ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ছাত্রলীগ পুলিশ সংঘর্ষ ॥ আটক ১০

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ৩ মার্চ ২০১৬

বরিশালে ছাত্রলীগ পুলিশ সংঘর্ষ ॥ আটক ১০

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশের আধাঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য, এক সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের ভিডিও চিত্র ধারণ করায় একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর জিলা স্কুলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায়। জানা গেছে, তিনদিন পূর্বে ক্যাম্পাস সংলগ্ন হট প্লেট রেস্টুরেন্টের কর্মচারী সজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর একটি মোবাইল চুরি করেছে বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক কামরুল আহসান রুমি তার রেস্টুরেন্টের কর্মচারী সজিবকে চাকরিচ্যুত করে। বিষয়টি সজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক ছাত্রলীগ কর্মীকে জানালে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী হট প্লেট নামের ওই রেস্টুরেন্টে হামলা চালাতে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাধা দিলে পুলিশের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে বেধরক প্রহার শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারমুখী অবস্থান ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে নয় রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা বাংলা ভিশনের বরিশাল অফিসের ক্যামেরা পার্সন সেলিম রেজা পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও চিত্রধারণ করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা সেলিমকে বেধরক মারধর করে তার কাছে থাকা ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা ক্যামেরা থেকে ক্যাসেট ও ব্যাটারি নিয়ে ক্যামেরা ভাংচুর করে। বাগমারার ৬৫ পরিবার গ্রামছাড়া, ৫০ বিঘা ক্ষেতে সেচ বন্ধ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বারইপাড়ায় গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে ৬৫ কৃষক পাচ্ছেন না বোরো খেতে সেচ সুবিধা। সেচ না দেয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫০ বিঘার বোরো ক্ষেত। কৃষকদের অভিযোগ তাদের প্রতিপক্ষ গ্রামের তিন গভীর নলকূপের নিয়ন্ত্রক। তাদের হুমকির কারণে তারা গ্রামেও ফিরতে পারছেন না। বুধবার সকালে বাগমারা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষকরা এসব অভিযোগ করেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রামটিতে বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জয়নাল আবেদিন লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রামের বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারির জের ধরে ওইদিন প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তাদের পক্ষের ৬৫টি পরিবার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই থেকে তারা গ্রামের বাইরের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ তাদের ধানক্ষেতে সেচ দেয়া বন্ধ রেখেছেন। গ্রামের তিনটি গভীর নলকূপের সেচকাজ প্রতিপক্ষের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাদের লোকজনই গভীর নলকূপের অপারেটর। এরা হলেন আজিজুল ইসলাম, আবদুল মালেক ও জয়নাল আবেদিন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সেচ না দেয়ায় তাদের বোরোক্ষেত হুমকির মুখে রয়েছে। সম্মেলনে জুয়েল রানা, সুমন রেজা, জয়নাল আবেদিন, টিপুসহ ১২ জন কৃষক জানান, প্রতিপক্ষ গ্রুপ বেছে বেছে তাদের ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন না। পালিয়ে থাকা ৬৫ জনের ধান ক্ষেতেরই একই অবস্থা। তাদের প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে এক সপ্তাহ ধরে সেচ বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। এছাড়াও তারা ভয়ে এলাকায় ফিরতে পারছেন না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ আলী, আজিজুল, ও সফিকুল ইসলামের লোকজন তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। বাগমারা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ও এলাকাছাড়া লোকদের পক্ষে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
×