ভাল একটা ম্যাচ ছিল। আপনারা যদি দেখেন বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের শুরুটা ভাল একটি জয় দিয়ে করতে পারতো। প্রথম খেলায় আমরা চাপে ছিলাম এবং শেষ ১০ ওভারে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু সব ম্যাচই কঠিন। শেষ পর্যন্ত আপনি কি করলেন এবং ব্যাটিং-বোলিং বিভাগে আপনি কিভাবে সামঞ্জস্য রক্ষা করলেন তার ওপর এটা নির্ভর করে। আর আমি মনে করি আমরা দারুণ কাজ দেখিয়েছি। কিন্তু প্রথম খেলাটা কঠিন ছিল। বিপুল দর্শক কোন্ পার্থক্য তৈরি করবে? আমরা এসব হৈচৈ এর মধ্যে অভ্যস্ত। হোক না শতভাগ এতকিছু বিবেচনা করলে কি চলে? যখন আপনি এমন পর্যায়ে খেলবেন তখন এসব প্রভাব ফেলে না। নিজেদের সুবিধাগুলোরও পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে হয়। আপনি আরও উজ্জীবিত হবেন এবং দেখাবেন আপনি ভাল খেলতে পারেন। পিচগুলো এখন পর্যন্ত টি২০ পিচের মতো না। আপনি কি মনে করেন ফাইনালের পিচ আরও ভাল হওয়া উচিত যাতে বিগ হিটাররা ভাল ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করতে পারে? পিচে আমাদের হস্তক্ষেপ নেই। আমাকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলা হয়েছিল যে সবুজে ঢাকা কিছু একটা পেতে যাচ্ছেন। এ রকমটাই হয়েছে। সুতরাং আগামীকাল (আজ) যেমন উইকেটই থাকুক আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত। আমাদের জন্য যে কন্ডিশনই থাকবে আমাদের কাজ হচ্ছে খেলতে নামা। কারণ সবারই বুঝতে হবে যে এখানে একটি দলই খেলছে না, উভয় দলকেই এ ময়দানে খেলতে হবে। সুতরাং এটা পরিচ্ছন্ন একটা খেলাই। ভারতীয়রা ভয়হীন ক্রিকেট খেলছে। আপনি কি পেছনে ফিরে বলবেন কিভাবে এই রূপান্তরটা হলো? আমার এখানে দশ ঘণ্টা বসে থাকতে হবে যদি আমি সবটাই আপনাদের বলতে চাই। সেখান থেকে এখন আমরা এক নম্বর টি২০ দল। এটা একটা পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতির অংশ, কিন্তু অবশ্যই উপভোগ্য। আশা করছি আমরা আগামীকাল (আজ) ফাইনালেও সেই ধরনের ক্রিকেট দেখাতে পারব। দুই/তিনজন ক্রিকেটার বেরিয়ে এসেছে এবং তাদের বেশ ভালই মনে হচ্ছে... একক কোন খেলোয়াড়কে আলাদা করাটা আমার পছন্দ না। যখন দল ভাল করছে তখন চলুন ভারতীয় দল নিয়েই কথা বলি। সেটাই বেশি জরুরী। এটা কোন ব্যক্তির খেলা নয়। এটা দলগত খেলা যারা সমন্বিতভাবেই খেলতে নামে। কিছু বল এবং কয়েকটি হিট সবকিছুর পরিবর্তন আনতে পারে এবং এবার ফাইনাল। দল কিভাবে বিষয়টি দেখছে, জানাবেন? আমরা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ে পূর্ণ। আপনারা এটাকে শুধু আরেকটি খেলা হিসেবেই দেখুন। কেন এটাকে ফাইনাল হিসেবে দেখা হচ্ছে? সবারই মনোভাব এমন থাকতে হবে যে মনোভাবটা টুর্নামেন্টের অন্য খেলার ক্ষেত্রে ছিল। আমাদের জন্য সবগুলো খেলাই নকআউট। আমরা এটাকে সে মনোভাব নিয়েই দেখছি। আমরা ভিন্ন কোনভাবে আগামীকালের (আজ) খেলাটিকে দেখব না। পাকিস্তান প্রায় শেষই হয়ে গেছে। আপনি কি মনে করেন উপমহাদেশে ভারত-বাংলাদেশ ক্রমেই বড় ধরনের লড়াইয়ের দিকে যাচ্ছে? আমি মনে করি উপমহাদেশের সবগুলো দলই খুব ভাল। সবারই কিছু উত্থান থাকে এবং পতনও থাকে। গত বছর শ্রীলঙ্কা এখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ছিল। বাংলাদেশও খুব ভাল ক্রিকেট খেলছে। খুব বেশিদিন হয়নি পাকিস্তান শীর্ষ দুইয়ে ছিল। এখন সেটা ভারত। আপনি কখনও উপমহাদেশের কোন দলকে হিসেবের বাইরে রাখতে পারবেন না। কিছু পর্যায় আসে যখন একটি দল শীর্ষে চলে যায় এবং আরেকটি দল শেষ হয়ে যায়। পরে হয়তো আবারও উপরে উঠে আসবেন। এটা সব দলের ক্ষেত্রেই ঘটে।
×