ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উদার হওয়ার শিক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৩ মার্চ ২০১৬

উদার হওয়ার শিক্ষা

আমিনূর রশীদ বাবর পৃথিবীর এমন কোন জাতি-গোষ্ঠী খুঁজে পাবেন না যে ফুটবল খেলে না বা ফুটবল চিনে না। এক কথায় পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষই ফুটবল চিনে, খেলে এবং বুঝে আনন্দ পায়। আসলে ফুটবল হচ্ছে একটি সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক, বিশ্বজনীন খেলা। এ খেলার মাধ্যমে পরস্পর পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে। এক সময় এ দেশে ফুটবল খেলার ব্যাপক চর্চা ছিল। গ্রামেগঞ্জে সর্বত্রই এ খেলা হতো। এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। অবশ্য স্বাধীনতা উত্তর এ দেশে ফুটবল চর্চার একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছিল। ঐ সময় আবাহনী নামে ফুটবল দল গঠন করা হয়েছিল এবং খেলাও অনুষ্ঠিত হতো। পরবর্তীকালে এ সবই উবে যায়। এখন ফুটবলের স্থান দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট। মূলত ক্রিকেট একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী গোষ্ঠীর খেলা ছিল। এক সময় ঐ শ্রেণী, গোষ্ঠী ছাড়া আর কেউ এই খেলা তেমন বুঝতো না; এখন অবশ্য এই ধারণা বদলেছে। তবে এ খেলার নিয়ম-কানুন জটিল হওয়ায় আপামর জনগণ বুঝে না। তাছাড়া ফুটবল ২২ জনে খেলে আর ক্রিকেট ১৩ জনে খেলে আর বাকিরা বসে থাকে। অর্থাৎ ক্রিকেট খেলা একটি কিম্ভূতকিমাকার খেলা। আমি মনে করি, ফুটবল খেলার মধ্যে উদারতা আছে, ক্রিকেট খেলার মধ্যে সংকীর্ণতা। একটু খেয়াল করলে বুঝবেন যারা এ খেলা দেখে ও বুঝে তারা নিজেদের খুব গর্বিত মনে করে। আগেই বলেছি এ খেলা একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী গোষ্ঠীর খেলা। সবচাইতে উল্লেখযোগ্য যে ব্যাপারটি তা আপনারা খেয়াল কররে দেখবেন যে ক্রিকেট খেলা শুধু ঔপনিবেশিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এবং সকল সময় ঔপনিবেশিকদের মধ্যে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যেমন- দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেট খেলার ঠিকাদারী নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। পরবর্তীকালে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। নবাগত হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলায় এখন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। অথচ ফুটবলে ফলাফল শূন্য। সেই পাকিস্তান আমলের ২৪ বছর ও বাংলাদেশের ৪৫ বছর, এই দীর্ঘ সময়ে ফুটবলে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন বা প্রাপ্তি নেই। পক্ষান্তরে ক্রিকেটে অল্প দিনের মধ্যে বিরাট অর্জন করেছে এর কারণ কি? গির্জাপাড়া, মৌলভীবাজার থেকে
×