মিথুন আশরাফ ॥ ভারতের বিপক্ষে হারলেও আজ জেতার ভাল সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রাত সাড়ে সাতটায় যে ম্যাচটি শুরু হবে, সেটিতে বাংলাদেশের সামনে আজ দুর্বল প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। ম্যাচটিতে জিতলেই এবার এশিয়া কাপে প্রথম জয় দেখবে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ১০ ওভার পর্যন্ত খেলা বাংলাদেশের দখলেই ছিল। কিন্তু এরপর সাকিব আল হাসান যে রোহিত শর্মার ক্যাচটি ধরতে পারলেন না, সেখানেই সব ওলট-পালট হয়ে গেল। শেষে ম্যাচটি ৪৫ রানে হারলও বাংলাদেশ। আজ নিশ্চয়ই সেই রকম কিছু ঘটবে না? স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটিতে যে ফেবারিট বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপ এখন পর্যন্ত হয়েছে ১২ বার। ১৩তম আসর চলছে। এ আসরটি আবার হচ্ছে টি২০ ফরমেটে। যে খেলায় দুর্বল দলের জেতারও সম্ভাবনা থাকে। আগের সব আসরই হয়েছিল ওয়ানডে ফরমেটে। ১৯৮৪ সালের প্রথম এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলেনি। এছাড়া প্রতি আসরেই অংশ নেয় বাংলাদেশ। ২০০৪ ও ২০০৮ সালে ৬ দল নিয়ে গ্রুপ পর্বের খেলা হয় বিধায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলে। আর ২০১২ সালে তো রানার্সআপই হয় বাংলাদেশ। এছাড়া ১৯৮৬, ’৮৮, ’৯০-৯১, ’৯৫, ’৯৭, ২০০০, ২০১০ ও ২০১৪ সালে লীগ পর্ব থেকেই বিদায় ঘটে বাংলাদেশের।
এমনিতে এখন পর্যন্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে কোন আন্তর্জাতিক টি২০ খেলেনি বাংলাদেশ। তবে ২০০৮ সালে গ্রুপ পর্বে দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়। সেই ম্যাচে পাত্তাই পায়নি আরব আমিরাত। এবারও নিশ্চয়ই সেই রকম কিছুই ঘটবে?
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই বলেছেন। জয়ের আশাই করছেন। বলেছেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ভাল ক্রিকেট খেলার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ জেতা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের হাত থেকে চলে গেছে। এই টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ক্ষেত্রে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটিকে আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
গুরুত্ব সহকারে নেয়া ছাড়া আর কোন গতিই নেই বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে সুন্দর শুরু করেও অসুন্দরভাবে ম্যাচটি শেষ হয়েছে। ভারত শক্তিশালী দল বলে এত বেশি কথা হচ্ছে না। কিন্তু আরব আমিরাতের সঙ্গে কোনভাবে হেরে গেলে লজ্জা মেলা ছাড়া আর কিছুই মিলবে না। তাই সতর্ক থেকে জিততেও হবে বাংলাদেশকে।
আরব আমিরাতের পক্ষে অবশ্য জয় থাকার কথা না। তা নেইও। তবে টেস্ট খেলুড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে দলটি। তাই প্রাপ্তি আগেই যুক্ত হয়ে গেছে। এর সঙ্গে যদি এ চারদলের কোন একদলকে বিপাকে ফেলতে পারে, সেটিও অর্জনের খাতায় যুক্ত হবে। সেটিই চায় বাছাইপর্বে আফগানিস্তান, ওমান ও হংকংকে পেছনে ফেলে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা আরব আমিরাত। এখন দেখা যাক, সেই কাজটি বাংলাদেশের বিপক্ষে করতে পারে কি না এর আগে ২০০৪ ও ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়া এ দুর্বল দলটি। না কি বাংলাদেশের কাছে আবারও বড় হার হয় নিয়তি। তা হলে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের স্বাদ মিলবে বাংলাদেশের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: