ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় এবার দুই শিশু মাদ্রাসাছাত্রী অপহরণ ॥ ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩ মার্চ ২০১৬

কুমিল্লায় এবার দুই শিশু মাদ্রাসাছাত্রী অপহরণ ॥ ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২ মার্চ ॥ মহানগরীর টমছমব্রিজ এলাকার ইক্রা স্কুল ও মাদ্রাসার সহোদর দুই শিশু ছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত মিতু ও নাজিয়া সুলতানা মাহীকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের ওই মাদ্রাসা থেকে অপহরণ করা হয়। পরে কুমিল্লার র‌্যাব-১১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে জেলার চৌদ্দগ্রামের ভারত সীমান্তবর্তী গোমারবাড়ি এলাকা থেকে ৬ ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের উদ্ধার করে এবং ফারজানা আফরীন এশা নামে এক নারী অপহরণকারীকে আটক করে। অপহৃতরা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার আলেকদিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং এদের মধ্যে জান্নাত তৃতীয় শ্রেণীতে ও তার বোন মাহী দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। অপহৃতদের মা রহিমা বেগম জানান, মিফতাহুল জান্নাত মিতু (৮) ও নাজিয়া সুলতানা মাহী (৭) প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে ইক্রা স্কুল ও মাদ্রাসায় যায়। ছুটির পর তারা বাড়ি ফিরে না আসায় বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে অজ্ঞাতনামা মোবাইল ফোন থেকে ২ শিশুর মুক্তিপণ বাবদ আমার কাছে (রহিমা বেগম) ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মাদ্রাসার শিক্ষক জুয়েল জানান, স্কুল ছুটি হওয়ার আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আত্মীয় পরিচয়ে বোরকা পরিহিত দুই মহিলা তাদের নিয়ে যায়। অপহৃতদের চাচা ইউনুছ মিয়া জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে র‌্যাব ও পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে কুমিল্লাস্থ র‌্যাবের এএসপি মং মে খোয়াই মারমার নেতৃত্বে একটি দল অভিযানে নামে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে র‌্যাব-১১ এর শাকতলার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এএসপি মং মে খোয়াই মারমা জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গোমারবাড়ি এলাকা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং চৌদ্দগ্রামের সাতবাড়িয়া দাতামা গ্রামের মিলন রনীর স্ত্রী ফারজানা আফরীন এশা (১৯) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সকলে। কান্নাজড়িতকণ্ঠে রহিমা বেগম সাংবাদিকদের আরও জানান, ফারজানা আফরীন এশা এর আগে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে কিছুদিন গৃহকর্মীর কাজ করে। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে আমার বাসায়ও আসা-যাওয়া করত। এক পর্যায়ে সে আমার বাসা থেকে একটি ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এর দীর্ঘদিন পর বুধবার আমার মেয়েদের অপহরণ করে সে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের ১৭ দিন পর উদ্ধার ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা নোয়াখালী থেকে জানান, চাটখিল পৌরসভার দৌলতপুর এলাকা থেকে অপহরণের ১৭ দিন পর জিহাদ হোসেন নামে চার বছরের এক শিশুকে লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ভোর তিনটার দিকে জেলার কমলনগর উপজেলার মায়ের বেড়ি নামকস্থান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত মোঃ ইউছুফ (৩২) নামে একজনকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশু জিহাদ জেলার কবিরহাট উপজেলার শুকলামন্দি গ্রামের নূর নবীর ছেলে। তিনি পেশায় রিক্সাচালক। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি জেলার চাটখিল উপজেলার চাটখিল পৌরসভার দৌলতপুর এলাকায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছিলেন। অপরদিকে অপহরণকারী আবুল বাশারের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনিও একই এলাকায় বসবাস করে রিক্সা চালাতেন।
×