ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ষাট হাজার গ্যাসের চুলায় প্রি-পেইড মিটার

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৬ মার্চ ২০১৬

ষাট হাজার গ্যাসের চুলায় প্রি-পেইড মিটার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ৬০ হাজার আবাসিক গ্যাসের চুলায় খুব শীঘ্রই বসতে যাচ্ছে প্রি-পেইড মিটার। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে দরপত্র আহ্বান করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। পাইলট এ প্রকল্পটি শেষ হলে ২০২১ সালের মধ্যে নগরীর সাড়ে ৪ লাখ আবাসিক চুলা পর্যায়ক্রমের প্রি-পেইড মিটারের আওতায় চলে আসবে। এতে গ্যাসের অপচয় এবং ব্যয় দুটোই কমবে। প্রকল্পটি শেষ হলে শীতকালে নগরবাসীকে গ্যাস সঙ্কটে ভুগতে হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, প্রি-পেইডের আওতায় আনতে হলে প্রতিটি আবাসিক চুলার পেছনে খরচ হবে অতিরিক্ত ৪০ হাজার টাকা। ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ২৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৫৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং কেজিডিসিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে ১১ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার লাগানোর প্রকল্পটি পাস হয় একনেকে। প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে ২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রকল্প নিয়ে প্রামির ইঞ্জিনিয়ারিং এসআরএল নামক ইতালির একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। ঠিকদার ঠিক হওয়ার পর ২০১৬ সালের শেষদিকে মিটার বসানোর কাজ শুরু হবে। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমেদ মজুমদার জানান, প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা টেন্ডার আহ্বান করেছি। ঠিকাদার ঠিক হওয়ার পর আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে চলতি বছরের শেষদিকে মিটার স্থাপন শুরু করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, গ্যাসের চুলাগুলো প্রি-পেইড মিটারের আওতায় এলে যেমন গ্যাসের অপচয় রোধ হবে, তেমনি ভোক্তাদের ব্যয় কমবে। তখন যতটুকু ব্যবহার হবে ঠিক ততটুকুর বিল পরিশোধ করতে হবে তাদের। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ন্যাচারাল গ্যাস ইফিসিয়েন্সি প্রজেক্টের আওতায় আবাসিক এলাকা থেকে ৬০ হাজার চুলা প্রি-পেইড মিটারের জন্য বাছাই করা হয়েছে। পাইলট এ প্রকল্পে মূলত নগরীর নাসিরাবাদ, ষোলশহর, খুলশী, লালখানবাজার, চাঁন্দগাও, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, পাঁচলাইশ ও হালিশহর এলাকায় এসব চুলা বসানো হবে।
×