ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমার ও ত্রিপুরা থেকে গ্যাস আনার পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৬ মার্চ ২০১৬

মিয়ানমার ও ত্রিপুরা থেকে গ্যাস আনার পরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীরবিক্রম। রাজধানীতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় শিল্প খাতে জ্বালানি ও বিদ্যুত সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার শনিবার তিনি এ আহ্বান জানান। সেমিনারে গ্যাস, বিদ্যুত ও পানি সংযোগ সহজীকরণের আহ্বান জানান উদ্যোক্তরা। উপদেষ্টা বলেন ভবিষ্যতে তেলের দাম কি হবে তা কেউ জানি না। তবে সহনীয় থাকবে বলে আশা করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে গ্যাস আনার পরিকল্পনা করছে সরকার। এক্ষেত্রে বেসরকারীখাত এগিয়ে এলে সরকার সহায়তা করবে। তিনি বলেন, সরকার দেশের আর্থিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। উদ্যোক্তাদের উচিত সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা। এখন দেশের ৭০ ভাগ জনগণ বিদ্যুত সুবিধা ভোগ করছে এবং সারাদেশের মানুষকে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সরকার আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আরও ১০০টি নতুন কূপ খনন করবে। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তিনি শিল্প খাতে জ্বালানি ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি পুরনো লাইনগুলোর সংস্কার এবং এ খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-এর সদস্য রহমান মুর্শেদ বলেন, জ্বালানির মূল্য আগের মতো কমানো সম্ভব নয় এবং আমাদের বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের পরিপ্রেক্ষিতে তা সমন্বয় করতে হবে। বিদ্যুত ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সিস্টেম লস কমানো একান্ত আবশ্যক। প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের সীমাবদ্ধতার কারণে বিকল্প জ্বালানি উৎসের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার সময় চলে এসেছে এবং কয়লাভিত্তিক জ্বালানি উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই’র উর্ধতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সম্প্রতি প্রণীত ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ৮ ভাগ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জিডিপি বৃদ্ধিতে শিল্পখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পখাতের উর্ধগতির ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য এ খাতে গ্যাস, বিদ্যুতসহ অন্যান্য সেবা খাতগুলোর সংযোগ নিশ্চিত করার ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। নির্ধারিত আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর ভূ-বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিকাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীন ড. এম শামসুল আলম, বিকেএমইএ-এর সহ-সভাপতি এ এইচ আহসান সানী এবং বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার’স এ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) পরিচালক ইমরান করিম অংশ নেন।
×